পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ মথুরা চলিয়া গেলেন। যথাস্থানে রজক, স্তবায়, কুজা, মালাকার প্রভৃতির বৃত্তান্ত প্রদত্ত হইয়াছে মথুরাবাসী শ্ৰীকৃষ্ণের রূপ দেখিয়া— যেই অঙ্গে যার দৃষ্টি সেই অঙ্গে থাকে। অস্ত দেহ দৃষ্টি করে সাধ্য নাহি রাখে ॥ তদনন্তর কুবলয়াপীড়-বধ, কংশ বধ, নন্দ-বিদায় ও নন্দরাণীর খেদ । শ্ৰীকৃষ্ণ, একান্তই প্রত্যাগমন করিলেন না দেখিয়া গোপীগণ হতাশ হৃদয়ে বিলাপ করিতেছে— চাদে দেখি মনে হবে শ্ৰীমুখমণ্ডল । নয়ান পড়িবে মনে দেখিয়া কমল ॥ অধর পড়িবে মনে দেখিয়া অরুণে । এই সবে দৃষ্টিশূন্ত হৈল গোপীগণে । আপন আপন আঁখি কাল হৈল সবে । কহ কহ প্রাণসখী কি উপায় হবে ॥ কেহ কহে নয়ন মুদিয়া যদি থাকি । অন্তরে খ্যামের রূপ নিরস্তর দেখি ৷ যোগযুক্ত দুই কর শুন মোর বাণী । সদা চিত্তে চিন্তা কর কুঞ্চ গুণমণি ॥ করে জপ কৃষ্ণগুণ মুখে জপ হরি। হৃদে সদ কুষ্ণগুণ দেখ ধ্যান করি ॥ এই যুক্তি সার আমি কহিল সভারে । এখন মা পাই কৃষ্ণ পাব জন্মাস্তরে। এই স্থানে রাধিকা-মাঙ্গাত্ম্য বর্ণন-প্রসঙ্গে, কৃষ্ণ’ নামের পূৰ্ব্বে "রাধা” নামের সংস্থান সম্বন্ধে কবি একটি সুন্দর উপমা প্রয়োগ করিয়াছেন— নিজ নাম পাছে কৈল তব নাম আগে । হেমযুক্ত নীলমণি শোভা ৰড লাগে । এইরূপ কৃষ্ণ-লীলা বিষয়ক দীর্ঘ প্রসঙ্গের পর— গিরি কহে মেনকা শুনিলে সব কথা । মায়। দয়া হীন হয় দুরন্ত দেৰত । এত স্নেহে নন্দরাণী পালিলা কৃষ্ণেরে । পুনরায় আসি দেখা নাহি দেন তারে । আনন্দে গেলেন নন্দ রামকৃষ্ণ লঞ। নৈরাশ করির তীরে দিল পাঠাইয়া ॥ এমতি বুঝিবে সব দেবের চরিত। পিতামাত বলে মৰ্ম্ম নহে কদাচিত ॥ তুমি মোরে কহ গৌরী আনিবার তরে । আর কি আসিবে গেীর অভাগীর ঘরে ॥ মেনকা কহেন গিরি শুনিল সকল । সম্প্রতি অধিক কথা কয়৷ কিব৷ ফল ॥ পরে হতাশহৃদয়ে বলিতেছেন,— 龜 তাহে যদি ত্রিপুরারী গৌরী না পাঠাব। আপনি আসিবে ঘরে মন বুঝাইব ॥ অবশেষে বহু আলোচন আন্দোলনের পর গিরিরাজ গৌরী { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড আনয়ন জন্য হিমালয় যাত্রা করিলেন । কিন্তু কৈলাসের পথ গিরিরাজের অজ্ঞাত, তাই— অসম্ভব কাৰ্য্য মনে করি অভিলাষ । মোর সাধ্য যাই কিবা শিবের কৈলাস ॥ চিন্তাকুল হৈয়া গিরি ভাখেন অনেক। জিজ্ঞাসিতে পথ লোক মা দেখে জনেক । মনে মনে হিমালয় যুক্তি কৈল ৰসি । সম্প্রতি আমার গতি পুরী বারাণসী ৷ মোর স্বয় হৈতে হর গৌরী সঙ্গে লৈয়া । कांकौवां★ौ tश्ल उत्रांग्नि भश झछे झग्नl ॥ এই স্থানে কবি বিবিধপুরাণ-সন্মত কাশী-মাহাত্ম্য বিশদরূপে বর্ণন করিয়াছেন । আবার, কাশী-মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে রামায়ণ, গঙ্গামাহাত্মা, গুধিণী-সংবাদ, বিষ্ণু-যমদূত-সংবাদ প্রভৃতি দীর্ঘ উপাখ্যান সন্নিবেশিত আছে । কাশীতে কিছু কাল অবস্থানের পর, १ोत्रांछळ तिब्ब्रूज़ल श्रृंउल्लल लग्न ! সত্বরে শিখয়রাজ চলে হৃষ্ট হৈয়। ॥ গিরিরাজ এই স্থানে নারদ ঋষির সাক্ষাতকার লাভ করিয়া তাঙ্গাবই সঙ্গে কৈলাস যাত্রা করিলেন । গিরিরাজ, গৌবী আনয়ন জন্ত বহু আগ্রহ প্রদর্শন করিয়া, বিশেষতঃ গৌরী আদর্শনে মেনকার শোচনীয় অবস্থা বর্ণন করিয়া গৌরীকে বলিলেন, বুঝির বিহিত মাত করহ আপনে । তখন গৌরী বলিলেন, এ বিষয়ে শিবের অনুমতি লওয়া আবশ্যক । কেননা, একবার জানি আমি লজিয়া শিবের বাণী দক্ষযজ্ঞে তেজিল পরাণে । সেই হতে ভয় মনে শঙ্করের বাক্য বিনে সাধ্য নাহি যায় কোন স্থানে । গৌরী বিন! আয়াসে শিবের অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন ; কেন না, এ কথা নিশ্চয় দৃঢ় আমীরে করুণ বড় অৰ্দ্ধ অঙ্গ বাটিল আমারে । আবার গৌরী, শিব লিন অধিক দিন থাকিতে পারিবেন না ; তাই বলিলেন, কেবল মারের স্নেহ বাব জনকের গেহ खtग्लिश निश्वश्ा ङिश १८ब्र । ক্রমে গিরিরাণী শুনিলেন, গৌরী আজ জাসিৰে ৰিহানে।