পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ാ.--ും ------ করিয়া ইহার কোনও প্রতিবাদ করেন নাই । এইরূপে একশ্রেণীর হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমানদের মন উত্তেজিত ও বিরুদ্ধভাবাপন্ন হইয়া আছে, এমন সময় ঢাকার হাঙ্গামা বাধিয়া উঠিল । ঢাকা হইতে দলে দলে মোল্লাপ্রচারকের আসিয়া এই বিদ্বেষাপ্লিতে ইন্ধন যোগাইতে লাগিল । ধনী, মহাজন ও জমিদারের বিরুদ্ধে ক্ষেত্র প্রস্বত হইয়াই ছিল, ঢাকার মোল্লারা আসিয়া তাহার সঙ্গে হিন্দু কথাটা বসাইয়। দিল । গ্রামে গ্রামে, দিনে এবং রাত্রে, সম্পন্ন মুসলমানদের বাড়ীতে এবং মসজিদে মুসলমানদের গুপূসভ হইতে লাগিল । তাহাতে মোল্লারা সাম্প্রদায়িক বিষ উদগীরণ করিতে লাগিল । কিরূপে হিন্দু জমিদার, মহাজন ও ধনীদের উচ্ছেদ সাধন করা যায় তাহার উপায় উদ্ভাবন করা হইল । স্থির হর্তল জমিদারদের পজিন বন্ধ করিতে হইবে, আর পনীর ধন লুঠ করিয়। ত{চার ধনাগমের পথ রোধ করিয়। তাহাকে দরিদ্রের সঙ্গে এক করিতে হইবে । তারপর আর এক সমস্যা । মুসলমানকে কি করিয়া ঋণমুক্ত করিয়৷ হিন্দু মহাজনের করা সায় । তাহার ও সোজ। ‘পিকেটিং’ ; অর্থাং খাতকের কবল • চইতে মুক্ত উপায় নিদ্ধারিত হইল, সমবেত হইয়। মগুণ জনের বাড়ীতে গিয়া থ তপত্র ফেরং চাহিবে । সেখান হইতে নড়িবে না । তবে এ সত্য গ্রহ অহিংস ততবার দরকার নাই । দরকার হইলে বলপ্রয়োগ করিতে হুইবে । এই সকল কাজ দিবাভাগে করিতে হুইবে, লুণ্ঠনাদি রাত্রে করিলেই ‘গোনা' হয়, দিনে করিলে পাপ নাই ! তাহার পর আসিল, কাফেরের ধন লুণ্ঠন করিলে পাপ নাই । হিন্দুদিগকে লুঠপাট করিয়৷ উত্যক্ত করিলে হয় তাহার। মুসলমান হইয়া যাইবে,নয় গ্রাম ছাড়িয়া পলাইবে , তাহাতেও দেশে সাম্য’ স্থাপনের সুবিধ হইবে । এই সঙ্গে প্রচার করা হইল গবৰ্ণমেণ্ট না দিলে সত্যাগ্ৰহ কর। হইবে, অর্থাং কেক্ত কারণ কোন ও নবাবের কাজে পশী হইয়। তাহাকে তেরদিনের জন্য ‘চার জেলার লাট করিয়; দিয়াছেন । এষ্ট তেরদিন হিন্দুর উপর অত্যাচার করিলে কোন ৪ দণ্ড হইবে না । ঢাকা হইতে আগত লোকের মুখে তথাকার বিবরণ শুনিয়া এ বিষয়ে লোকের আর সন্দেহ কিশোরগঞ্জ b•©Ꮔn SAAAAAA AAAA AMAAA AAAA AAAASAAAAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA S AA AAS SAMAMMAMAS AM AMAMSAAAAAAASAAAA রহিল না । এইরূপে ধনসাম্যবাদ, সত্যা গ্রহ, আইন অমান্ত, ধৰ্ম্মের বিধান, শরিয়তের আদেশের সমন্বয় করিয়া মুসলমানদিগকে হিন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষেপাইয়া তোলা হইল । আগুন যখন জলিয়া উঠিল, তখন তাহাতে শ্রেণীবিদ্বেষের নামগন্ধ রছিল না, সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক আকারেই তাহা দেখা দিল । ধনী দরিদ্র, মঙ্গাজল পাতকের পার্থক্য রহিল না । ধনী হিন্দুর গৃহ ও লুষ্ঠিত হইল, দরিদ্র হিন্দুর পর্ণকুটার ও লুষ্ঠিত হইল ; ধনী হিন্দুর গৃহ ভস্মীভূত, আসবাবপত্র চুর্ণবিচর্ণ হইল ; দরিদ্র হিন্দুর মৃৎপাত্র ও ছিন্ন কাথাটুকু ও রেহাই পাইল না । সম্লান্ত ও শিক্ষিত মুসলমানের কেহ সম্মথে আসিয়া, কেহ পশ্চাৎ হইতে মুসলমানদিগকে প্ররোচিত করিতে লাগিল ; ধনীদরিদ্র-নিৰ্ব্বিশেষে সমস্ত হিন্দ পযুদস্ত বিধ্বস্ত হতীয় গেল 發 কিশোরগঞ্জ হইতে প্রায় গ্রামের শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ সম্পন্ন গৃহস্থ ও তালুকদার । ১০ই জলাই সকাল বেল। তিনি সংবাদ পাইলেন যে, স্থানীয় গ্রামস্থ মুসলমানের তাহার বাড়ী লুঠ করিবার জন্য দলবদ্ধ হইয়াছে । তিনি সংবাদ পাইয় ভীত হইয়। গ্রাম ত্যাগ করিবার উদ্যোগ করিলেন । পাশ্ববর্তী গ্রামের কয়েক জন মুসলমান মা তলবর আসিয় তাহাকে আশ্বাস দিয়া বলিল যে, তাহার কোন ভয় নাই । তাহার উপর মা হাতে কোন ও অত্যাচার না হয় তাহার ব্যবস্থ৷ তাহার করিবে । সুরেনবাবু শুইলেন, কিন্তু নিশ্চিন্ত হইতে পরিলেন ন; । সেদিন শুক্রবার ; ক্রমে বেল। বাড়িয়া দ্বিপ্রহর হইল । মুসলমানরা সেদিন দলে দলে স্থানীয় মসজিদে সমবেত হইতে লাগিল । গ্রাম্য মসজিদে এত অধিকসংখ্যক লোক আর কখন ও নিরস্ত হয় নাই । বাধিয়া স্বরেনবাবুর বাড়াতে উপস্থিত হইল। ইহাদের মধ্যে অনেকেই স্বরেনবাবুর প্রজ ও খাতক । মুরেলবাবু নমজি হঠয়া যাইবার পর মুসলমানের দল নিৰ্ব্বিবাদে দলিলপত্ৰ দিয়া দিলেন । সেথান হইতে তাহার। ঈশ্বরচন্দ্র শীলের বাড়া গিয়া জোর করিয়। সমস্ত দলিলপত্র আদায় করিয়া লইল । ক্রমে সমস্ত হিন্দু মহাজনের বাড়া গিয়। কোথাও জোর