পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३अ সংখ্য। ] -- - ۰۰۰۰ - ۰ ماه مه هم , ...» স্বৰ্য্য তখন অস্ত গিয়াছিল । গদাই বলিল—“আজ তবে চল্লাম। সমুখ অন্ধকার—অনেকদূর যেতে হবে। আর একদিন এসে আরও কিছু চারা দেখিয়ে দেব।” “আপনি আবার কবে আসবেন বাবু ?” “কালীপূজার দিন। সে দিন কাছারি বন্ধ কিনা। পারি যদি ত তার আগের দিনই আসব।”—বলিয়া গদাই অশ্বারোহণ করিল। অগ্রসর হইয়া, ঘোড়া থামাইয়া, মালীকে কাছে ডাকিয়া চুপি চুপি বলিল—“ওহে শোন, একটা কায করতে পার ? কালীপূজোর সময় বাবুর বাড়ী থেকে মাংস টাংস পাওয়া যাবে। আমরা শাক্ত কিনা, কালীপূজোর রাতে আমাদের একটু ইয়ে খেতে হয়। তোমরা কি তাকে বল ভাল, আমার আবার হিন্দি মিন্দি ভাল আসে না—দারু দারু। বেশ ভাল এক বোতল— বুঝেছ—দোয়াস্তা, এক টাকা দিয়ে কিনে এনে রাখতে পার ? সেই একটা, আর দু বোতল আট আনা ওয়াল, বুঝেছ,—যদি এনে রাখ, বড় ভাল হয় ।” মালী স্বীকৃত হইল। গদাই তাহার হাতে দুইটি টাকা দিয়া প্রস্থান করিল। বিংশ পরিচ্ছেদ প্রেত চতুর্দশীর দিন ৰৈকালে, পদব্রঙ্গে গদাই পাল আবার বাগানবাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার হাতে একটি মাঝারি আকারের ক্যাম্বিসের ব্যাগ। মালী কুটীরের সন্মুখে বসিয়া তামাক খাইতেছিল–গদাইকে দেখিয়া উঠিয়া দণ্ডায়মান হইয়া বলিল—“বাৰু আম্বন ।” “তামাক ভৈরি যে”—বলিয়া গদাই ব্যাগটি খাটিয়ার উপর রাখিয়া পাশে উপবেশন করিল। মালী বলিল—“একটা কলার ডাটা কেটে আনি ?” *না—আমার সঙ্গেই ছক আছে”—বলিয়া গদাই ব্যাগটি হইতে একটি স্থক বাহির করিল। দুই চারি টান টানিয়া বলিল—“হাহে--রমণচন্দ্র ঘোষ বলে কাউকে জান ?” মালী চিন্তা করিয়া বলিল –“রমণচন্দ্র ঘোষ ? কৈ না— মনে ত পড়ছে না। কেন বাৰু?” “আমি যখন এই মাত্র বাগানের মধ্যে দিয়ে আসছি, তখন দেখি, বগলে ছাতি, গায়ে একটা হাতকাটা পিরাণ, नबौन जब्रTांजौ একখানা চাদর গলায় জড়ান, একটা আধবয়সী লোক, ) సి معه ممیه-. আমবাগানে দাড়িয়ে বাগানবাড়ীর পানে ই করে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। ভাবলাম কে লোকটা ? অামি পেছন থেকে আসছি, চৈতন্তই নেই। কাছে এসে চোখোচোখি হতেই আমি জিজ্ঞাসা করলাম—‘কে তে তুমি ?--সে থতমত খেয়ে বল্লে—“আমার নাম রমণচন্দ্র ঘোষ।”--অামি বলাম —“এখানে কি করছ ?—‘আজ্ঞে কিছু নয়’—বলে লোকটা হন হন করে চলে গেল।” মালী বলিল –“কি জানি বাবু—কাউকে কখনও ত এ রকম দেখিনি বাবু । কি মৎলবে এসেছিল কে জানে।” গদাই গম্ভীরভালে বলিল-—“ আমার কিন্তু ভারি সন্দেছ হয় । তাড়াতাড়িতে একটা ভুল হয়ে গেল—তার বাড়ী কোথা জিজ্ঞাসা করলাম না । খোজ নাও দিকিন, আশে পাশে কোনও গায়ে রমণচন্দ্র ঘোষ বলে কেউ আছে কি না ।” “আজ্ঞে তা খোজ নেব বৈকি। এ খবরটা ত বাবুকে দেওয়া উচিত।” “উচিত-ই ত। কিন্তু আমি ত কাল বাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারছিনে। আজ আমি এসেছি নিজের একটু কাযে । আবার ভোর বেলা চলে যাব । এক রকম মুকিয়ে এসেছি বল্লেষ্ট হয় । তার চেয়ে বরং ইয়ে কর । কাল তুমি সকাল বেলা যেও। বাবুকে বোলো। আমার নাম করবার দরকার নেই –তুমি বোলো যেন তুমিই দেখেছ। তা হলে তোমার ছসিয়ারিতে বাবু খুগ্ৰীও হবেন। বলবে আমবাগানের ভিতর দিয়ে তুমি আসছিলে, এমন সময় তুমিই যেন দেখলে –বুঝেছ—আমি যা যা দেখেছি তুমি সেইগুলো সব নিজের করে বলবে ।” মালী বলিল—“বলব, নাম জিজ্ঞাসা করতে বঙ্গে রমণচন্দ্র ঘোষ। আর কি বলব ? বগলে চাদর”— গদাষ্ট বলিল—“আরে না না । বলবে বগলে ছাতি, গলায় চাদর জড়ানো, গায়ে একটা চাতকাটা পিরাণ । আধবয়সী লোক নাম রমণচন্দ্র ঘোষ। মনে থাকবে ত?”

  • তা মনে থাকবে ।” গদাধর তথন মালীকে উত্তমরূপে তালিম দিল । সক্ষীকে তালিম দেওয়া তাহার বহুদিনের অভ্যাস ।