১ম সংখ্য । চিত্রপরিচয় ভগ্নদন্ত । এবারকার রঙিন চিত্রটি অজণ্ট গুহার দুই নম্বর গুহার প্রাচীর-গাত্র • হইতে ব্রহ্মচারী গণেন্দনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক গৃহীত নকল । কয়েকটি মাত্র রেখাসম্পাতে যুদ্ধের একটি চমৎকাৰ ভাবব্যঞ্জক ভঙ্গী প্রকাশিত হইয়া পডিয়াছে । এই প্রাচীন চিত্রটির মধ্যে চিত্রকর যে কোন ভাবটি প্রকাশ করিতে চাহিয়াছিলেন তাহ। এই সুদূর কলে বল। শক্ত । আমরা এ fচত্রের নাম দিয়াছি “ভগ্নদত” ! যেন দূত আসিয়া রাজার কাছে বলিতেছে--"মহারাজ, সব শেষ হইয় গেছে।” এই চিত্র দেখিয় রাবণের সম্ভীয় ভগ্নদন্তের শোক-সংবাদ fনবেদনের কথা মনে পড়ে। সে যেন বলিতেছে - “লঙ্কাপুরী বরগুন্ত হৈল এত দিনে ।” কেহ কেহ এই চিত্রটিকে বুদ্ধদেবের দর্শন লাভে ভক্তের বিস্ময়ভক্তি গদগদ ভাবের প্রকাশক বলিয়। মনে করেন । সেই মহাপুরুষের BBBB BBB BB BBB BB BBB BBBBBB BB BBBD BB যেন বলিতেছে-- “আমার নয়ন ভুলানে এলে, আহ। আমি কি দেখিলাম হৃদয়-মেলে ।” ভালে। কাব্য ও ভালো চিত্র একই শ্রেণীর । তাহ পাঠক ও দর্শকের মনোবৃত্তির অমুকুল হঠয়াই ভিন্ন teন্ন লোকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রতিভাত হয় । জগাইমাধাই । কিকাপ পাপ হঠাৎ ধৰ্ম্মপথের পথিক গুয়, এই চিয়ে চাখার পরিচয় আছে । সকল রকমের পাপীর আকস্মিক পরিবর্তন - য় না। এই ছবিখানিও কতকগুলি রেথাসম্পাঙ্গে ত্রযুক্ত নন্দনাল বস্তু কর্তৃক অঙ্কিত এবং পরিপূর্ণ ভাব প্রকাশক । নন্দলাল বাবুর রেখাঙ্কনের বিশেষত্ব সেগুলির দৃঢ়তায় এবং প্রত্যেকটির ভাববাঞ্ছন। । শারীরসংস্থানের দৃঢ় রেখাগুলি, হাজার রেখায় কল্পিত চুলগুলি, মাথায়-বাধ৷ নামাবলীর পাগণ্ডটি এবং রেখার দ্বারাই ছায়াহুষমার সংসাধন শিল্পীর দক্ষশর পরিচায়ক । একট। অতসী কাচের ভিতর দিয়া দেখিলে এই গঠনপারিপাট্য দেখিয়া অবাক হইতে হয় । স্ট্র একটা বালিয়াড়ির আড়ালে, বড় নদীর কিনারে একখানা যাছু বিছাইয়৷ এই দুই বন্ধু ঘণ্টাখানেকের ফুৰ্ত্তি লুটিবার জন্য মজলিস iাইয়। বসিয়াছে। মদ্যভণ্ড হইতে সুর পরিবেষণের তিনটি কটোর কৈালে থাও খাও ঢালে করিবার জন্তু সমাহৃত, আরো সংগৃহীত হইয়াছে &এক থাল। ফলের চাট । দক্ষিণ দিকে যে আছে সে সদানন্দ বৈরাগী & ঠাহীর কিছুতে ক্ৰক্ষেপ নাই, বামদিকের পাগড়ধারীই গোছালে, সেই সমস্ত যোগাড় করিয়া আনিয়াছে, মায় মদ শেষ করিয়া তামাক চোখের সামনে তুলিয়া ধরিয়াছে—তাহার কিন্তু গ্রহণের আগ্রহ নাই, ੋਣਿ লাই, সে সঙ্গীর উৎক্ষিপ্ত বাড়কে সংযত করিয়া নিমেষালস দৃষ্টিতে মদের আনন্দ-ঢলঢল রূপ দেখিয়াই পুলকিত। তাহার মুখে "জানন্দ, আর ইহার মুখে মত্ততার আবেশ সুস্পষ্ট। ইহাদের আনন্দ | ততটা বস্তুগত নহে যতটা ভাবগত-পানেই ইহাদের আগ্রহ নহে, পানের পরের উল্লাসের চিন্তাতেই ইহাদের আনন্দ। ইহার মাতাল বটে, কিন্তু বড়, সরল, সদানন্দ মাতাল ।.