পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ:Տ8 میمیسم میدهیم. چ همه مامه-میم ممسر বিজেতার হাতের পুতুলকে আত্মসম্মানী কোনো বীরজাতি রাজ বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে না । চম্পৎ রায় মোগল-বিরোধী বুন্দেলা জাতীয় দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়া, জুঝার সিংহের শিশুপুত্র পৃথিনারায়ণকে ওরছার রাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন । কিছুদিন পরে পৃথুিনারায়ণ ধৃত হইয়া গোয়ালিয়র-দুর্গে প্রেরিত হইল ; কিন্তু চম্পৎ রায় মোগলের সিংহাসনতলে মাথা নোয়াইলেন না। শিবাজীর পিতা শাহজীর মত তিনিও রাজা এবং রাজ্যশূন্ত দলের অধিনায়ক হইয়। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বীরদপে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। মোগল-ঐতিহাসিকের চক্ষে চম্পৎ রায় সাম্রাজ্য ও সমাজের শক্ৰ—বিদ্রোহী দহ্য। কিন্তু বুন্দেলখণ্ডের ইতিহাসে তিনি নিৰ্ভীক স্বদেশপ্রেমিক—দেশ ও জাতির ত্রাণকৰ্ত্তা । আধুনিক ঐতিহাসিক চম্পং রায়কে দেশভক্ত বা বিদ্রোহী যাহাই বলুন ক্ষতি নাই। উভয়ের মধ্যে তফাৎটাও বড় বেশী নয়, কৃতকাৰ্য্যতার মাপকাটি দিয়া বিচার করিলে অবগুই চম্পং রায় বিদ্রোহী দম্য । কিন্তু বুন্দেলখণ্ডবাসী চিরদিন মনে রাখিবে— “প্রলয় পয়েধি উমও মে জ্যে। গোকুল যদু রায় । র্ত্যে। বুঢ়ত বুন্সেল কুল রাখ্যে চম্পৎ রায় ॥" অর্থাৎ, যদুপতি শ্ৰীকৃষ্ণ যেমন প্রলয় মেঘের অবিরাম বর্ষণ হইতে গাভীগণকে রক্ষা করিয়াছিলেন, তেমনই নিমজ্জমান বুন্দেলা-কুল চম্পং রায়কে আশ্রয় করিয়া রক্ষণ পাইয়াছিল। ১৭০৬ বিক্রম সম্বতের (১৬৫০ খৃঃ) জ্যৈষ্ঠ শুক্ল তৃতীয়ায় চম্পৎ রায়ের চতুর্থ পুত্র ছত্রসলি জন্মগ্রহণ করেন। ছত্রসাল অল্পবয়সেই অস্ত্রচালনা ও লেখাপড়া বেশ শিখিয়াছিলেন। শিবাজী, আকবর, রণজিৎ সিংহ, হায়দর আলী ইত্যাদি মধ্যযুগের অধিকাংশ খ্যাতিমান পুরুষের মত ছত্রসাল নিরক্ষর ছিলেন না । মাতৃভাষায় তাহার বিশেষ দখল ছিল, তিনি পরিণত বয়সে “শ্ৰীকৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন”, “শ্রীরাম-যশ-চন্দ্রিকা”, “হকুমদবিনয়” ইত্যাদি কবিতা রচনা করিয়াছিলেন—এগুলি কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে মূত্রিত হইয়াছে। এই কবিতাগুলি উচ্চাঙ্গের না হইলেও ছত্রসালের জ্ঞানচ চা এবং ধৰ্ম্ম প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৭ SAMMS AMMAMAMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড জীবনের একটা দিক হিসাবে এগুলির মূল্য আছে। ছত্রসালের পিতা চম্পৎ রায় নিরুপায় হইয়া কিছুকাল মোগল-সরকারে চাকরি করিয়াছিলেন । কিন্তু চাকরি করিতে হইলে ত্বকের স্কুলত, চাটুবাদ, চুকলি ইত্যাদি যে-সব গুণ থাকা দরকার চম্পং রায়ের তাঁহা অর্জন করিবার সুযোগ ঘটে নাই। এজন্য র্তাহার মুরব্বী শাহজাদ। দার। শুকো তাহার ব্যবহারে বিরক্ত হইয়৷ উঠিলেন। চম্পৎ রায় দারার সহিত ঝগড়া করিয়া মহোরায় ফিরিয়া আসিলেন। ছত্রসালের বয়স তখন পাচ ছয় বংসর মাত্র । বিপদ, অভাব ও চাঞ্চল্যের মধ্যেই তিনি বাড়িয়া উঠিয়াছিলেন । ঔরঙ্গজেব দিল্লীর তত্তে স্বপ্রতিষ্ঠিত হইয়া চম্পং রায়কে দমন করিবার জন্য সচেষ্ট হইলেন। বুন্দেলখণ্ডে আত্মরক্ষা অসম্ভব ভাবিয়া চম্পৎ রায় মুক্তপিল্পর ব্যান্ত্রের মত পচিশজন মাত্র অমুচর লইয়া দক্ষিণ দিকে ছুটিলেন । কিন্তু ঔরঙ্গজেবের মত দক্ষ শিকারীর হাত হইতে তিনি পলাইবেন কোথায় ? ছত্রসালের মাতুল সাহেব রায় নিজ ভগ্নীপতিকে কয়েদ করিয়া বাদশাহের হাতে সপিয়া দিতে প্রস্তুত হইলেন। চম্পৎ রায় ও রাণী কালীকুমারী বিশ্বাসঘাতক ধন্ধেরাদের হাতে পড়িবার ভয়ে আত্মহত্যা করিলেন । মাতাপিতার শোচনীয় মৃত্যুর পর, মাতুলালয় ছত্রসালের পক্ষে জতুগৃহবাসের ন্যায় হইয়া উঠিল। একদিন স্থযোগ পাইয়া তিনি বড়ভাই অঙ্গদ রায়ের নিকট দেবগড়ে পলাইয়া গেলেন । কপদকশূন্ত, আত্মীয়স্বজন কত্ত্বক পরিত্যক্ত দুই ভাই মায়ের কিছু অলঙ্কার (যাহ অঙ্গদ রায় দৈলবারায় লুকাইয়া রাখিয়াছিল)—বিক্রয় করিয়া পাথেয় সংগ্রহপূর্বক দাক্ষিণাত্যে মির্জারাজা জয়সিংহের অধীনে মোগল-সৈন্তে যোগ দিলেন ( ১৬৬৫ খৃ: ) । এই সময়ে ছত্রসালের বয়স মাত্র পনার বৎসর । মোগল-সেনাপতি লোক চিনিতেন । ১৬৬৫ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে পুরন্দর-দুর্গ অবরোধকালে ছত্রপাল ও অঙ্গদ স্বায়ু বিশেষ লাহুল ও কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন। জয়সিংহের স্বপারিশে সম্রাট ঔরঙ্গজেব চম্পৎ রায়ের দুই পুত্রের