পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তাহার। চিত্রকর। প্রকৃতিকে স্বন্দরভাবে আঁকিতে হইবে, ইহা সকল অার্টেরই গোড়ার কথা । প্রকৃতিকে আঁকা ইচ্ছাতুগত হইতে পারে, কিন্তু সুন্দরভাবে অঁাকা চিত্রকরের ইচ্ছার বাহিরে। চিত্রকরের রসবোধ সে সৌন্দর্য্যস্থষ্টির মূলে। আর্টে শুধু সত্যের কোন মূল্য নাই, যদি না তাহ। সুন্দর হয় । হয়ত যাহা সুন্দর নয়, তাহ চরম সত্য নয় । প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি আমাদের আনন্দ দেয় না, অথচ কয়েকটি অর্থশূন্ত রেখা এবং কতকগুলি রং-এর সমাবেশ আমাদের মুগ্ধ করে। চিত্রকলার উদেশ্ব যখন প্রতিচ্ছবি আঁকা এবং আমাদের রসবোধ যখন শুধু প্রতিচ্ছবিতে তৃপ্ত হইবার নয়, তখন আট স্বষ্টি করিতে হইলে এ দুয়ের যোগাযোগ প্রয়োজন, স্থতরাং শ্রেষ্ঠ চিত্রকল। আমরা তাহাকেই বলিতে পারি যtহাতে প্রতিচ্ছবির মধ্যে রসভোগের সম্পূর্ণ উপাদান পাওয়া গিয়াছে। বীশু ও মেরী--লুক পিনিওরেলি ইউলিয়ুস বাকে সংগ্রহ, নিউইয়র্ক তাই মনে হয়, প্রতিচ্ছবির সঙ্গে সৌন্দৰ্য্যস্তষ্টির কোন বিরোধ নাই । তাহা করিতে গিয়া কেবলমাত্র প্রতিচ্ছবির সেই আদর্শ রূপটির সন্ধান ইতালীয় চিত্রকলার পরিচয় సిరి ( হইবে যাহার সঙ্গে রসবোধের কোন অমিল নাই । মানবমূৰ্ত্তির সৌন্দর্য্য আমরা উপভোগ করি কি করিয়া ? সে কি মানুষ বলিয়া, না তাহার দেহের রূপে

o. o 8Ꮉ s i o বেয়াত্রিচে দেন্তে—আম্বে জো ড প্রেডিস্ আম্বে জিয়ান গ্রন্থাগার, মিলান আমাদের রসজ্ঞান পরিতৃপ্ত হয় বলিয়া ? মৃতরাং মানব দেহের সেই রূপ ধাহারা খুজিয়া পাইয়াছে, তাহাদিগকে শ্রেষ্ঠ শিল্পী বলিতে পারি। গ্ৰীক মূৰ্ত্তিকে অনেকে বাস্তব মূৰ্ত্তি বলেন, প্রাচ্য ভাস্কর শিল্পের সঙ্গে তুলনা করিয়া । কিন্তু ঐ সকল মূৰ্ত্তিতে যে মানুষ দেগি সে প্রকৃতির মাকুম নয় , সে অাদর্শ স্বন্দর মানুষ। মামুযের রসজ্ঞানে তাহার জন্ম , শিল্পীর রচনায় তাহার প্রকাশ । প্রাচ্য চিত্রকলার যে পদ্ধতি তাহাতে সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতির আদশে ছবি আঁকা সকল সময়ে সম্ভব নয় । সেসকল চিত্রে আলো-ছায়৷ নাই, দৃশু-বিজ্ঞান নাই, স্থূলতা করিতে ( plasticity ) নাই। তাহাতে প্রকৃতির অনুকরণের