তারা প্রাপ্তপুস্তকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় যন্ত্রটি পর্য্যন্ত , আর সে-ই পেয়াল ভরিয়া মদ সদানন্দ সঙ্গীর ›ግ উদ্বোধনের সময়েও তাঁহাদের ভাবে ভঙ্গীতে এমন কিছু নষ্ট যাহা বিশ্ৰী, যাহা উদাম, যাহা কুরুচির পরিচায়ক । তাহার। যে ভদ্রসস্তান, তাহারাও যে ভদসমাজের, এ সঞ্জাটুকু যেন তাহাদেব মত্ততার ভিতরেও আছে। এবং এই দুটি প্রমত্ত বন্ধুর প্রগাঢ় প্রতি আলিঙ্গনের বন্ধনে প্রকাশ করিতেছে --তাহীদেরও প্রাণ অাছে, ভাব আছে, অনুভূতি আছে । পাপের মধ্যেও, অনাচারের মধ্যেও, তাক দের প্রাণ আপনাদের সহীদয়তার পরিচয় প্রকাশ কfয়হেছে । তাকার যে ধৰ্ম্মের সঙ্গে একেবারে বিযুক্ত নহে, মাথায় কর নামাবলীখনিষ্ট তাহার সাক্ষী । এইরূপ সরল উদার সদানন্দ প্রাণই ঘটনাবশে সাধু বা অসাধু হইয়৷ উঠে, সে কোথাও মধ্যপথে থামিতে জানে না । যাহাদের প্রকৃতিই দূষিত, পাপ প্রবৃত্তি যাহীদের মজ্জাগত, তাহার। কখনো হঠাৎ সাধু হইয়া যাইতে পারে না । ধৰ্ম্ম-ইতিহাসে যে সব পাপীর আকস্মিক পরিবর্তনের কাহিনী শোনা যায়, তাহার প্রথমশ্রেণীর লোক ! সেই পরিবর্তন আকস্মিক হক্টলেও তাঁহাদের অভাস্তরের প্রচ্ছন্ন সাধুত আকস্মিক BBS BBS BBBBSBB BBBBBS BBBB BBBB BBBB পুণ্যস্পর্শে সেই ক্ষণিকের খোলস একদিন গসিয়া পড়ে, তখন খাটি মানুষটিকে দেখিতে পাওয়া যায় । তাই নিতানন্দ পতৃ যখন "মেরেছ কলসীর কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না” বলিয়া জগাই মাধাইকে আলিঙ্গনপাশে বাধিয়াছিলেন তখন অতি স্থানায়াসে জগাইমাধাইয়ের থাটিশ্বরূপ প্রকাশ পাঠয়াছিল। জগাইমাধান্ত, মাতাল ছিল, দুরন্ত ছিল, অত্যাচারী অনাচারী ছিল কিন্তু এ যেন শিশুর দুরন্থপন --অনাচার তাঙ্গদের সকলকে তাচ্ছিল্যের ফল, অত্যাচার তাঙ্গদের চিন্তাহীনতার ফল । সেট শুভদিনে যখন তাদের BBB SBBBBB BBBBB BBBB BBBB BBBB BB BBBB BB DDDD BBBBB BBBS BBB BBBS BBBBS BB BBBD কোথায় । যে ইন্ধন"তাহার। অকৃষ্ট পরিশ্রমে জড়ো করিয়া তুলিয়াছিল তাহাতে প্রেমানদের স্ফুলিঙ্গ পডিল তাহদের অথর বাহিরের সকল BBBBS BBBBS KBBB BBB BBBD BBB BBB BBBS তুলিল । - তুচ্ছ তখন স্বরাপাত্র। তুচ্ছ তখন ইন্দ্রিয়সুখ । যে সুরার অস্বাদ তাহারী পাইল তুচ্ছ তাঙ্গর কাছে স্বাড়ির চুয়ানে স্বর। । এই চিত্রে জগাই মাধাইয়ের এই ভবিষ্যসঙ্কেত শিল্পী অতি নিপুণতার সহিত প্রকাশ করিয়াছেন। এই ক্ষুদ্র চিত্রথনি শিল্পীর ভাবুকত ও অন্তর্দৃষ্টির চমৎকার নিদর্শন । চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রাপ্ত পুস্তকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় কবীর (প্রথম খণ্ড )--শাস্তিনিকেতন গ্রন্থপৰ্য্যায়ের অন্তর্গত শ্ৰীক্ষিতিমোহন সেন কর্তৃক সঙ্কলিত ও সম্পাদিত । ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউল হইতে প্রকাশিত। ডবল ক্রাউন ২৪ ভাজের ১৩২ +১৬ পৃষ্ঠা মুলা v• আন মাত্র। কবীরের দোহাবলী যে রত্নমালার মতে অকলঙ্ক সুন্দর তাহ কাহারে অবিদিত নাই। যখন যখন ধৰ্ম্মের প্লানি উপস্থিত হয় তখন তখন ধৰ্ম্মসংস্কারের জন্য ভগবান বিশেষ বিশেষ ভক্তের প্রাণে আবির্ভূত হইয়া উহাদের মুখ দিয়া এমন সব কথা বলান যাহা শুনিলে অন্তরের সকল দ্বিধ দ্বন্দ্র সঙ্কোচ সঙ্কীর্ণতা দূর হইয় চিত্ত নিৰ্ম্মল প্রসন্ন হইয় উঠে। ভারতবর্ষ যখন একদিকে ব্রাহ্মণা ধৰ্ম্মের ক্রিয়াকাণ্ডের
