পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ কাশী ভারত স্ত্রীমহামগুলের পঞ্চম অধিবেশন— বিগত ৭ই ভাদ্র রধিবার কাশী ভারত স্ত্রীমহামণ্ডলের পঞ্চম বার্ষিক জধিবেশন সমারোহপূর্বক স্বচারুরূপে সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। কাশীর বহু সম্রাপ্ত মহিলা উহাতে যোগদান করিয়াছিলেন । বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ঐযুক্ত ফণীভূষণ অধিকারী এম-এ মহাশয়ের সুযোগ্য পত্নী শ্ৰীমতী সরযুবালা দেীকে সভানেত্রীরূপে মনোনীত করা হয় । শ্ৰীমতী মানময়ী দেবীর সংস্কৃত বন্দনার পল শ্ৰীমতী চায়ারাণ সৗষ্ঠাল ও কুমারী স্বকৃতি সাষ্ঠালের সুললিত সঙ্গীত হইলে, সভানেত্রী ও খ্ৰীমতী নিয়ারিগ দেবী সম্ভাষণ, সম্পাদিকা শ্ৰীমতী স্নেহলতা চৌধুরী প্রবন্ধ এবং স্বীমল্লামগুলের বাৎসরিক কাৰ্য্য বিষয়ণ পাঠ করেন । . তাহার পর কুমারী অনুরূপ। দেবীর মধুর সঙ্গীত হয়। অতঃপর দুইটি ছোট বালিকা “দেশের মেয়ে" কবিতাটি আবৃত্তি করে । তারপর ঐীমতী নির্গল সান্তালের নারীশিল্প ও তাহাদিগের স্বাবলম্বী হওয়া সম্বন্ধে, শ্ৰীমতী সরোজিনী দেবীর মানুষের তর্কবাদের ফলাফল এবং অমল দেবীর বর্তমানে দেশেব অবস্থায় নারীর কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে প্রবন্ধ পাঠ করিলে পর শ্ৰীমতী মানময়ী দেবী হয়িকীৰ্ত্তন করেন। অতঃপর সিন্দুর চন্দন এযং তাম্বুলাদি দ্বাব সমবেত মহিলাগশের সমৰ্দ্ধন। অস্তে সঙ্গীভঙ্গ হয় । দিল্লীর অন্ততম আদি প্রবাসী বাঙ্গালী স্বগীয় অক্ষয়চন্দ্র বস্ত্ৰআমরা স্ট্রীযুক্ত বামিনীকান্থ সোমের নিকট হইতে দিল্লীর অস্ততম BBBD DDDD DDDDH BBBB BBBB BBB BBDD D DBBS কাহিনীটি পাইয়াঙ্কি । দিল্লীর আদি প্রবাসী-বাঙ্গালীদের অন্ততম অক্ষয়চন্দ্র বসু মহাশয় গত ১লা ভাত্র সোমবার ও ১ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিয়াছেন। বস্তু মহাশয় কৃতী পুরুষ ছিলেন । একজন উচ্চশ্রেণীর র্যাডভোকেট বলিয়। এ অঞ্চলে তার খুব সুনাম ছিল । কিন্তু মানুষ হিসাবে তিনি আর অনেক বড় ছিলেন । তিনি অঞ্জীবন সত্যtশ্রয়ী ও সত্যনিষ্ঠ ছিলেন । এ জঙ্ক এদেশের লোক তাহাকে খুব শ্রদ্ধা ও শুক্তি কল্পিত । বল্প মহাশয়ের পূর্বপুরুষেরাই ছিলেন দিল্লীর আদি প্রবাসী বাঙ্গালী । ইহাদের আদি নিবাস চন্দননগল । ইহাদের দিল্লীউপনিবেশের কাহিনী সংক্ষেপতঃ এই ৷ ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে বহু মহাশয়ের পিতামহ স্বগীয় চূণশিল বহু प्रइtअग्न शउभूद्र cभीमा भिग्नांtझ cप्रभ°र्षाप्लेन डेभलप्म निर्झौ •र्गाख আসেন ও পরে "স্কিমাস হস" নামক সেনাবিভাগের আপিসে কৰ্ম্মগ্রহণ করেন। চূণীলালের জ্যেষ্ঠপুত্র তারকনাথ বন্ধও পিতার অনুবর্তী হন । তিনি ১৮১৫ খৃষ্টাৰো দিল্লী আসিয়া পিতার কাজে বহাল হন। ऊोग्नकनांtथग्न कनिछे अङि1छैभा5ग्नप्*ग्न सृग्रम एळथन sc॥