পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা | আরম্ভ হয় ; দেহতত্ত্বের জ্ঞান যথেষ্ট বাড়িয়া যায় ;-প্রাণবান ও প্রাণহীন সকল বস্তুরই সূক্ষ্ম আলোচনা স্বরু হয় । এই নবলব্ধ জ্ঞান এবং পদ্ধতির সফলত চিত্রের রচনাকে পরিবর্তিত করিতে বাধ্য করে। প্যাটার্ণ নিৰ্ম্মাণ ছাড়িয়া চিত্রকরকে বিভিন্ন প্লেনে চিত্ররচনায় মন দিতে হয় । মাসটুিচে, পলাউওলে, ডা ভিঞ্চি প্রভৃতি চিত্রকরের ফ্লোরেন্সে নুতন চিত্রকলার স্থায়ী ভিত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন । ভেনিসে এই সময়ে মানটেনিয়। প্রভৃতি বড় চিত্রকরের চিত্ৰ কলায় নূতনত্বের আমদানী করিতেছিলেন । ভেনিসের আর্টে বাইজেনসিয়ামের প্রভাব অনেকদিন পর্য্যন্ত এবং অনেক বেশী পরিমাণে ছিল । ভেনিস সেই যুগে বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল—প্রাচ্যের সঙ্গে তাহার আদান-প্রদান ছিল । এই সকল কারণে ভেনিসের চিত্রকলায় সেই ঐশ্বৰ্য্য ফুটিয়৷ উঠিয়াছে, তাহার রংএর উজ্জলতাও কোনদিনই কমে নাই । ভেনিসের সমুদ্রও ভেনিসের আর্টে উপর তাহার ছাপ রাখিয়া গিয়াছে। ভেনিসীয় চিত্রে একটা দৃষ্টির প্রসারত আছে । জোর্জেণনের চিত্রকলায় তাহার সর্বাপেক্ষ মনোরম প্রকাশ । ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইতালীর সর্বত্রই নূতন আর্ট ফুটিয়া উঠে। সকল চিত্রকরই মৃতন বিজ্ঞান, নূতন অভিজ্ঞতা এবং নূতন পদ্ধতিকে কাজে লাগাইতে আরম্ভ করেন। ফ্লোরেন্সের প্রাধান্য তখন কমিয়া আসিয়াছ। এই যুগের শ্রেষ্ঠ দুইজন শিল্পী মাইকেল এঞ্জেলো এবং রাফায়েল রোমে আহত হন এবং কয়েক বৎসরের পরিশ্রমের ফলে রোমকে চিঙ্কেচেন্তোর অন্ততম শ্রেষ্ঠ চিত্রে ভূষিত করেন। মিলানে লিওনার্ডে তাহার অসাধারণ মনীষার পরিচয় দেন। পারমায় করেড জো জন্মগ্রহণ করেন। ভেনিসে ইতালীয় চিত্রকলার পরিচয় సీతీసి জর্জেনের রোমাঙ্গু এবং বেলিনির স্বশ্ব শিল্পচাতুৰ্য্য মিলিয়। টিশিয়ানের শিক্ষা সমাপ্ত করে । এই শতাব্দীর মধ্যভাগে রোম, ফ্লোরেন্স ও মিলানের গৌরব লুপ্ত হইয়া আসে,কিন্তু ভেনিসে টিশিয়ান, টিনটরোটে। এবং পল ভেরোনিজে চিত্রকলার উচ্চ আদশ বজায় রাপেন। অবশেষে বলোনিয়াতে একটি নূতন প্রাণের সাড়া পাওয়া যায়। গড়নের সৌন্দর্য্যের সঙ্গে ভেনিসীয় রংএর চাকচিক্য মিশানোই এই স্কুলের উদ্দেশ্য ছিল। নারীর স্মৃষ্টি-মাইকেল এঞ্জেলো সিষ্টাইন চ্যাপেল, রোম কারীভাডজোর নেতৃত্বে একটু রূপান্তরিত হইয়৷ এই ধারাটি আবার রোমে এবং নেপলসে ফিরিয়া যায়। সপ্তদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন স্কুলের বিশেষত্ব মুছিয়। গিয়া ইতালীয় চিত্রকলা এক হইতে আরম্ভ করে। এই যুগে কোন নূতন পদ্ধতি কিংবা নুতন জ্ঞানের আবির্ভাব হয় নাই। পুরাতন প্রথা অনুযায়ীই শিল্প রচনা হইতে থাকে। ইতালী তখন সমগ্ৰ ইয়ুরোপের শিক্ষাকেন্দ্র হইয় উঠে। নেদারলেণ্ডস্ হইতে রুবেন্স, স্পেন হইতে ভেলাস্কেথ এবং ফ্রান্স হইতে পুসে ইতালীতে র্তাহীদের শিক্ষা সমাপ্ত করিতে আসেন।