পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-&b" م۔م۔مبہمہمہ:میھمبےحمہمہم بمبی همی-می-سی “কজন বেরিয়েছি মানে ?” ” “পিকেট করতে ক’জন বেরিয়েছেন, তাই জানতে চাচ্ছি ।” “আমি একলাই । আমি স্বদেশীদলের কেউ নই ৷ আপনাদের রাখা উচিত তাই আপনাদের বেরিয়েছি।” “ও চনেছি মশায় এতক্ষণে। আপনি বিষ্ট চরণবাবু, না ? সেদিন গোলদীঘিতে বক্ততা দিয়েছিলেন ? হাঃ হাঃ ! এত ফিকিরও আপনার মাথায় আসে মশায় । পিকেটুও করা হবে অথচ পুলিশও কিছু বলতে পাবে না, বেড়ে । পোষাকমৃদ্ধ আগাগোড়া বিলিতি করে? এসেছেন, হাঃ হাঃ ! বক্ষন, বস্থল ভালো করে’ ৷ পান আনিয়ে দিচ্ছি। বুলুন . ত আপনার কথাগুলো, কেন বিলিতি কাপড় আমাদের রাখা উচিত ? ওরে মনোরঞ্জন ওরে ও হরিকিশোর ! এদিকে আয় শীগগির । মজা আছে।” রেগে মুখচোখ লাল’ করে বেরিয়ে এসে তিনি অন্য দোকানে ঢোকেন । রাগটা ভালো করে’ না পড়তেই জিজ্ঞেস করেন, “বিলিতি কাপড় আছে ?” গলার সুরে মেজাজের তাপটা ধরা পড়ে । - দোকানী বলে, “উ:, তস্বি দেথ না । যদি বলি আছে, তাই কি ?” “আছে কি ন জানতে চাই ।” “আপনি জানতে চাইবার কে ?” “আমার দরকার আছে।” "না, দরকার নেই।” “আমি বলছি আছে, আর আপনি বলছেন নেই ?” “হ্যা, আমি বলছি নেই। একশোবার বলছি নেই।” “ভালো জাল ! আমি বিলিতি কাপড় কিনতে আপনি যা মনে করেছেন তা নয়, বিলিতি কাপড় কেন বলতে চাই মশাই, কোথায় আছে বিলিতি কাপড় বার করুন।” . “বার করছি ; ওরে ভূতে, ডাক্ ত পুলিশ, মোড়ের কাছেই আছে দেখতে পাবি। চালাকিট বার করছি। দোকানপাট উঠে যাবার জোগাড়, তাতেও খুশি নয়, [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড রোজ পচিবার আসবে জালাতন করতে, আবার ঢং করে বলছে, বিলিতি কাপড় কিন্‌তে চাই মশাই ! ডাক পুলিশ।” “পুলিশ, পুলিশ !” বিষ্ট মামা বাড়ী এসে আবার দরজায় খিল দেন। দ্বিতীয় বক্তৃতার নোটু নেওয়া চলতে থাকে। কিন্তু পাশের ঘর থেকে চবুকার শব্দের সঙ্গে আজ চড়ির রুমুঝুহু কানে আসে এবং আজ . তাতে কাজের ব্যাঘাত হয় । বহুকাল পরে সেই শব্দের আঘাতে বুকের রক্ত বায়ু পৃষ্ট দীপশিখার মত চঞ্চল হয়ে কাপে। দুটি হাস্যক্ষুরিত অধরোষ্ঠ এবং প্রীতিভারনমিত স্নিগ্ধ চোখ মনে করে’ দেশী-বিদেশীর বিরোধ, প্রবন্ধ, বক্তৃতা, পিকেটিং, সমস্তকিছুকে তার পাশে অত্যন্ত অর্থহীন উদ্দেশ্যহীন পাগলের প্ৰলাপ বলে’ বোধ হতে থাকে। আর এই পৃথিবী, কি নিষ্ঠুর মমতাহীন এর বাইরেটা। কেবল ভিড়, কেবল ঠেলাঠেলি, একটা বিপুলাকার গুরুভার জগদলপাথরের রোলার টেনে সকলে চলেছে, দাড়িয়ে কারও সঙ্গে ভালো করে চোখ-চাওয়াচাওয়ি করবার উপায় নেই, অমনি চাপ পড়তে হয়। কেউ কারুকে কাছে ডাকে না, কেউ কারুকে বুঝতে চেষ্টা করে না, বলবার কথা শেষ হবার আগে করতালি দিতে থাকে, ভালো করতে গেলে মন্দ বোঝে। আজ একটু স্নেহসমবেদনার জন্যে তার শুদ্ধ চিত্ত থেকে থেকে হাহাকার করে উঠতে লাগল। কতকাল গৃহিণীকে কাছে পাননি, ভালো করে তার মুখের দিকে তাকান নি, হেসে দুটো কথা বলেন নি। তিনি নিঃসস্তান, সংসারে তার মনের আর ত কোনো অবলম্বনই নেই। রাত্রিতে আহারাদির পর সস্তপণে মামীমার শয়নমন্দিরে এসে ঢুক্লেন । দেখলেন, মামীম চরকার সুতো নাটাইয়ে জড়িয়ে রাখছেন । যেন কোথাও কিছু হয়নি এমনি গম্ভীরভাবে মামী বললেন, “দেখছ স্থতো ?” মামা বললেন, "হ, ঐ দিয়ে আমার জন্তে দড়ি তৈরি হবে, আমি গলায় দেব ।” মামী চোখের তারা কপালে তুলে বললেন, “ওম, সঙ্গে