পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓbo SSAAS AAAASS SAA AYSAAA AMJSAS SSAS SSAS সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক আচার ব্যবহারে, পরিচ্ছদে ও ভব্যতায় এক প্রণালী অমুসরণ । (৫) মুঘল চিত্রকলার উদ্ভব। ইহাতে প্রাচীন হিন্দু ( অর্থাৎ অজস্তার ) চিত্রপ্রণালী এবং নব আনীত চীনা প্রণালী একত্র মিলিত হইয়া তাহাঁদের সমাবেশ ও পরস্পর পরিবর্তনের ফলে এক নবীন রমণীয় প্রণালীর উদ্ভব হয়। হিন্দু বিষয় লইয়া মুঘল চিত্রপ্রণালীতে যে-সব দৃষ্টাস্ত অঙ্কিত হইয়াছে তাহাদের “রাজপুত-প্রণালী”র চিত্র বলা হয় । -r গৃহনিৰ্ম্মাণে মুসলমান যুগের কীৰ্ত্তি অমর হইয়া রহিয়াছে। হিন্দু রাজারাও ইহার অনুকরণ করিতেন । কতকগুলি নবীন শিল্প,—যথ শাল, কিংখাব, মস্লীন, গালিচ বুনান, পাথর বসান, বা অন্তধাতুর ফলকে সোন রূপার কাজকরা (কোফ,ংগরী ) প্রভৃতি। (৬) সাধারণের জন্য একটা বিষয়কৰ্ম্মের উপযোগী চলিত ভাষা, উর্দু-অৰ্থাৎ সেনানিবাসের ভাষা, যে ভাষায়, তুকী ও পাঠান সৈন্যগণ ভারতীয় দোকানদার চাকর বা দুতদিগের সহিত কথাবাৰ্ত্তা বলিত। ফারসীতে ইহার নাম “হিন্দবী” অর্থাৎ "ভারতীয়” ভাষা, বর্তমান नाभ হিন্দুস্থানী, দক্ষিণাত্যে নাম"রেখাত।” (অর্থাৎ পতিত, অপভ্রংশ ) । কিন্তু এই কথিত ভাষায় উত্তর-ভারতে অনেক শতাব্দী পৰ্য্যস্ত সাহিত্য রচিত হয় নাই, সরকারী চিঠি, হিসাব এবং আদালতের রায় লিখিত হয় নাই । এই দুইটি কাজের জন্য ফারসী ভাষা ব্যবহৃত হইত। হিন্দু মুসলমান সব কৰ্ম্মচারী, এমন কি অনেক করদ হিন্দুরাজার দরবারও এই ফারসী ভাষা ব্যবহার করিতেন ; ইহাই সেযুগে ভারতে একমাত্র রাজকাৰ্য্যের ভাষা (official language) ছিল । ইহাও জাতীয় একতাবন্ধনের একটি কারণ হয় । (৭) অপর দিকে, সংস্কৃতের ব্যবহার প্রায় লোপ পাওয়ায় মুসলমান যুগের দেওয়া শাস্তি ও ঐশ্বর্ঘ্যের ফলে হিন্দী বাংলা মারাঠী প্রভূতি নব্য ভাষায় সাহিত্যস্থষ্টি আরম্ভ হইল । (৮) হিন্দুসমাজের ভিতর একেশ্বরবাদী ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের উদ্ভব । বৈদাস্তিক স্বফী ধর্মের প্রসার। প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড (৯) ইতিহাস-রচনা । (১০) যুদ্ধবিদ্যায় এবং সভ্যতার সর্বপ্রকার বিভাগে উন্নতি । - আমরা এখন কিছু বিস্তৃতভাবে এগুলি বুঝিবার চেষ্ট৷ করিব । ভারত বাহিরের জগতকে আবার চিনিল বৌদ্ধযুগের শেষ পৰ্য্যস্ত ভারতের সহিত দক্ষিণ ও পূৰ্ব্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল, লোকের যাতায়াত, বাণিজ্যদ্রব্য ও গ্রন্থ বিনিময়, এমন কি বিদেশে উপনিবেশ-স্থাপন পৰ্য্যস্ত অবাধে চলিয়া আসিয়াছিল । কিন্তু তৃণদের শেষ পরাভবের পর অষ্টম শতাব্দীতে নবজাগরিত হিন্দু ধৰ্ম্ম নিজের ঘর গুছাইয়। তুলিল, হিন্দুসমাজকে নূতন করিয়া সাজাইয়া অতি কঠিন বন্ধনে বাধিয়া রাখা হইল, বিদেশীবর্জন সম্পূর্ণ হইল, সমাজের অঙ্গে নৃতনের যোগ বা পরিবর্তন মাত্রই পাপ ও আচারভ্রষ্টতা বলিয়া গণ্য হইল। তখন হিন্দুসমাজ প্রকৃতই “অচলায়তন” হইল, দেশের ভৌগোলিক গণ্ডীর মধ্যে চোখ বুজিয় নিজকে বন্দী করিয়া রাখিল যেন, এদেশের বাহিরে কোন জনমানব নাই । কিন্তু মুসলমানদের ভারত জয় করিবার ফলে ভারতবর্ষ আর একঘরে কোণঠেশা হইয়া রহিল না, আবার অন্যান্ত দেশের সহিত ভারতের সম্বন্ধ ও আদান-প্রদান আরম্ভ হইল। কিন্তু বৌদ্ধযুগে যেমন অগণিত ভারতীয় লোক—পণ্ডিত শ্রমণ বণিক ও উপনিবেশ-স্থাপনকৰ্ত্তা—বিদেশে চলিয়া গিয়াছিল, এই মুসলমান যুগে ভারতীয় হিন্দু কেহই বাহিরে গেল না, গেল কতকগুলি ভারতীয় মুসলমান, আর আসিল অসংখ্য বিদেশী মুসলমান খৃষ্টান প্রভৃতি ; ভারতের সহিত বাহিরের বাণিজ্য আরব ও বোহোর, ডচ, ও ইংরাজদের হাতে রহিল। বুখারী ও সমরকন্দ, বলখ ও খুরাসান, খারিজম (খিভা) e. পারস্ত হইতে জনস্রোত এবং পণ্যদ্রব্য আফঘান গিরিসঙ্কট দিয়া স্থিরভাবে নিৰ্ব্বিবাদে ভারতবর্ষে প্রবেশ করিতে লাগিল, কারণ তখন আফঘানিস্থান দিল্লী