পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা How many various flowers Did I, in bygone hours, Cull for the gods, and in their honour strew ; In vain how many a prayer I breathed into the air, And made, with many forms, obeisance due. eating my breast aloud How oft I called the crowd, To drag the village car ; how oft I stray'd In manhood's prime, to lave Sunwards the flowing wave, . And, circling Shiva fanes, my homage paid. But they, the truly.wise, Who know and realize Where dwells the Shepherd of the Worlds, will me'er To any visible shrine, As if it were divine, Deign to raise hands of worship or of prayer. কেহ কেহ বলেন যে খৃষ্টীয় পাদ্রিদের প্রচ্ছন্ন প্রভাবে এই পদ্য সপ্তদশ শতাব্দীতে রচিত হয় ; কিন্তু পাঠকেরা খাটি হিন্দু ভক্তি-সাহিত্য হইতে ইহার অনেক পূৰ্ব্বেকার একেশ্বরবাদী স্তোত্র দেখাইয়া দিতে পরিবেন। স্বতরাং, ইতিহাস পড়িয়া আমার মনে হয় যে মধ্যযুগে হিন্দুদের মধ্যে যাহা ঘটিয়াছিল তাহা প্রকৃতপ্রস্তাবে এইরূপ —মুসলমান ধৰ্ম্ম ও সমাজের নিত্য প্রতিবেশী হইয়া থাকিয়া,তাহীদের কাজকৰ্ম্ম দেখিয়া দেখিয়া, হিন্দুদের মধ্যে অন্তর্নিহিত ধৰ্ম্মসংস্কারের বা সমাজসংস্কারের চেষ্টা এবং গড ডলিক প্রবাহের মত পুরাতন রীতিনীতি অমুসরণ না করিয়| নৃতন স্বাধীন সম্প্রদায় স্থাপন করিবার আকাজক্ষ সতেজ এবং ফলবান হইয়া উঠিল, নবজীবন লাভ করিল। মুসলমানদের চক্ষুষ দৃষ্টাস্ত এসিডের মত হিন্দুদের কুসংস্কার গলাইয়া দিতে লাগিল ; হিন্দু ংস্কারকদিগের হৃদয়ে নুতন সাহস ও প্রেরণা আনিল । এই যুগে অনেক নূতন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় স্বল্প হইল, তাহাদের উদ্দেশু হিন্দু ও মুসলমান ধৰ্ম্মের মধ্যে মিলন স্থাপন করা ; এগুলির প্রতিষ্ঠাতারা ধৰ্ম্মের সব বিশেষ বিশেষ বাহ চিহ্ন, ক্রিয়াকাণ্ড, এবং বাধা মন্ত্রতন্ত্র ত্যাগ করিয়া, দুই দলেরই প্রকৃত ভক্ত ও সাত্ত্বিক লোকেরা যাহাতে আরামে একত্র মিশিতে পারে, এক উপাসনায় যোগ দিতে পারে, তাহার জন্য সহজ পথ খুলিয়া দিলেন। যাহার। তাহদের নিকট দীক্ষা লইল তাহারা নিজের পূৰ্ব্বতন গোড়া ধৰ্ম্ম—ইসলাম বা হিন্দুত্ব—ছাড়িয়া দিয়া ડેરે নূতন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইয়ের মত সমান হইয়৷ సెసె =ఫి ভারতে মুসলমান - ԳԵ-Ց মিশিয়া গেল। কবীর ও দাদু, চৈতন্য ও নানক, ঠিক এইরূপে হিন্দুমুসলমান-নিৰ্ব্বিশেষে ভক্তদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ে স্থান দিলেন, এই সব শিষ্য এক নুতন একতার বন্ধনে আবদ্ধ হইল । সুফী ধৰ্ম্মের বিস্তার হিন্দু মুসলমান দুই সমাজেরই মূৰ্খ সাধারণ লোক, সংসার-বিরাগী সাধক, সন্ন্যাসী ফকির প্রভৃতির মধ্যে এই সব মহাপুরুষদের প্রভাব জয়লাভ করিল। আর, শিক্ষিত ভদ্রলোক, বিশেষতঃ কৰ্ম্মচারী-শ্রেণীর মধ্যে সুফীমতের বহুল বিস্তুতি হইল । সুফী-মতকে একটা ধৰ্ম্মবিশেষ বল। ভুল ; উহ। চিস্তা করিবার, উপভোগ করিবার জিনিষ যতট, জীবনের কৰ্ত্তব্যের পথনিদেশক নিয়মাবলী ততটা নহে । পণ্ডিত, দার্শনিক, লেখক, উদারচেতা সৰ্ব্বজীবে সমদর্শী বৈদাস্তিক, ঈশ্বর প্রেমে মাতোয়ারা ভক্ত সাধক—এই শ্রেণীর লোকেরাই স্বফী’ হইতে পারিতেন । ঈশ্বর সর্ব জীবে সৰ্ব্ব দ্রব্যে,—গাছপাতায়, প্রস্তরে নদীতে, চন্দ্রের কিরণে, নিঝরের জলতরঙ্গে, ধাতুর দ্রব্যে, মৃত্তিকায়— “ঘটে পটে” পয্যন্ত বিদ্যমান আছেন ; তাহারই এক টুকরা আত্মার আকারে আমাদের দেহের মধ্যে আছে ; মানুষের জীবাত্মা এই পরমাত্মার সহিত মিলিত হইলেই চরম শাস্তি, পরম সুখ পায়, তাহার আর কোন উদ্বেগ আকাঙ্ক্ষা থাকে না, পুনজ স্ম হয় না ; মানব প্রেমিক যেমন প্রেয়সীর সঙ্গে বিচ্ছেদহীন বাধাহীন চিরমিলনের লালসায় পাগল, তাহাকে কাছে পাইবার জন্য জগৎ ব্যাপিয়া ব্যর্থ চেষ্টায় ছুটিয়া বেড়ায়,হতাশ ক্রনন করে, নিজ অঙ্গে আঘাত করে, আবার দূরে ক্ষণমাত্র তাহার মূৰ্ত্তি দেখিলে আনন্দে নাচিতে থাকে,—সেইরূপ ভক্তের প্রাণও প্রিয়তমের সহিত ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে চিরকালের জন্য লয় পাইবার, অর্থাৎ পূর্ণ একাত্মভাব (তৌহিদ) সাধনার দ্বারা লাভ করিবার জন্য আজীবন চেষ্টা করে । তাই, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এক মেঘমুক্ত রাত্রে পূর্ণচন্দ্রের বিকাশ দেখিয়া ছাদের উপর আত্মহারা হইয়া নাচিয়াছিলেন। শুভ্ৰ জ্যোৎস্নাপুলকিত যামিনী, ফুল্ল কুমুমিত দ্ৰুমদল, জলপ্রপাতের জীবন্ত প্রবাহ–এ সমস্তই সেই চিরস্থদের চিরকাজিহ্মত