পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՋՎԶԵ এবং রসায়নশাস্ত্র এই মহাপণ্ডিতের নানা গবেষণায় এখন সত্যই সম্পদশালী হইয়া দাড়াইয়াছে। লর্ড কেলভিনের পর এ প্রকার সৰ্ব্বতোমুখী প্রতিভাসম্পন্ন পণ্ডিত আর দেখা যায় নাই। এই জন্ত ইহঁার উক্তি বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য । গ্রহান্তর হইতে প্রাথমিক জীবের আগমন প্রতিপন্ন করিতে গিয়া আরেনিয়স্ সাহেব প্রথমেই আলোকের চাপের (Light pressure) swl gfairttêa ইহার বক্তব্যের স্থল মৰ্ম্ম এই যে, ধূমকেতুর দেহের স্বক্ষ কণাগুলি যখন আলোকের চাপে পড়িয়া কোটা কোট মাইল দীর্ঘ পুচ্ছের রচনা করিতেছে তখন ঐ চাপ দ্বারা চালিত হইয়া অতি স্বক্ষ পাথমিক জীবের অঙ্কুর যে গ্রহান্তর হইতে ভূতলে আসিতে পারে না, একথা কখনই বলা যায় না । বরং এই প্রকারে জীবের ভূমিষ্ঠ হওয়ারই সম্ভাবনা অধিক। স্বতঃজননবাদিগণ যে একটা কিভূতকিমাকার রাসায়নিক শক্তির কল্পনা করিয়া নিজেদের মতবাদের প্রতিষ্ঠা করিতে চেষ্টা করেন, ইঙ্গতে সে প্রকার কোন অনির্দিষ্ট ব্যাপারকে স্বীকার করিয়া গোজামিল দিবার আবশুক হয় না । বিরোধীদিগের প্রধান আপত্তি এই যে, গ্ৰহ হইতে গ্রহান্তরে জড়কণার চলাফের সম্ভব হইলেও মহাশূন্তের ভিতর দিয়া সজীব পদার্থের আনাগোনা একবারেই অসম্ভব। সজীব থাকিতে গেলে প্রাণী ও উদ্ভিদকে এক একটা নির্দিষ্ট উষ্ণতার সীমার মধ্যে থাকিতে হয় । এই সীমা অতিক্রম করিলেই জীবের মৃত্যু অনিবাৰ্য্য। যে সকল তাপ-তরঙ্গ ব্ৰহ্মাও জুড়িয়া চলিতেছে, তাহা মহাশূন্তকে উত্তপ্ত করিতে পারে না। যদি কোন জিনিস ঐসকল তরঙ্গে আহত হয়, তবেই তাপের বিকাশ হয় । এই কারণে গ্ৰহ নক্ষত্রের তাপ তাঙ্কাদেরই চারিপাশে আবদ্ধ রহিয়াছে । মহাশূন্ত সম্পূর্ণ নিস্তাপ এবং স্তব্ধ। সুতরাং আকাশের শীতলতার ভিতর দিয়া আসিবার সময় কোন জীবেরই সজীব থাকার সম্ভাবনা নাই। আরেনিয়স্ সাহেব প্রতিদ্বন্দ্বীদিগের যুক্তিটিকেই গ্রহণ ফুরিয়া দেখাষ্টয়াছেন, মহাশূন্ত নিস্তাপ বলিয়াই গ্ৰহ হইতে গ্রহান্তরে জীবের গমনাগমন সম্ভব হইয়াছে। শীতের আধিক্য ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনীশক্তিকে রোধ করে মাত্র,—নষ্ট করে না । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড এই অবস্থায় বহু বৎসর মৃতবৎ থাকিয়াও ইহার একবারে নির্জীব হয় না। ইনি একপ্রকার জীবাণুর (Staphylococci) জীবনীশক্তি পরীক্ষা করিতে গিয়া দেখিয়াছিলেন সাধারণ উষ্ণতায় ইহাদের অৰ্দ্ধেক মৃত্যুমুথে পতিত হয়, কিন্তু তরল বায়ুর (Liquid air ) শীতলতার মধ্যে রাখিলে উহাদিগকেই চারিমাস কাল জীবিত রাখা যায় । আচাৰ্য্য আরেনিয়স পূৰ্ব্বোক্ত যুক্তিগুলির উপর নির্ভর করিয়া বলিতেছেন, বর্তমানযুগে পৃথিবীতে জীবের স্বতঃজনন যখন অসম্ভব, এবং পূৰ্ব্বে কখন ইহা হইয়াছিল কি না তাহারও যখন প্রমাণাভাব, তখন লোকাস্তর হইতে প্রাথমিক জীবের আগমন সম্ভাবনাকেষ্ট স্বীকার করা যুক্তিসঙ্গত । যে অনন্ত গ্ৰহস্থৰ্য্য মহাকাশে পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে, তাহাদের প্রত্যেকটিরই প্রাকৃতিক অবস্থা বিচিত্র এবং বিচিত্র রাসায়নিক শক্তি প্রত্যেকটিতেই নানা প্রকারে কাজ করিতেছে । এই অবস্থায় অন্ততঃ কতকগুলি শীতল জ্যোতিষ্কে আজও স্বতঃজনন চলিতেছে বলিয়া যদি স্বীকার করা যায়, তবে তাঙ্গতে বিশেষ ভুল হয় না। তা’রপর আলোকের চাপ আছে । ইহা অতি ক্ষুদ্র জড়কণাগুলিকে চালাইয়া যে সকল জ্যোতিষিক ঘটনা দেখাইতেছে, তাহ আমরা প্রতিদিনই প্রত্যক্ষ করিতেছি । সুতরাং অতি প্রাচীন যুগে কোন এক দূর সজীব-জ্যোতিষ্ক হইতে এক অণুপ্রমাণ ক্ষুদ্র জীব আলোকের ধাক্কায় পৃথিবীতে আসিয়া পড়িয়াছিল, যদি এই কথাটিকে মানিয়া লওয়া যায় তবে প্রাথমিক জীবের জন্ম সম্বন্ধে সকল বিতর্কেরই অবসান হয় । আজকাল জীবাণুনাশক অনেক রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার দেথা যাইতেছে । এগুলির সংস্পর্শে সংক্রামক ব্যাধির জীবাণু মরিয়া যায়। এজন্ত ব্যাধি-সংক্রমিত স্থান এষ্ট সকল পদার্থ দ্বারা পরিশুদ্ধ করা হয় । রোগীর শষ্য ও বস্ত্রাদি রৌদ্রে দিয়া শোধন করিবার যে রীতি আছে, তাহার কারণ স্বৰ্য্যালোকে জীবাণু-নাশ-শক্তি বর্তমান । সম্প্রতি এই সম্বন্ধে নানা পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, স্বৰ্য্যরশ্মিতে লোহিত পীতাদি যেসকল মৌলিক বর্ণরশ্মি মিশ্রিত আছে, তাহাদের মধ্যে বেগুনের পরবত্তী অস্পষ্ট রশ্মিগুলিই ( Ultra-violet rays ) getcí đầRt#af*i# ! aề