পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šob ۔ سی۔ --مہ“ م۔م۔-- SAAAAAA AAASA SAASAASSAAAASA SAAAAA AAAAA সেই বোধটির দ্বারা স্বীকৃত বা গৃহীত হয়, তখনই সাহিত্য বা শিল্প কলার সৌন্দর্য্যের স্বষ্টি হয়। কাজেই প্রকৃতির বেল শুধু রূপ গ্রহণের কথা ছিল, সাহিত্য বা শিল্প সম্বন্ধে শুধু রূপ গ্রহণ নয়, রূপ স্বষ্টিও ঘটিল। এই বাহিরের দেখা শোনার স্পর্শ ইন্দ্ৰিয়ের মধ্যে ধ্বনিত হইয়া অন্তরে প্রবেশ করিয়া মানসিক সৌন্দর্য্য বোধের সহিত মিলিত হইলেই আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য্যকে বুঝিয় থাকি। কিন্তু যখন আবার এই সমস্ত বাহিরের স্পর্শ শুধু ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ধ্বনিত হইয়াই নয়, আমাদের সমস্ত চিন্তা, কল্পনা, বুদ্ধি দ্বারা সজ্জিত হইয়া নূতন রূপ লইয়া অন্তরের সেই বৃত্তিটির সহিত মিলিত হয়, তখন সাহিত্যের সৌন্দর্য্যের বোধ হয় । বাহিরের যে-সমস্ত উপকরণ শুধু ইন্দ্রিয়ের মধ্যে সঞ্চারিত হইয়া অন্তরের দ্বারে উপস্থিত হয় প্রকৃতির সৌন্দৰ্ঘ্য গ্রহণের বেলা তাহাই উপাদানরূপে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সেই উপকরণকেই যখন আমাদের চিস্তায় বুদ্ধিতে সাজাইতে থাকি এবং সেই সাজাইবার সময় প্রতি স্তরে স্তরে অন্তর হইতে আলোক-রশ্মি বিচ্ছুরিত হইয় প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ তাহাকে বিচার করিয়া দেখিতে থাকে, তখন ক্রমে ক্রমে যে রূপটি গড়িয়া উঠে সেই রূপটি সাহিত্য বা শিল্পের সৌন্দর্য্যের উপাদান, কাজেই সাহিত্য বা শিল্প-স্বষ্টিকে সৌন্দর্য্য-স্থষ্টি এই কারণেও বলা যাইতে পারে যে,বাহিরের উপকরণকে যখন চিন্তার সহিত যুক্ত করিয়া সাজাইতে থাকি তখন প্রতি মুহূর্বে অস্তরের সেই সৌন্দৰ্য্যবোধটি তাহাকে বিচার করিয়া দেখিতে থাকে এবং তাহারই নির্দেশ অনুসারে এই রূপটি গড়িয় উঠে । ইহাই সাহিত্যের সৌন্দৰ্য্য-স্বষ্টি । প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে এবং সাহিত্যের সৌন্দর্ঘ্যে এই পার্থক্য। কাজেই সৌন্দর্য্য বা সুন্দর বলিয়৷ কিছুই অন্তরেও নাই, বাহিরেও নাই ; শুধু যখন এই দৃশ্য, গন্ধ, রূপ, রস, ছন্দ, স্বর, প্রভূতি আমাদের ইন্দ্রিয়কে চঞ্চল করিয়া আপন রূপে অথবা বুদ্ধি, চিন্তা, কল্পনায় নূতন রূপ লইয়া অস্তরের আভ্যন্তরীণ সেই বোধটির সহিত মিলিত হয়, সে যখন ইহাকে গ্রহণ করে, তখনই ভিতর বাহিরের এই বিশেয মিলনের মধ্যে আমরা সুন্দরকে লাভ করি |*

  • উনবিংশ বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের সাহিত্য-শাখায় পঠিত।

বন্দী শ্রীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত চারিদিকে প্রাচীর, প্রাচীরের বাহিরে কিছু দেখিতে পাওয়া যায় না । মাথার উপর একখণ্ড আকাশ, আকাশে কথন পাখী উড়িয়া যায়, কখন মেঘ ভাসিয়া যায়, দিনের বেলা কিছুক্ষণ সূর্য্য দেখা দেয়, রাত্রে কিছু নক্ষত্র, জ্যোৎস্না রাত্রে কিছুক্ষণ চন্দ্ৰ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রাচীরবেষ্টিত স্বল্প স্থানের মধ্যে কয়েক শত মনুষ্য—সকলের এক বেশ, মোটা কাপড়ের হাটু পর্য্যস্ত পায়জামা, গায়ে সেই কাপড়ের পিরাণ, মাথায় সেই রকম টুপী । মোট কাপড়, তাহাতে নীল ডোরা । সকলের গলায় একটা টিনের চাকৃতি, তাহাতে একটা নম্বর খোদা । এই সকল লোকদের নাম নাই, শুধু নম্বর । যাহার যে নম্বর তাহাকে সেই নম্বর বলিয়া ডাকে । ইহার বন্দী, ইহাদের বাসস্থান,কারাগার। কতক লোকের পায়ে শৃঙ্খল, সকলের মাথার চুল ছোট করিয়া কাটা । কারাগারের মধ্যে আর একটা প্রাচীর, এক ভাগে বন্দীরা শয়ন করে, অার এক ভাগে কাজ করে । জাতায় আট পিষিতেছে, ঘানিতে তেল বাহির করিতেছে। কোথাও শতরঞ্জি, গালিচা প্রস্তুত হইতেছে, কোথায়ও ছুতারের কাজ। পাকশালায় কয়েকজন বন্দী সকলের জন্য পাক করিতেছে, মোট