পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] भङ्गांग्नीं bー。) ക്ഷബ আমার যা পাবার ত পাওয়া হয়ে গিয়েছে, তবে বঞ্চিত হ’ল অন্তরা, যারা এটার ভাগ কবিতার মধ্যে দিয়ে পেতে পারত।” মায়া বলিবার কিছু খুজিয়া পাইল না। তাহার মনের কথাই দেবকুমারের মুখ দিয়া বাহির হইতেছে যেন । গাড়ী আসিয়া দাড়াইল । মায়া বলিল, “আপনি সত্যি যেন ভাববেন না, এতক্ষণ থেকে আপনি আমায় একটুও বিরক্ত করেছেন। আমি এত বেশী একলা থাকি যে কেউ দয়া করে এলে অত্যন্ত খুশি হই।” দেবকুমার বলিল, “দয়াট। আপনিই তাদের করেন, এবং সেটা বুঝতেও পারেন না। আচ্ছা, এখন আসি।” সে নমস্কার করিয়া গাড়ীতে উঠিয়া বসিল । মায়া খানিকক্ষণ নীচেই দাড়াইয় রহিল। তাহার পর আস্তে আস্তে সিড়ি দিয়া উপরে উঠতে লাগিল । অজয় বা তাহার পিতা যে বাড়ীতে নাই, ইহাতে সে খানিকটা যেন স্বস্তি পাইতেছিল । তাহার মনের অবস্থাটা, এমনি হইয়াছিল যে, কাহারও সঙ্গে কথা বলাই তাহার অসম্ভৱ বোধ হইতেছিল । নিজের শুইবার ঘরে ঢুকিয়া দেখিল আয় তখনও বিছানা করিতেছে । মায়াকে দেখিয়া সে তাড়াতাড়ি কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাবু চলা গিয়া দিদিমণি ?” মায়া বলিল, “হঁ৷ ” সে অন্যমনস্কভাবে ব্রোচ, নেকৃলেশ প্রভৃতি খুলিয়া রাখিতে লাগিল। আয় একটু পরে বলিল, “বহুৎ আচ্চ দেখ নে কে হায় । ছোকরা বোলতা বারিষ্টার বনকে আয় ?” মায়া জোর করিয়া হাসিল, বলিল, “যা, যা, তোর : অত খবরে কাজ কি ? বারিষ্টার ত কত লোকেই হয়।” আয়ার কাজ আর শেষই হয় না। চাদর ঝাড়িতে ঝাড়িতে বলিল, “সাদি হোনে সে दछ्९ श्रोझो ।” - & মায়া চমকিয়া উঠিল। চাকরবাকরেও হঠাৎ একথা বলিতে জঙ্ক করিল কেন ? তাহার যে দেবকুমারের সঙ্গে বিবাহ হইতে পারে তাহা মনে করিবার উহাদের কি কারণ ঘটিয়াছে ? মায়। ত যথেষ্ট সাবধান হইয়াৰ্লচলিয়াছিল, দেৰকুমারের ব্যবহারেও কোথাও কোনো ক্রটি হয় নাই। তাহা হইলে এমন কথা, উহাদের মনে আসিল কেমন করিয়া ?” সে আয়াকে তাড়া দিয়া বলিল, “কি কাজে বকিস্ ? ফের এসব কথা শুনলে তোর চুল ছিড়ে দেব। যত বড় বুড়ো হচ্ছিস, তত আক্কেল কমছে।” আয় হাসিয়া ঘর হইতে চলিয়া গেল। যাইব৷র আগে একথান চিঠি মায়ার হাতে দিয়া বলিল, চিঠিখানা খানিক আগে আসিয়াছে, বাহিরের বাবু থাকার জন্ম সে দিতে পারে নাই । উপরের হাতের লেখাটা দেখিয়া চিনিল, প্রভাসের চিঠি । খুলিতে বিশেষ উৎসাহ বোধ হইল না। চিঠিখানা ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখিয়া সে আস্তে আস্তে কাপড়চোপড় ছাড়িতে লাগিল, তাহার-মনোজগতে এখন প্রবাসের স্থান- কোথায় ? সাবিত্রী, তাহার স্মৃতি-মন্দির স্থাপন, দেশের কাজ করা, সবই যেন মায়ার জীবন যইতে একেবারে মুছিয়া গিয়াছে । সেখানে এখন একাধিপত্য । কয়েকটা মাত্র দিন আগে যে, মামুষের অস্তিত্ব সে জানিত না বলিলেই হয়, এখন তাহাকে ছাড়া আর কিছু মায়া ভাবিতেই পারে না । কিন্তু সে ভাবনায় আনন্দ যত, বেদনা তত । মায়া কি করিবে, কোন পথে যাইবে ? কাপড়চোপড় ছাড়া হইয় গেল । নিজে আর সে-সব গুছাইয়। রাখিতে তাহার ইচ্ছা করিল না, আয়ার জন্ত ইলেকটিক বেল বাজাইয়া, চিঠিথান হাতে করিয়া সে নিজের পড়ার ঘরে চলিয়া গেল । প্রভাস বেশী কিছু লেখে নাই। সে সময়-মত ছুটি পায় নাই। কয়েক দিন, পরে মাস-দেড়েকের ছুটি লইয়া বাড়ী যাইবে । ছোট ভাই স্বভাসের বিবাহ সেই সময়। বিবাহ এবং তদামুসঙ্গিক সব গোলমাল চুকিয়া গেলেই সে মায়ার কাজ লইয়া পড়িবে। Plan সব ঠিক হইয়া গেলেই সে বৰ্ম্ম যাত্রা করিবে। তাহার দেশ-বেড়ানোও হইবে, মায়ার কাজও হইবে। অনেকদিন হইতেই তাহার দেশবিদেশ বেড়াইবার