পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-8b. SAASASAAAAASA SSASAS SS SAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA S AAAAAS S প্রবাসী—স্তাশ্বিন, ১৩৩৭ S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAA M AAAA SAAA AAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড একটু নিকটে গিয়া বলিলাম—“এই রাখুন টিকিটটা । হ’ল.এ পর্যন্ত মুখ ফুটে কিছু বললেন না তো আগে বলেন মি কেন ? টিকিটের জন্য কত বিড়ম্বিত হলেন দেখুন তো ”—একটু অভিমানের স্বরেই কথাগুলো বাহির হইল ; আঘাতটা আমারই বেশী লাগিয়াছিল কি না । ডান হাতের শুধু আঙল ক’টি কাপড়ের রাশির মধ্য হইতে বহির করিয়া প্রসারিত করিয়া ধরিলেন। রাঙা টিকিটখানি মাঝখানে আলগোছে রাগিয়া দিয়া কহিলাম, “কই আপনার তো কিছু খাবার কেন দেখছি না ?” এই সময় গার্ড হুইস্ল দিল। দুয়ারের কাছে তাড়াতাড়ি আসিয়া “গাবর ওয়াল, খাবারওয়াল” করিয়৷ চীৎকার করিলাম । * কেহ উত্তর দিল না। নিকটে একট ছিল, ভ্র নাচাইয়া বলিল, “ধড় । চালাক হায়, হুইসিল দিয়া আউর খাবার ওয়ালা, খাবারওয়ালা!” • ডাকিলাম “পানিপাড়ে ।” সঙ্গিনীকে জিজ্ঞাসা করিলাম “ঘটি আছে ?” বেঞ্চের নীচের পানে তর্জনীর সঙ্কেত হইল- একটি সুদৃশ্ব জারমান সিলভারের ঘট । বাহির করিয়া পানিপাড়ের নিকট জল লইলাম । তাড়াতাড়িতে থঞ্চেতে একটা আট আনি দিয়া চার দোনা অর্থাৎ এক আনার পান লইলাম। পয়স ফেরৎ পাইলাম না। কারণ গঞ্চের মাঝখানে চোথের সামনে এককঁাড়ি পয়সা থাকিলে ও পানওয়ালার হঠাৎ বিহীরকম দৃষ্টিবিভ্রম আসিয়৷ পড়িল-সেই অবসরে গাড়ির বেগ বাড়িয়া আমরা প্লাটফর্মের বাহিরে আসিয়া পড়িলাম । সাত আনা পয়সা গেল, কিন্তু সাত আনা পয়সা অথবা পয়সা মাত্রই গ্রাহ করি, মনটা সে-সময় এরূপ বস্তুতান্ত্রিক ছিল না । সঙ্গিনীকে উদ্দেশ করিয়া বলিলাম, “এসব তো হ’ল, কিন্তু থাবার আপনার ? ...ডা হোকৃ আমার দরকার হবে না-চা’ টা খেয়েচি ।” বলিয়া সমস্ত খাবার, জল, তিনদোনা পান সামনের বেঞ্চের উপর রাথিয়া দিলাম। একটু ক্ষুব্ধভাবে বলিলাম, —“অনেকক্ষণ খানি নিশ্চয়। খাবার খুবই সামান্ত আমার আর দোষ কি বলুন ?” এথানে স্বন্দরী আমায় একটু কৃতাৰ্থ করিলেন। খাবারের ঠোঙাটি লইয়া আমার দিকে পশ্চাং করিয়া বসিলেন। ঘট হইতে জল লইয়া মুখ ধুইয়া আহারে প্রবৃত্ত হইলেন এবং দু’চার মিনিটের মধ্যেই ঠোঙাটি খালি করিয়া জানালা গলাইয়া বাহিরে ফেলিয়া দিয়া ঘটার প্রায় অৰ্দ্ধেক জল ঢক্‌ টক্‌ করিয়া পান করিয়া ফেলিলেন । বলিতে কি, আমি ঠিক এরকমটি আশা করি নাই । আশা যা করিয়াছিলাম তা বরং এই যে, আহায্যের কিছু অংশ দরদভরে আমি শ্ৰীহস্ত হইতে লাভ করিব।. আমার কাব্যের অতিকোমল অঙ্গে একটি রূঢ় আঘাত লাগিল। কিন্তু স্বগের বিষয়ই হোক আর যাই হোকৃ ব্যথাটা স্থায়ী হইল না। সঙ্গিনীর গ্রহণ এবং ভোজনের মধ্যে বে একটা নগ্ন স্থূলতা ছিল, একটু চেষ্টা করিয়া ভাবিতেই সেইটেই আমার চক্ষে সুন্দর হইয়া ফুটিয়া উঠিল। মনকে বুঝাইলাম-প্রত্যেক মানুষটির মধ্যে একটি পশু বর্তমান । আমরা তাহাকে চাপড়াইল্লাচুপড়াইয়া শিষ্ট এবং সংযত করিয়া রাগি—এবং লোকচক্ষুতে এই শিষ্টতfট হয় সৌন্দর্য্য। এ এক ধরণের সৌন্দৰ্য্য বটে। কিন্তু ইহার মধ্যে সৌন্দর্ঘ্যের পূর্ণরূপটি তো পাওয়া যায় না । সে-রূপ পাওয়া যায়, যখন প্রকৃতির তাড়নায় সেই পশুটি সংযমের এবং আচারের সমস্ত শুঙ্খল ঝনঝনাইয়া তাহার সমগ্ৰ বীভৎসতায় বাহির হইয়া আসে। তখন মানুষের কোমলতা ও পশুর কঠোরত মিলিয়া এক অপরূপ রূপের স্বষ্টি হয়, সেই পূর্ণ। ঝরণার শ্ৰী যেমন, শুধু স্নিগ্ধ, স্বচ্ছ কালে জল হইলেই হয় না— তাহার সঙ্গে গর্জন চাই আর চাই উপলবিক্ষুব্ধ ফেনার আবিলতা । এই রহস্যময়ী কোমলাঙ্গিনীর ক্ষুধা-উগ্র আহারের মধ্যে আমি এই রকম গোছের একটা মাধুর্য্য দেপিয়! নিজেকে রুতার্থ মনে করিলাম । দেখিলাম সুন্দরী পানের দোনা হইতে পান বাহির করিয়া হাতে ধরিয়া নিশ্চলভাবে বসিয়া আছেন । প্রশ্ন করিলাম—“জরদা খান ?”