পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b->8 মধ্যে ঘেথানে চারিটি মৎস্যপুচ্ছ যুক্ত হইয়াছে, সেইখানে একটি চক্র দেখিতে পাওয়া যায় । ভিন্ন ভিন্ন আর্য্যপটে এই চক্রটির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন চিহ্ন অথবা মূর্তি অঙ্কিত আছে । মেজর বামনদাস বস্থ মহাশয় কৌশাম্বী হইতে যে আধ্যপটটি এলাহাবাদে আনিয়াছেন তাহার মধ্যস্থলের চক্রে একটি প্রস্ফুটিত পদ্ম আছে। মথরায় যতগুলি ‘আয়াগপট' পাওয়া গিয়াছে, তাহার অনেকগুলির মধ্যস্থলের চক্রে ভিন্ন ভিন্ন তীর্থঙ্করদের মূৰ্ত্তি আছে, দুই-একটিতে একটি রথচক্র অথবা অন্য দুই অtযাপট-মথুরাবাসীদের স্বার। উৎসর্গীকৃত একটি চিম ও দেখিতে পাওয়া যায়। পটের মধ্যস্থলের এই চক্রের মধ্যে তীর্থঙ্কর বা জীনমূৰ্ত্তি অথবা চিন্স ব্যতীত আtয্যপটের আরও অনেকগুলি মঙ্গলচিঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায় যেমন, মৎস্তাযুগল, মঙ্গলঘট, পদ্ম, শঙ্খ, রথচক্ৰ, ইত্যাদি । এই সমস্ত চিঙ্গাদি বৰ্ত্তমান সময়ের চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের লাঞ্ছন । জৈনেরা পূজার সময়ে কুঙ্কম-রঞ্জিত তণ্ডুল (জাফরাণের রং করা চাউল) পাত্রে লষ্টয় তাহাতে এই সমস্ত চিহ্ন অঙ্কিত করিয়া থাকেন । অtধ্যপট বা আধ্যাগ্রপটগুলি ঘে-সমস্ত স্থানে আবিষ্ক ত হইয়াছে সেগুলি ভারতবর্ষ বা আর্য্যাবৰ্ত্তের অতি প্রাচীন কেন্দ্র এবং আবিষ্কৃত শিলালেখ হইতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, খৃষ্টের জন্মের সমকাল পর্য্যস্ত জৈনদের প্রধান প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড তীর্থ ও কেন্দ্র ছিল। ভাগলপুর বা চম্পা, পাবাপুরী বা অপাপপুরী, সমেতশিখর বা পাশ্বনাথ পৰ্ব্বত, প্রাচীন রাজগুহ বা গিরিব্রজ অতি প্রাচীন জৈন তীর্থ, কিন্তু মধ্যদেশ বা যুক্তপ্রদেশের শৌরসেন রাজধানী মথুরা, প্রাচীন বৎসদেশের রাজধানী কৌশাম্বী বা কোসাম, প্রাচীন পঞ্চালের পুরাতন রাজধানী অহিচ্ছত্র বা বারেলীর নিকট রামনগর আর্য্যাবর্তের ইতিহাসে সুবিখ্যাত । উপস্থিত এই তিনটি স্থানে আবিষ্কৃত জৈন পুরাকীৰ্ত্তি হইতে প্রাচীন জৈনধৰ্ম্মের অবস্থা আলোচনা করিব । ১৮৯০ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রাচীন মথুরায় প্রথম খনন আরম্ভ হইয়াছিল । এই বৎসরে অনেকগুলি প্রাচীন জৈন শিলালেখ মথুরার কঙ্কালীটিল। নামক স্থানে প্রাচীন জৈন ংসাবশেষ মধ্যে আবিষ্কৃত হইয়াছিল, কিন্তু তাহাদের মধ্যে আর্য্যপট সংখ্যায় অতি অল্প ৷ খনন কিছুদিন চলিবার পর কঙ্কালীটিলার নিমের স্তরে অর্য্যেপট আবিষ্কৃত হইতে আরম্ভ হইল। মথরীর সর্বপুরাতন আর্যাপটটি আকারে বৃহৎ ও খণ্ডিত, ইহার শিলালেখ ও অসম্পূর্ণ। ইহাতে লিখিত আছে – * নমো অরইতে বধ মানস্ত শোতিপুত্রস পেঠিয় শককাল বালস কোশিকিয়ে শিমিত্রায়ে আয়াগপটো পতি ঠাবিত ) —অহঁত বৰ্দ্ধমানকে নমস্কার । গেীপ্তাপুত্র-প্রোঠয় ও শকদিগের কালব্যাল ( স্বরূপ ).--শিমিত্র।...কর্তৃক আর্য,াগ্রপট্ট প্রতিষ্ঠাপিত । এই সঙ্গে আরও দুই-একটি পণ্ডিত আৰ্য্যপট আবিষ্কৃত হইয়াছিল ; তাহার মধ্যে একটি বারণগণের আর্য্যহাটিয় কুলের বজ্রনাগরিক শাখার এবং আর্য্যশ্রীক সম্ভোগের কোনও জৈনগুরুর আদেশে প্রদত্ত একটি আর্য্যপট। তৃতীয় আর্য্যপটটি রসনন্দীর পুত্র নন্দীঘোষ নামক ত্রৈবর্ণিক কত্ত্বক প্রদত্ত । (১) মথুরার খননকাৰ্য্য চলিতে লাগিল । পরবর্তী দুই বৎসরে আরও অনেক প্রাচীন জৈনমূৰ্ত্তি ও শিলালেখ আবিষ্কৃত হইল। এতদিন পর্য্যন্ত ভারতীয় প্রত্নতত্বে বৌদ্ধধৰ্ম্মই পুরাতন বলিয়া অাদরের বস্তু ছিল, কিন্তু জর্জ বিউলর, প্রমুখ জৰ্ম্মন পণ্ডিতেরা জৈনধৰ্ম্মকে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অপেক্ষ অতি পুরাতন বলিয়া আসিতেছিলেন । এতদিনে o Epigraphia Indica, Vol. I. pp 396 -7