s७ १९गब्र । ऊिनि cम८५ #ाकूद्रबाब्र बिकल्ले थोकिटङन । श्%ां९ ७कलिम छिनि #ाकूब्रभाब्र উপব রাগ করিয়া দিল্লী পলাইয়। অসিলেন । দেশ হইতে এ অঞ্চলে বাতায়াতের পথ একেবারেই সহজ ছিল না । এই উমাচরণই ছিলেন অক্ষয়চন্দ্র বসু মহাশয়ের পিতা । উমাচরণ দিল্লীতে-আসিয। ভাল কবিব লেখাপড় শেপেন এবং ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে তখনকার দিনে বাঙ্গাল। গবন্মেণ্টের খাজাঞ্চিখানায় কৰ্ম্মে বঙ্গল হন । নানা বিপদ আপদেব মধ্য দিয়া ইহ বা এখানে স্থাধী হন। ইহলোক ত্যাগ করিয়া মানুষ পরলোকে চলিয়া গেলেই তাহীর সম্বন্ধে প্রশংসায় শতমুখ হইয়। উঠা সাধারণ নিয়ম । বল্প মহাশয় জীবদ্দশাতেই সকলেব নিকট সকল বিষয়ে প্রশংসাভাজন ছিলেন । তাহাব ব্যবহণবিক জীবন, সমাজ জীবন ও পারিবারিক জীবন এমনই উদার, উন্নত ও স্নেহময় ছিল যে তাঁহ প্রযাগী বাঙ্গালীদেব আদশ হওয়াল যোগ্য । প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যাহাবা কেবল স্বজাতির বিশিষ্টতা লইযা গেীবল কলেন এযং এ দেশীয় সকল ব্যাপাবেই উদাসীন থাকেন । বসু মহাশয় কিন্তু ইহার ব্যতিক্রম ছিলেন । তিনি অ-বাঙ্গালীদের সঙ্গে সকল বিষয়ে অল্পরের সহিত মিশিতেন ; তিমি ছিলেন ষ্ঠাহীদেরই একজন, সঁtহীদের উন্নত চরিত্র বাঙ্গালীকে এ দেশবাসীর নিকট শ্রদ্ধা ও সন্মানের পাত্র কবিয়া তুলিতে পারে। তৃহার শক্তি ও অর্থ কেবল নিজের স্বার্থেই ব্যয়িত হুইত না । লোকহিতকর সকল অনুষ্ঠানের সঙ্গেই তাহার আন্তরিক:সহযোগিতা ছিল । তাহাকে পাইলে সকল অনুষ্ঠানই সাফল্যলাভ করিত। উগছার গোপনদান অনেক ছিল। বg দরিদ্র ছাত্রকে তিনি অথসাহায্য করিতেন--তার ভিতব বাঙ্গালী, অবাঙ্গালী এবং মুসলমান ছাত্র ও ছিল । সকলকেই তিনি সমানভাধে দেখিতেন । তিনি নান ভাষায সুপণ্ডিত ছিলেন ও একজন দক্ষ আইনবেত্তা ছিলেন। দিল্লীতে কয়েক যৎসর পূর্কে আইনের ক্লাস খোলা হইলে বস্ব মহাশয “উীন অফ দি ফ্যাকাটি অফ ল’ এই সন্মানের পদ পাইয়াছিলেন এবং তিন বৎসর যোগ্যতার সহিত এই পদ অলঙ্কত করিয়াছিলেন । তিনি অঞ্জীবন প্রবাসী ছিলেন । কিন্তু বহুকাল এদেশে থাকিয়াও নিজের বাঙ্গালীত্ব ভুলিয়া বান নাই । তিনি সেকালের একজন খাটি বাঙ্গালী ছিলেন । বাঙ্গালীর সমাজজীবন যাহাতে অটুট থাকে, বাঙ্গালীর বিশিষ্টতা যাহাতে বজায় থাকে, তজ্জগু তিনি প্রাণপণ যত্ন করিতেন, অর্থব্যয়ও করিতেন। বাঙ্গালী ছাত্রদের স্থাপিত দিল্লীর অতি প্রাচীন উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়টি উপহার অত্যন্ত অাদরের ছিল । নিজের ছেলেদের মত করিয়াই এটিকে তিনি পোষণ করিতেন । দিল্লীর বাঙ্গালী সমাজ ঠিক যেন একটি বৃহৎ পরিবার-এমনই তা সথাস্থত্রে আবদ্ধ। আর বহু মহাশয় ছিলেন তার কত্ত্ব স্থানীয় । বস্তুতঃ যে-সকল গুণ থাকিলে শীর্ষস্থানীয় হওয়া যায়, তার মধ্যে বোধ করি তার কোনটিরই অভাব ছিল না। স্নেহের আবেষ্টন দিয়া তিনি সকলকেই ধিরিয়া রাখিয়াছিলেন। র্তাহার পরলোকগমনে প্রবাসী বাঙ্গালীদের যে ক্ষতি হইল, কোনরকমেট তা পূর্ণ হইবার ময় ।