পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓፃ: প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড ছাত্রদের প্রধান কৰ্ত্তৰ্য । অন্যবিধ কৰ্ত্তব্যের কথাই বলিতেছি। পূঞ্জর ছুটি নিকট হইয়া আসিতেছে। শীঘ্রই নিতান্ত অসমর্থ লোক ব্যতীত হিন্দু বাঙালী মাত্রেই কিছু নূতন কাপড় কিনিবেন। এই সময় সকলেই যাহাতে দেশী কাপড় ক্রয় করেন, এই অনুরোধ ছাত্রের ছুটির আগে ও ছুটি আরম্ভ হইলে বাড়ী বাড়ী গিয়া সকলকে নম্রতাসহকারে জানাইতে পারেন। দেশী কাপড় কোথায় কি প্রকারে কি দরে পাওয়া যায়, তাহা ও অবিশুক মত জানাইতে পারিলে ভাল হয়। দেশীবস্ত্র উৎপাদনে সাক্ষাৎ ও পরোক্ষ ভাবে ছাত্রেরা যদি সাহায্য স্করিতে পারেন, তাহা হইলে ত আরও ভাল । श्वस्थ “মিথ্যা বানাইবার কারখানা ” ? মেদিনীপুর জেলার কাথি মহুকুমার কোন কোন গ্রামে সরকারী দমননীতি কি ভাবে প্রযুক্ত হইয়াছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করিবার জন্য কয়েকজন বিশিষ্ট ভদ্রলোকের একটি বেসরকারী কমিটি আলবার্ট হলের এক সভায় নিযুক্ত হয়। র্তাহার কেহই কংগ্রেসদলের লোক নহেন । তদন্তের পর তাহারা যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেন, তাহার অনেক অংশ যখন শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগী ভারতীয় ব্যবস্থাপক-সভায় পাঠ করিতেছিলেন, তখন অস্থায়ী হোম মেম্বার হেগ সাহেব রিপোটের অংশ-বিশেষ সম্বন্ধে বলেন, বাংলা গবন্মেণ্টের কমুনিকে (বিজ্ঞাপনী ) অনুসারে উহা অমূলক। তখন ক্ষিতীশবাবু বলেন, সরকারী কমু্যনিকের ঐ কথা একটি “লাই” অর্থাৎ মিথ্যা কথা। যে সরকারী অফিস হইতে ঐরুপ কমু্যনিকে বাহির হয়, তাহাকে তিনি “ফ্যাক্টরী অব লাইঞ্জ” অর্থাৎ মিথ্যা কথা বানাইবার কারখানা বলেন । বাংলা গবন্মেণ্ট তাহার এই গুরুতর উক্তির একটি প্রমাণপূর্ণ উত্তর দিলে ভাল হয়। সরকারী প্রপ্যাগ্যাণ্ড সরকারী সার্কেল অফিসাররা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টদের মারফৎ কতকগুলা ছোট ছোট স্থাগুবিলের মত কাগজ বিলি করাইতেছেন। তাহার কয়েকট। আমাদের হাতে আসিয়াছে। তাহাতে মিথ্যা ও অৰ্দ্ধসত্যের সাহায্যে দেশের লোকদিগকে ভুল বুঝাইবার চেষ্টা করা হইয়াছে। এই কাগজগুলার বিস্তারিত জবাব দিবার প্রয়োজন নাই, তাহা করিবার স্থান এবং সময়ও আমাদের নাই। আর একটা বাধার কথাও বলা দরকার। সরকার এমন আইন ও অর্ডিন্যান্স সকল করিয়াছেন, যে, সরকারপক্ষের সব কথার জবাব থাকিলেও তাহ প্রমাণসহ ভাল করিয়া দিতে গেলে জবাবদীতাকে বিপন্ন হইতে হইবে । স্বতরাং এখন গবন্মেণ্টের ধামাধর লোকদের অবাধে যা তা বলিবার খুব স্থবিধা হইয়াছে। আমাদের হাতে যে কাগজগুলা আসিয়াছে তাহার এক একটাতে নীচের তালিকার এক একটা বিষয়ে তথাকথিত যুক্তিতর্ক আছে – আমাদের আসন্ন বিপদ, স্বরাজ, পরিধেয় বস্ত্র, পরের মাথায় কঁঠাল ভাঙ্গা, আবগারী, স্বাধীনতার ভিত্তি শিক্ষায় । প্রথমটাতে বুঝান হইতেছে, পুলিস থাকার কি রকম দরকার। সে প্রয়োজন ণ্ড কেহ অস্বীকার করে না, কংগ্রেসওয়ালারাও করে না । পুলিসের কাজ লোকের ধন প্রাণ মান রক্ষা করা । তাহারা যদি তাহ করে, এবং অন্যায় কাজ না করে, তাহা হইলে কেহ তাহীদের বিরুদ্ধে কোন ন্যায়সঙ্গত অভিধোগ করিতে পারে না । কাগজটাতে লেখা হইয়ছে, যে, পুলিস না থাকিলে “দেশ এমন বিশৃঙ্খল ও অরাজক হবে যে, আমাদের গৃহসম্পত্তি গুগু ও দহ্যদের হস্তগত হবে । আমাদের সমস্ত সম্পত্তি নিৰ্ব্বিরোধে লুঠ, করবার এমন স্বযোগ আর তারা পাবে না। আমাদের জীবন এবং নারীর সতীত্ব রক্ষা করা অসম্ভব হবে।” পুলিস না থাকিলে এই সব বিপদ ঘটিবে বলা হইয়াছে। কিন্তু পুলিস থাকাতেও ত ঢাকা শহরে ও জেলায়, কিশোরগঞ্জ মহকুমার বহু সংথ্যক গ্রামে, ও অন্যত্র এইরূপ ভয়ঙ্কর ঘটনা দিনের পর দিন ঘটিয়াছে। এই কাগজটাতে স্বীকার করা হইয়ছে, যে, “পুলিস দু-একটা অন্যায় কাজ করে বটে !”