পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՆ-8 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড ASAMSMAJJJJSAJJJAMMMJAJJJAJA AMAAJJAMAJAJJMMJAMMAeMeMAJeAJJMMJAAA AAAA SAAAAAMAA AMAMAA AMJJA AM AMAMMMAMAeMMAMAAAA কিন্তু চির দূরবত্ৰী প্রিয়তমের মূৰ্ত্তি দেখাইয়া দিয়া স্বফাকে পাগল করে। অনেক স্বফী-সাধক প্রেমের উন্মাদনায় নাচিতে নাচিতে মুচ্ছৰ্ণ যাইতেন ( যেমন রাধা-নামের প্রথম অক্ষর শুনিবামাত্র চৈতন্যদেবের ভাব হইত ) ৷ তখন র্তাহাদের মুখ হইতে ভবিষ্যদ্বাণী ভগবৎবাক্য আপন হইতে বাহির হইয়া আসিত । ইহার ফারসী ভাষায় নাম ‘হাল কাল (= দশা ও দৈববাণী ) এবং এগুলি সিদ্ধ স্বফীর চিহ্ন বলিয়া গণিত হইত। সজ্ঞান অবস্থায় ইহারা- এমন কি নিরক্ষর স্বকী সিদ্ধপুরুষগণও— অজস্রধারার মুখে মুখে এই ঈশ্বর প্রেমের কবিতা রচনা করিতেন। ইহাই সে যুগে শিক্ষিত ভারতবাসীদের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রিয়, অধিক প্রচলিত সাহিত্য ছিল। অনেক হিন্দু কেরাণী (লাল কায়েথ এবং পঞ্জাবী ক্ষত্ৰী ) এরূপ পদ্য লিখিয়া বই ভরাইয়াছেন। স্বফী-মতের দুইটি শাখ—পশ্চিম-এশিয়ার ও ভারতীয় । প্রথমটি গ্রীক দর্শনের, বিশেষতঃ আলেকজান্দ্রিয়া নগরের নব-প্লেতোনিষ্ট লেখকদের প্রভাবে গঠিত ; দ্বিতীয়টি সংস্কৃত উপনিষদের নিকট ঋণী । বাদশাহ আকবর পারস্য হইতে আগত কয়েকজন বড় মুফী পণ্ডিত ও ভক্তকে আদর করিতেন, এবং নিজেও তাহাদের ধৰ্ম্মালোচনায় যোগ দিয়া আনন্দ পাইতেন । তাহারই আহবানে এবং অনুগ্রহে গোড়ামীশূন্ত হিন্দু ও মুসলমান প্রকৃত ভক্তদের একত্র করিয়া এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদানের এবং এক সম্মিলিত উদারচেতা উপাসক-সম্প্রদায় গড়িয়া তুলিবার চেষ্ট হইল ; দেশে স্বফী-মতের বহুল প্রসার হইল। উভয় ধৰ্ম্মের মধ্যে একটি সেতু বাধিয়া দিবার এই যে চেষ্ট। তিনি আরম্ভ করেন, তাহাতে র্তাহার প্রপৌত্র দারা শুকে প্রাণ ঢালিয়। দিলেন । এলাহাবাদের সুবাদার থাকার সময় দার কাশীর পণ্ডিতদের সাহায্যে পঞ্চাশখান উপনিষদের ফারসী অতুবাদ রচনা করিলেন, তাহার নাম দিলেন “গুঢ়তম মন্ত্র”, এবং বেদান্তে ব্যবহৃত দার্শনিক শব্দগুলির ফারসী ভাষায় প্রতিশব্দ দিয়া, এবং পারসিক স্বকীসাহিত্য হইতে অনুরূপ বচন উদ্ধৃত করিয়া, মুসলমান জগতের পক্ষে সহজে বেদাস্ত বুঝিবার উপায় করিয়া দিলেন । এই গ্রন্থের নাম "মজ মূয়া-উল-বহরাইন” অর্থাৎ "দুই সমুদ্রের সঙ্গম” তাহার এই উদার মিলনচেষ্টার প্রমাণ দিতেছে । ইতিহাস-রচনা ঐতিহাসিক সাহিত্য ভারতে যে মুসলমানদের দান তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই, এবং এই দান যে কত মূল্যবান তাহ। যাহার এ বিষয় চর্চা করিয়াছেন তাহারাই পূর্ণমাত্রায় বুঝিতে পারেন। হিন্দুদের পখিব ঘটনার ইতিহাস লিখিবার এবং সময়ের হিসাব রাখিবার অভ্যাস, এমন কি প্রবৃত্তি পর্য্যস্ত, ছিল না । [ ইউয়ান চুয়াং কথিত “নীলপীত” বৃত্তাস্তের কোন প্রমাণ বা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় নাই । ] আমরা অকালের ধ্যানে এত মগ্ন যে কালের গতির প্রতি দৃষ্টিই রাখি না। এই বেদন্তিক জাতির নিকট মানুষের পার্থিব জীবন যেন একট। সরাই, অথবা যেমন নানা পক্ষী এক বৃক্ষে নিশীথে বিহরে মুখে, প্রভাত হইলে সবে কে কোথায় উড়ে যায় ! অতএব এ সংসারে কি ঘটিল, কে কি করিল, তাহার বিবরণ রক্ষা করা, এমন কি তাহার দিকে মন দেওয়াও অমূল্য মানব জীবনের অপব্যয়মাত্র, নিজ চরম লক্ষ্য হইতে ভ্ৰষ্ট হওয়া। এই মনোবৃত্তির ফলে মুসলমান আসিবার পূৰ্ব্বে হিন্দুরা ইতিষ্ঠাস লেখে নাই ; রাজার স্তুতির প্রশস্তি বা অতিরঞ্জিত কাব্য কিছু কিছু আছে, কিন্তু তাহা ইতিহাস নহে, তাহাতে তারিখ নাই বলিলে হয় ; এবং শকাবলী (chronology) শ্রেণীর গ্রন্থ পৰ্য্যন্ত পাওয়া যায় না। কিন্তু আরবের খুব হিসাবী লোক, বাস্তব জিনিষের প্রতি সৰ্ব্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখে ; এজন্য তাহারা ইসলামের আদি যুগ হইতে ঘটনার ইতিহাস, শকাবলী এবং জীবনী লিথিয়া গিয়াছে, এবং তাহাদের কাহিনীতে প্রচুর পরিমাণে তারিখ দেওয়া । প্রত্যেক দেশেই মুসলমানগণ বিপুল ঐতিহাসিক সাহিত্য স্থষ্টি করিয়াছে, সেগুলি উচ্চ দার্শনিক চিন্তায় বা বিশ্লেষণে পূর্ণ না হইলেও, শ্রেণিবদ্ধভাবে স্থসজ্জিত, বাস্তব ঘটনার ভিত্তির উপর গঠিত,অনেক