পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ৷ AMAMMMMAMMAAMMAAAMAMAS AMMAAA SAAAAAS S ব্যথায় বুকটা টন টন করিয়া ওঠে। বকুল স্বামীকে বলিল,—“তোমার আর কি— তোমার ত আবার সবই হবে – যায় ত এই মেয়েটার মা যাবে—আর আমার বাপমার—” আবার চোখে জল আসিয়া গেল । স্বামী বুঝি-বা মনে ব্যথা পাইল । কি যেন বলিতেও গেল । বকুল বাধা দিয়া বলিল,—“যাও যাও, আর বেশী বোলো না-আর বোঝাতে হবে না—সবই বুঝেচি—” কথাগুলি শুনিয়া বকুলের মাও চোখে জল রাখিতে পারিলেন না। বা-হাতে নিজের চোখ মুছিয়া, কাপড়ের আঁচল দিয়া মেয়ের চোখের জল মুছিয়া দিতে দিতে বলিলেন, “ছিঃ বকুল, কেঁদ না—অস্থখ কি আর লোকের হয় না ? কত খারাপ রোগীও ত ভাল হ’য়ে উঠচে– তোমার শুধু জরটা ছেড়ে গেলেই ত হয়। যাবে—সব সেরে যাবে’ । তারপর তিনি মানমুণে শূন্তদৃষ্টিতে জানালাটার পানে তাকাইয়া রহিলেন । র্তাহার অস্তরের সূক্ষ দৃষ্টিটি অতি সস্তপণে থামিয়া থামিয়া একেবারে মেয়ের মৃত্যু পৰ্য্যন্ত গিয়া পৌছিল। মৃত্যুর অস্পষ্ট ছায়াটা অস্তরের উপর ছবি আঁকিতে লাগিল—সে কি এক ভয়ানক দৃশু— বকুলের পাংশু স্নান মৃতদেহ—সেই মৃতদেহের চারি পাশে স্বজনবর্গের ভিড় ও কাতর আর্তনাদ । ভাবিতেও মা শিহরিয়া উঠেন। মুখে বিষাদ ও নৈরাষ্ঠের চিহ্ন সুস্পষ্ট ফুটিয়া উঠিল । বকুল মা’র মুখের পানে তাকাইয়া দেখিল—হয়ত কিছু বুঝিতেও পারিল । ছবি কেবলই তার মায়ের কাছে যাইতে চাহিত, ফাক পাইলেই ছুটিয়া যাইত। মাসীকে বলিত, “ছাড় মাসী,—ছাড়,—আমি বাবার কাছে যাই ।” তারপর কোন রকমে ফাকি দিয়া মায়ের কাছে ছুটিয়া আসিত। বলিত,—“মা ভাল আছ ?” ● বকুল মাথা নাড়িত । ছবি আবার করিয়া বলিত, কাছে শোবো—” “আমি তোমার তৃণাঙ্কুর SSASAS SS SAAAAAA AAA AAAS SAAAAAA SAAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSASAS SSAS SSAS SSASAAA S SS(t AA AAMA AJSAAAAAAS S AAAAMAMMAAMA AAJJJJJAMMSAMMMAMMAAA AAASS বকুলের বিরক্তি বোধ হয় । বলে, “না জামার অসুখ ভাল হ’লে শোবে ।” ছবি মানিত না । একপাশে শুইয়া পড়িত। বলিত, “তোমাকে বিরক্ত কোরব না মা, চুপ করে শুয়ে থাকুব ।” সেদিন কাতরকণ্ঠে বকুল বলিল, “আমার ভাল লাগছে না—তুমি এখন যাও।” ছবি ব্যস্তভাবে উঠিয়া পড়িল । অপরাধীর মত নামিয়া গেল। যাইবার সময় একটু দাড়াইয়া বলিল, “বাবাকে ডেকে দি ? ওষুধ দেবে । ওষুধ খেলেই ভাল হ’য়ে যাবে। লক্ষ্মীমেয়ে—ওষুধ খেয়ো, কেমন ? ডাকি বাবাকে--” বকুল মাথা নাড়িয়া বলিল, “উহু—যাও—বিরক্ত কোরো না ।” ছবি- স্নানমুখে ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল । তারপর আবার ফিরিয়া আসিয়া • জিজ্ঞাসা করিল,— “ম, তুমি একলা রয়েছ ? আমি আসি ?” কিন্তু বকুলের কোন সাড়াশব্দ না পাইয়া আবার চলিয়া গেল • ছবির যেন সোয়াস্তি নাই। একবার ওর কাছে, আবার তার কাছে এই করিয়াই দিন কাটায় । সারাদিন এঘর-ওঘর করে । কিযে চায় নিজেও হয়ত বোঝে না । জন্মের পর হইতেই মায়ের অসুখ, মায়ের স্নেহ যে কি —জানেও না। রস না পাইয়া তার ভিতরটা হয়ত শুকাইয়া মরে । স্নেহের নীড়ে স্থান না পাইয়। নিজকে কোথাও যেন জড়াইয়া রাখিতে পারে না । তাই বুঝি-বা ছট্‌ফট্‌ করিয়া বেড়ায়। বকুল বুঝিয়াও নিঃশব্দে পড়িয়া থাকিত, ইচ্ছা হইলেও কিছু করিতে পারিত না । মাঝে মাঝে ডাকিত, “ছবি এস ত, আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও।” ছবি মায়ের মাথায় হাত বুল্লাইয়া দিত । বকুল ছবির দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকিত । চোখ ভরিয়া জল আসিত, বলিত, "এখন যাও, আবার এসে ।” ছবি চলিয়া না যাইয়৷ কি করে ? বকুল স্বামীকে বলিত, “এই কি আমার কপালে