পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] অশাস্তিট। হিন্দুরাই জন্মাইয়াছে বা জীয়াইয়া রাখিয়াছে বলাও মিথ্যা কথা । সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টা সম্পর্কে বড় ছোট অনেক অহিন্দু নেতা এবং কৰ্ম্মীও জেলে গিয়াছেন। গোড়া হিন্দুয়ানী অশান্তির জন্য দায়ী বলিলে অদ্ভুত মিথ্যা কথা বলা হয়। কংগ্রেসের সত্য গ্রহী হিন্দুনেতাদের মধ্যে একমাত্র পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়কে গোড়। বলিলেও বলা যাইত ; কিন্তু তিনি এই সেদিন মাত্র সত্যাগ্ৰহ-প্রচেষ্টায় যোগ দিয়াছেন, এবং “খাটি’ গোড়াদের মতে তিনিও যথেষ্ট গোড়া নহেন । কারণ, সকলেরই মনে আছে, তিনি সকল জাতির হিন্দুকে মন্ত্র দেওয়ায় “খাটি’ গোড়ারা তাহার গায়ে পাক ও কাদা ছুড়িয়াছিল। ইংরেজরা ভারতবসে গণতন্ত্র স্থাপিত করিতে চায় এবং তাহাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করিবার নিমিত্ত বিপ্লবীরা বোমা গুলি প্রভৃতি দ্বার। দৌরাত্ম্য করে, ইহা নিতান্ত গাজাখুরি মিথ্যা কথা। লর্ড মেস্টনের মাতৃভাযায় প্রচলিত একটা কথ। অনুসারে শয়তানকেও তাহার ন্যায্য পাওন? দেওয়া উচিত। বিপ্লবীদিগকেও তাহদের ন্যায্য পাওনা দেওয়া উচিত । প্রতিহিংসা ছাড়া তাহাদের অপকৰ্ম্মের যদি অন্য কোন উদ্দেশ্ব-রাজনৈতিক উদেশ্বা-থাকে, তবে তাহা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা । তাহাদের কাজের দ্বারা অবশ্য এ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হক্টতে পারে না । কিন্তু উদ্দেশুট। ইহার বিপরীত নহে । মুসলমান ভারতীয় ও অন্যান্য ভারতীয় আমাদের বিরোধীরা চায়, আমরা সব ভারতীয় একমত হইয়া একাগ্রতার সহিত তাহীদের শক্রতা বিফল করিতে না পারি। এইজন্য তাহারা বার-বার বলিয়া আসিতেছে সমুদয় মুসলমান ভারতীয়দের রাজনীতি অন্য সব ভারতীয়দের রাজনীতি হইতে পৃথক্ । কিন্তু প্রত্যহ নানা ঘটনা এইরূপ উক্তির অসত্যত প্রমাণ করিতেছে। আব্বাস তৈয়বজী, আনসারী, আবুল কালাম আজাদ, শৈফুদিন কিচলু, শেরওয়ানী, প্রভৃতি বড় বড় মুস্লিম ভারতীয় নেতা জেলে গিয়াছেন। বিবিধ প্রসঙ্গ—মুসলমান ভারতীয় ও অন্যান্য ভারতীয় నిశ్బిలి বিহারে দুইজন সন্ধান্ত মুসলমান মহিলা দণ্ডিত হইয়াছেন। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশেই সকলের চেয়ে ও ছা রকমের অনেক মুসলমান বাস করে । কিন্তু বঙ্গেও অনেক মুসলমান বাঙালী সত্যাগ্ৰহ উপলক্ষে জেলে গিয়াছেন । পাঠানপ্রধান উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে সত্যা গ্রহ উপলক্ষে অনেক পাঠান হতাহত ও বন্দী হইয়াছেন । তথাকার বনু শহরে সত্য গ্রহী পুরুষদিগকে শহর হইতে তাড়াইয় দিয়া ফাটক বন্ধ করিয়া দেওয়ায় তথাকার মুসলমান মহিলারা মদের দোকানে পিকেটিং করেন । ৫ই আগষ্টের খবরে জানা যায়, একদল মহিলা গ্রেপ্তার হওয়ায় আর একদল তাহদের স্থানে কাজ করিতেছেন । বোম্বাইয়ে উষ কীৰ্ত্তনের দলকে “প্রভাতফেরী” বলে । আজকাল প্রভাতফেরীরা প্রাতঃকালে জাতীয় সঙ্গীত গাইয় বেড়ায় । সেদিন একদল মুসলমান মহিলার প্রভাতফেরী প্রাতঃকালে বাস্তায় রাষ্ট্রায় জাতীয় সঙ্গীত গাহিয়৷ বেড়াইয়াছিলেন । e সৰ্ব্বশেষ যে-ঘটনা মুসলমান ভারতীয়দের ভারতীয়ত্ব প্রমাণ করিয়াছে, তাহ। এই, যে, বৰ্ত্তমান ভারতীয় ংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির মধ্যে নূতন অৰ্দ্ধেক সভ্য মুসলমান এবং সভাপতি মুসলমান । ইহার আগেকার দুজন সভাপতিও ছিলেন মুসলমান । বৰ্ত্তমানে ভারতীয় কংগ্রেস কায্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির সভ্যদিগের নাম— কাৰ্য্যকারী অস্থায়ী সভাপতি লক্ষেীয়ের য়্যাডভোকেট থালিক উজ, জমান, লক্ষ্মেীয়ের ব্যারিষ্টার পণ্ডিত হরকরণ নাথ মিশ্র, বোম্বাই ক্রনিক্লের সম্পাদক সৈয়দ আবদুল্লা ব্রেলভী, কোষাধ্যক্ষ বোম্বাইয়ের বেলজী নাপপু, রাজমহেন্দ্রীর কে ভি আর স্বামী, বীজাপুরের এস ভি কৌজাল্পী, এলাহাবাদের এ এম্‌ খাজা, অমৃতসরের ইস্মাইল গজনভী, কলিকাতার শরৎচন্দ্র বস্থ, পাটনার অধ্যাপক আবদুল বাকী, দিল্লীর অসিফ আলী, দিনাজপুরের মৌলান আবদুল বাকী । তদ্ভিন্ন কমিটির যে তিন জন সভ্য গ্রেপ্তার হইতে বাকী ছিলেন র্তাহারা ও সভ্য ; যথ কাশীর ডক্টর শ্রীভগবান দাস, এলাহাবাদের শ্ৰীমতী কমল নেহরু এবং বোম্বাইয়ের শ্রীমতী হংস মেহত । জমায়েত উল উলেম মুসলমান ধৰ্ম্মতত্ত্বজ্ঞদিগের কেন্দ্রীয়