পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] লিখে, এদের বুঝিয়ে দিলেন। এইভাবে ডচ পণ্ডিতের মধ্যস্থতায় সাবিত্ৰী-দান হ’ল । এরা কতকগুলি তাল-পত্রের পুথি দেখালেন ; আমরা তা প’ড়তে পারলুম না। বেশ পরিষ্কার মাজ তাল-পাতায় লোহার ‘লেখন' দিয়ে অক্ষরগুলি লেখা। ঠিক উড়িয়া বা তেলুগু ব। সিংহলী পুথির মতন। চারথানি পত্রের একখানি ছোটো পুথি পদগুরা আমায় উপহার দিলেন। সংস্কৃত পুথি এই রাজার কাছে কিছু নেই, সব বলিদ্বীপীয় আর প্রাচীন যুবদ্বীপীয় ভাষার পুথি । রাজ ব’সে ব’সে সব শুনছিলেন আর দেখছিলেন । মহাভারতের কথা উঠল। তিনি ব’ললেন, মহাভারতের সমগ্র আঠারো পৰ্ব্ব বলিদ্বীপে নেই, অন্ততঃ ভাষায় নেই ; ভারতবর্ষ থেকে তাকে আমি সমগ্র মহাভারত পাঠিয়ে দিতে পারি কি না । সভা, বন, মৎস্য, দ্ৰোণ, কর্ণ, শল্য, অমুশাসন, রাজধৰ্ম্ম— এইগুলি ওদেশে পাওয়া যায় না। রাজাকে দেখলুম যে, তিনি সাধারণ দেবতাবাদে বিশ্বাসী । দার্শনিক চিন্তার ধার ধারেন না । দশ লোকপালের কথা হ’ল ; ইন্দ্র, যম, কুবের, বরুণ—এদের মন্ত্র বা স্তব রাজার বা তার পুরোহিতদের জানা নেই ; রাজা আমাকে অনুরোধ করলেন যেন আমি দেশে ফিরে গিয়ে ইনড়াসটাউআ? (ইন্দ্রস্তব ) ইয়ামাস্টাউআ? ( যমস্তব ) ‘কেরাসটাউআ' ( কুবেরস্তব ) আর ‘উঅরুনাস্টাউআ’ ( বরুণ স্তব ) লিখে পাঠিয়ে দিই। দেশে ফিরে আমি এই সব দেবতার ধ্যান দ্বীপময় ভারত brbペ) আর প্রণাম রোমান অক্ষরে লিখে পাঠিয়ে দিয়েছিলুম ; আর সংস্কৃত মহাভারত তো ওখানে কেউ পড়তে পারবেন না, তাই ছবিওয়ালা বাঙলা মহাভারত আর রামায়ণ পাঠিয়ে দিয়েছিলুম। রাজা আমাদের গিয়tঞারের পুরীতে রবীন্দ্রনাথ { শ্ৰীযুক্ত বাকে কর্তৃক গৃহীত ) মাঝে মাঝে দুএকটি প্রশ্ন ভাবের প্রশ্ন সেগুলি নয় । ‘ইন্দ্র-লোক কোথায় ? ‘নক্ষত্রগুলি কি ?’ এই ধরণের প্রশ্ন । প্রশ্ন ক’রে ইনি উত্তরের অপেক্ষ রাখেন না অন্য প্রসঙ্গ এনে ফেলেন । ভাবে মনে হ’ল, পুরাণোক্ত বর্ণনাকে তিনি ক’রেছিলেন—খুব গভীর