পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] Y 4 x-- ایم ۔ ۔ ۔ -۔< ھ مہم rsیہی۔ یs. . সাম্রাজ্যের প্রদেশ মাত্র ছিল । ( ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে ইহা ভারত হইতে বিচ্ছিন্ন হয় )। বোলান পাস দিয়া প্রতিবৎসর চৌদ্ধ হাজার ভারবাহী উট ভারতীয় পণ্যদ্রব্য কান্দাহার ও পারল্যে লইয়া যাইত ( ১৭ শতাব্দীর প্রথমাংশে বম্বে উপকূলের বন্দরগুলি বাহিরের সমুদ্রতীরবর্তী দেশগুলির পক্ষে ভারতে ঢুকিবার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক দ্বার হইল। আর, আমাদের পূর্ব উপকূলে মছলিপটন বন্দর হইতে অসংখ্য জাহাজ যাইত সিংহল, স্বমাত্র, জাভা, শ্যাম, চীনদেশে, এমন কি জান্‌জিবরেও ! S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SS مسر এক শাসন-যন্ত্রের ফলে জাতীয় একত মুঘল সম্রাটদের দুইশত বৎসর ধরিয়া সতেজ অধিকারের ফলে, সমস্ত উত্তর-ভারত—এবং দাক্ষিণাত্যের অনেক ংশও—এক সরকারী ভাষা, শাসন-প্রণালী, মুদ্রা, এবং কথ্য সাধারণ ভাষা লাভ করিল। জাতীয় একতা সাধন করিবার পক্ষে এই উপাদানগুলি অমূল্য। মুঘল বাদশাহদের নিজেদের শাসিত প্রদেশের বাহিরেও অনেক হিন্দুরাজা তাহাদের শাসন-পদ্ধতি, কৰ্ম্মচারী বিভাগ ও উপাধি, সভার আদব-কায়দা, মুদ্রা প্রভৃতি অনুকরণ করিয়া সমস্ত ভারতের বাহ একতা আরও বাড়াইয়৷ দিলেন । দিল্লী-সাম্রাজ্যের বিশটি ভারতীয় স্ববায়—অর্থাৎ পেশাওয়ার হইতে চাটগাঁ, এবং কাশ্মীর হইতে কৃষ্ণ নদী পৰ্য্যন্ত—ঠিক এক ছাচে ঢালা শাসন-পদ্ধতি, কৰ্ম্মচারিবৃন্দ, আইন-কানুন এবং দরবার ও আদালতের ভাষা এবং কাৰ্য্য-প্রণালী চলিত । সমস্ত সরকারী চিঠিপত্র ও হিসাবে এক ভাষা ( ফারসী । ব্যবহৃত হইত। রাজকৰ্ম্মচারী ও সৈন্যগণ এক প্রদেশ হইতে অপর প্রদেশে ঘনঘন বদলি হইত। এইরূপে, কোন প্রদেশের অধিবাসী অপর প্রদেশে গিয়া বিদেশে আসিলাম বলিয়া মনে করিবার কারণ পাইত না ; বণিক ও পথিকেরা এক সুবা হইতে অন্ত স্ববায় অতি সহজে যাতায়াত করিত। সকলেই বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের ছায়ার তলে ভারতকে এক দেশ এক জন্মভূমি বলিয়া বুঝিতে লাগিল। জাতীয়তার কল্পনা সম্ভব হইল । ভারতে মুসলমান ԳԳ:» মুঘল চিত্রবিদ্যার ক্রমবিকাশ শিল্পকলায় মুসলমানদের দান ভারতবর্ষ এখনও হারায় নাই, এগুলি আমাদের অমূল্য সম্পদ হইয়। রহিয়াছে। আগে চিত্রবিদ্যার বিকাশ দেখা যাউক । মুসলমান যুগের প্রথম প্রথম যে-সব চিত্র ভারতে পৌছিয়াছিল সেগুলি খুরাসান ও বুখারা (অর্থাৎ মধ্যএশিয়া )তে চিত্রিত হয়, তাহদের শিল্পীরা চীনা চিত্রকর অথবা চীনাদের ছাত্র ; এই সব “বিশুদ্ধ মধ্যএশিয়া বিদ্যালয়ের” ছবিগুলিতে চীনদেশীয় চিত্রপদ্ধতি ছত্ৰে ছত্রে দেখা যায়,— মুখচোখ,পৰ্ব্বত, জলাশয়, আগুন, এবং রাক্ষস সব অবিকল চীনা ধরণের, ইহা দেখিবামাত্র বুঝা যায়। আকবরের রাজসভায় এই চীনা চিত্ৰপদ্ধতি এবং প্রাচীন হিন্দু অর্থাৎ অজস্তার শিল্পরীতি একত্র জুটিল, প্রত্যেকেই নিজের প্রখর বিশেষত্বগুলি অল্পে অল্পে ছাড়িতে লাগিল, অপর পক্ষের রীতিনীতি লইতে লাগিল । চীন হইতে আনীত মধ্যএশিয়ার চিত্রকলার কঠিনতা, একঘেয়ে ভাবগুলি লোপ পাইল, তাহার বাহ আকারে পরিবর্তন হইল। আর, অজস্তা-এলোরার শিল্পীদের বংশধরগণও দেখিলেন যে শত শত বৎসর পূর্বের পৈতৃক অচল প্রণালী ও নিয়ম এই নবীন যুগে চলে না, অন্যত্রও সৌন্দৰ্য্যবোধ আছে, অন্ত দেশেও শিখিবার জিনিষ আছে, তাহার দিকে চোখ বুজিয়া থাকিলে নিজেই ঠকিতে হইবে । তাই চীনা ও হিন্দু চিত্রকলার মিলনে ভারতে এক নবীন মিশ্র শিল্পরীতির জন্ম হইল, ইহাকে আজকাল “ইণ্ডিয়ান আর্ট,” “ইণ্ডোস্তারাসেন বা মুঘল চিত্ৰ-বিদ্যালয়” বলা হয় । প্রথম প্রথম অর্থাৎ আকবরের উৎসাহে অঙ্কিত চিত্রে, দেখি যে চীনী চিত্রকলা যেন গলিয়া যাইতে আরম্ভ করিয়াছে, পৰ্ব্বত জলাশয় আগুন প্রভৃতি এক নূতন ধরণে তাক হইতেছে, সে ধরণটা চীনা প্রণালীর আভাস দেয় বটে কিন্তু অনেক পরিবর্ধিত আকারে, যেন কঠিন ধারাবাহিক বন্ধমূল ংস্কার ছাড়িয়া দিয়া ঠিক প্রকৃতিকে অমুকরণ করিবার চেষ্টা করিতেছে। এই সব চিত্রে মানুষ ও জীবজন্তুর মুখ এবং বাহ প্রাকৃতিক দৃশ্ব সব পরিষ্কার ভারতীয় । আকবরের পরে পঞ্চাশ বৎসর ধরিয়া এইরূপে প্রাচীন