পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(? 。 আপার দরজা বন্ধ ইষ্টল । বাটি বাচিরে অনেক ক্ষণ ধরিষা অন্ধকাবে ৭ শ'তে পদচাবণ কবিতে লাগিল । ঠাণ্ডায় তাঙ্গাব র্দান্তে দান্ত লাগিয়া যাইছেছিল। কুয়াসাব ভিতর ৬ষ্টতে পেতেব চোখের মতো রাস্তার বাতির আলো গুলা তাহাব দিকে কী ভীষণভাবে চাচিতেছে । সে বিমৰ্ষভালে আশ্রয়চীন ভিক্ষুকের মতো শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে এধার ওধার বেড়াঙ্গতে লাগিল,-এক ঘণ্টা কাটিয়া গেল কাচারে দেখা নাই। তপন ও সে অধৈর্যোব সহিত অপেক্ষা করিতে লাগিল দারুণ ঘুণায় তাঙ্গার চক্ষু দুটা হষ্টয়া গেছে ; অন্ধকাবের মধ্য হইতে সাদা মুখখানা বাকির করিয়া সে সেক্ট কালে দুখানার পানে অধীর হইয়া চাহিয়া বহিল । নিজের প্রতি একটা তখন একেবাবে নিম্প্রভ কালে বন্ধ করাট চতুর্দশ পরিচ্ছেদ । কয়েক দিন টদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঠিত অপেক্ষা করিয়া ফ্যাঙ্ক যখন ষ্টভার নিকট হৃষ্টতে র্তাঙ্গর পত্রের কোনো উত্তর পাষ্টলেন না তখন তিনি অtলার একখানি প এ দিলেন । প্রথম পত্রের উত্তব না পাইয়া যদি 2 তিনি একরূপ হতাশ শুঠয়া পড়িয়াছিলেন তবুও বাড়ীর সদর দরজায় কাঙ্গারো পদশব্দ শুনিলে তামনি ছুটিয়া যাক্টতেন, মনে করিতেন, ঐ বুঝি শ্ল'ভার চিঠি আসল । মনে অব কোনো চিন্তা ছিল না, কেবল চিঠির কথাই তথন তাহার ভাবিতেন ;–একখানি থামের ভিতর তাঙ্গার জীবনের সমস্ত সুখশান্তি বহন করিয়া এক পত্রবাহক পথ ছাটিয়া আসিতেছে, কল্পনায় এই চিত্র কেবলই জাগিয়া উঠিত । তনি যেন চোখের সামনে দেপিনে চকচকে কাগজের উপর মোট মোট ছাদে গুটিকয়েক লাইন, নীচে ইভার নাম সষ্ট ! বেশি কথা নাই, শুধু আছে প্রেমের আহবান, সঙ্গীতের মুরে বাধা দুটিমাত্র কথা ! কষ্ট এখনো সে চিঠি আসেন কেন ? কিসের বিলম্ব ? তবে কি তাহার অভিমান এথনো দূর হয় নাই ? না, কি বলিয়া কেমন করিয়া গুছাইয়া লিখিবে তাঙ্ক স্থির হয় নাই বলিয়া চিঠি লেখা ইষ্টয়া উঠিতেছে না ? চয়ত সে ইহার মধ্যে কতবার লিথিয়াছে, মনের মতন হয় নাই বুলিয় ছিড়িয়া .ھے۔ - - ۔ u=w יי * "י י- ו- יו"י יי ו ראי "א "י יא י וי ושאו שא "אי প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ X o M ভাগ, ২য় ফেলিয়াছে ! এমনি করিয়া ভাবিতে ভাবিতে দিন চলিয়া যাইতে লাগিল । ফ্র্যাঙ্ক যখন বাড়ী লসিয়া থাকিতেন তখন প্রতি মুহূর্তে র্তাঙ্গর মনে চষ্টত ঐ পত্রবাচক আসিতেছে, ঐ যে চাবখানা বাড়ী আগে । এষ্ট তিনখানা, থানা, এইবার একখানা বাড়ীর আগে আসিয়া পৌছিয়াছে, এষ্ট এইবার এ বাড়ী এই বুঝি দরজায় ধাক্কা দিল, কিন্তু কৈ কাচারে কোনো সাড়া নাই ! যখন তিনি বাহির হইতেন তখনও নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিতেন না, ে বলষ্ট মনে হইত এতক্ষণে নিশ্চয়ই চিঠি বাড়ীতে আসিয়া পড়িয়া আছে । তিনি তাড়া নাড়ি চুটিয়া আসিতেন, কিন্তু চিঠির কোনো চিহ্ন দেখিতে পাইতেন না। যেখানটায় চিঠিব সন্ধান করিতেন সেথানটা শূন্য দেখিয়া তাঙ্গর সমস্ত হৃদয়ট শৃঙ্গ বোধ হইত ! দুষ্ট দুষ্ট থানা চিঠি দুষ্ট দুইবার তিনি লিখিলেন, তবুও কোনো জবাব আসেন ! কেন ? ইহার তো কোনো কারণ নাই । মন যে কেবলই এই কথা বলতেছে- আসিলে, আসিবে, এখনষ্ট আসিবে-ওগো অপেক্ষা কর, ধৈর্য ধর । তাঙ্গার তপন বোধ ইত সমস্ত জীবনটা শুধু একখানি চিঠির অপেক্ষায় যেন শূন্স ও নীরস হইয়া আছে, সে চিঠি পাইলেই আবার তাঙ্গ কানায় কানায় ভরিয়া উঠিবে। পর দিন গেল, তবুও কোনো চিঠি আসিল না ! তখন একদিন ফ্রাঙ্ক বার্টির কাছে আসিয়া কাতরকণ্ঠে বলিলেন—“ইভার কাছ থেকে এখনো কোনো উত্তর পেলুম না ; কেন বল দেখি বাটি ?” ফ্যাঙ্কের এ কথার মধ্যে দুঃখের সহিত একটা সঙ্কোচও ছিল ; ইভা তাচ্ছিল্য করিয়া তাঙ্গকে পত্র লেখেন নাই এই অপমানের কথা কাছারে কাছে প্রকাশ করিতে কুণ্ঠ তো কইবেষ্ট । বাট চোখ দুট কপালের দিকে তুলিয়া বলিল—“র্তা এখনও উত্তর পাওনি ?” বন্ধুর সেক্ট কাতর দৃষ্টি দেখিয়া, আৰ্ত্তনাদের মতে কণ্ঠস্বর শুনিয়া বার্টির কালো কালো কোমল চোখের উপর একটা করুণ বিষাদের ছায়া জমিয়া উঠিল। সত্যই তাঙ্গার বুকের উপর একটা গুরুভার চাপিয়া আছে, সত্যই সে তখন કન્ન মৰ্ম্মাস্তিক বেদনা বোধ করিতেছে। সে যাহা করিয়াচে তাছা যাহার এতটুকু হৃদয় আছে সে করিতে পারে না - কিন্তু দিনের