পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q8 ক্রটির পক্ষে কি যথেষ্ট নছে ? ইভার অন্তরে যদি এতটুকু ভালোবাসা থাকিত তাক হইলে তিনি পায়ে ধরিয়া ক্ষমা চাচি লামাত্রই তাতার অভিমান রাগ নিমেষের মধ্যে কোথায় ভাসয় যাইত ! তাঙ্গর প্রতি এ কা অপিচার । সামান্ত একটু ক্রটির কি ক্ষমা নাই ! ফ্রাঙ্ক হৃদয়ের আবেগে ঘরের মধ্যে অস্থির ভাবে পদচারণা করিতে করিতে বলিতে লাগিলেন– “আমার ঠিক মনে নেই তাকে তখন কি বলেছিলুম—নিশ্চয় কোনো কঠোর কথা তবে—আমি রাগের মাথায় কাকে যে কথন কি বলি ! মনে পড়চে বটে তার হাতখানা ধরে আমার কাছ থেকে তাকে দূর করে ঠেলে দিয়েছিলুম-— তার পর চলে আসি। আমি তখন জ্ঞানশূন্ত—কি বলেচি, কি করেচি কিছু জানি না । নিশ্চয় অত্যন্ত রূঢ় হয়ে উঠেছিলুম--সে আমার উচিত হয়নি—কিন্তু কি করব রাগলে যে আমার জ্ঞান থাকে না ।” বাটি আরাম কেদারায় শুইয়া শুষ্টয়া সাস্তুনার স্বরে বলিল--"ফ্র্যাঙ্ক ! সে সব কথা ভুলে যাও ! এখন আর কোনো চার নেই—যা হবার চয়ে গেছে, তাই নিয়ে দুঃখ করে কি হবে, সে সব ভুলে যা ও !” “ভুলে যাব! ভূলব ? বাটি ! তুমি কি কাউকে কখন ভালোবেসেছ ?” “বেসেচি বইকি !” “তাহলে তুমি বুঝতে পারবে আমার হৃদয়ের বেদন কী ! কিন্তু তেমন করে তুমি কাউকে ককৃখনো ভালোবাসনি-ভালবাসতে পার না—-সে তোমার স্বভাবই নয়— তুমি নিজেকে যে সব চেয়ে ভালোবাস ।" “তা হতে পারে—কিন্তু আমি তোমায় ভালোবাসি— তোমার দুঃখ আমাব সহ তয় না । আমি তো দেখতে পাই ন এর কোনো উপায় আছে—তারা ব্যাপারটাকে এম্নি গুরুতরভাবে গ্রহণ করেচেন যে তার আর সংশোধন করবার কোনো পথ নেই। কি. করবে বল ? এ দৈবের বিধান ! মামুষের কোনো হাত নেই। এখন সেসব ভুলে যাও—নুতন পথে জীবন ফেরাও—এ সংসারে কি আর রমণী নেই ? তুমি পুরুষ মানুষ—এ তোমার কী দুর্বলতা--প্রেমের জন্ত জীবনটা খোওয়ালে ! BB HBBS BDBB DDDD gg BBBHH HHGG i প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩ ৭ [ ১০৯ ভাগ, ২য় খণ্ড নিৰ্ব্বোধ বালিকারাই এমি করে জানি—তুমি বালিকা নও !” বাটি কথা শেষ করিয়া এমনি এক তীক্ষ দৃষ্টিতে ফ্র্যাঙ্কের পানে চাহিল যে ফ্রাঙ্কের ক্ষণেকের তরে মনে হইল বাটি যাঙ্গ বলিতেছে তাঙ্গ সত্য ! কিন্তু পরক্ষণেই ইভার কথা মনে পড়িয়া গঙ্গকে অধীর করিয়া তুলিল । তিনি বাটির সেই তীক্ষ দৃষ্টি হইতে আত্মরক্ষার চেষ্টা করিয়া প্রতিবাদের স্বরে বলিয়া উঠিলেন—“বাটি ! তুমি বুঝচনা— তুমি যে কখনো কোনো রমণীকে ভালবাসনি ! কেন আবার আমি ইভাকে ফিরে পাবে না ? কী এমন হয়েছে ? দুটে রূঢ় কথা বলেচ বই তো নয় ! তাতে কি ? যে যাকে ভালোবাসে তার দুটে রূঢ় কথা কি সে ক্ষমা করতে পারে না ! এ কি এমনি অসম্ভব!” কয়েক মুহূর্তের জন্ত ঘরটা নিস্তব্ধ হইয়া রহিল—মনে হইতে লাগিল বাতাসের উপর যেন একটা কী ভয়ঙ্কর গুরুভার চাপিয়াছে ! তার পর বাটি ধীরে ধীরে কোমল কণ্ঠে আরম্ভ করিল—“হা, সম্ভব মনে করতুম যদি একখানা চিঠিতেই সব মিটমাট হয়ে যেত। তিন তিন খান চিঠি লিখলে—এখন অসম্ভব বই কি !” ফ্র্যাঙ্ক অধৈর্য্য হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“বেশ ! তাহলে আমি নিজেই গিয়ে একবার দেখধেl !” বাটি স্তম্ভিত হইয়া গেল, তাহার মনে হইতে লাগিল বাতাসের সেষ্ট গুরুভারটা যেন তাহার বুকের উপর আসিয়া চাপিয়াছে, সে চতুৰ্দ্দিক অন্ধকার দেখিতে লাগিল, ফ্র্যাঙ্কের কথাটা সে যেন ভালো করিয়া বুঝিতে পারিল না । তাই সে স্বপ্নাবিষ্টের মতো জড়িতকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল—“কি বল্লে ?” —“আমি নিজে গিয়ে একবার দেখবোঁ !" —“কোথায় যাবে ?" —“আরে, ইভাদের বাড়ী ! না কি !” বাটি চেয়ার ছাড়িয়া লাফাইয়া উঠিল । তাহার চোখ দুট দীপ্ত অঙ্গারের মতো জলিতে লাগিল ! হৃদয়ের উদ্বেগ প্রাণপণে চাপিয়া রাখিয়া সে ধীরকণ্ঠে কহিল –“সেখানে ফসের জন্তে যাবে ?” তুমি কি কালা হলে