পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, > ●>" এরূপ কার্য্য র পক্ষে নিষিদ্ধ। অর্থাৎ তাঙ্কার উল্লিখিত আট প্রকার লোকধৰ্ম্ম হইতে উত্তীর্ণ হইয়াছেন। কলম্বোলিগরের প্রধান পুরোষ্ঠিত আমাকে খুব স্নেহ করিতেন। কিন্তু মেৰ্ক ভালবাসা তাহাদের নিষিদ্ধ। এজন্য তিনি এরূপ ভাবে কৌশলে আমার কথা বলিতেন যে তাঙ্গতে তাহার মনেব ভাব বুঝিয়া তাঙ্গর একজন গৃহস্থ ছাত্র প্রতিদিন বেড়াইয়া আসিলেই আমার -কুশলাদি জিজ্ঞাসা করিতেন । প্রথমে মনে করিতাম ঐ ছাত্রটিরই আগ্রহ, কিন্তু ক্রমে প্রকৃত কথা জানিতে পারিলাম । ভিক্ষুদের পক্ষে সঞ্চয় নিষিদ্ধ। প্রতিদিন পূৰ্ব্বাহ্লে ভিক্ষায় বাহির হইয়া যাই পাইবেন ঠিক সেই সময়ে তাহা আঙ্গর করিতে হুইবে, অপর দিনের জন্ত রাথিয়া দিবার নিয়ম নাই । নাই । দ্বি প্রঙ্গবের পবে কিছু আহাৰ করিবার নিয়ম জলপান করিতে পারেন । প্রত্যেক বিহারেই শত শত নারিকেল প্রভৃতি ফলের গাছ আছে। কিন্তু ভিক্ষুরা তাঙ্গ স্পর্শও করেন না, ভূত্যের সেগুলির যথেচ্ছ ব্যবহার করে, ভিক্ষরা জিজ্ঞাসা পর্য্যন্ত করেন না । দান করাও ভিক্ষুদের পক্ষে নিষিদ্ধ, কেননা তাঙ্গতে প্রশংসা হইতে পারে । তবে বুদ্ধমূর্তি দানে ও ধৰ্ম্মগ্রন্থ বিতরণে তাঙ্গাদের অধিকাব আছে । ভিক্ষু হইতে ইষ্টলে প্রথমে প্ৰব্ৰজা লষ্টতে হয়। ২০ BBBBB BBBB BBD BBBBB BBBS KBBBB BBBB নাই । মাতার অনুমতি লইয়া কোন ভিক্ষর নিকট গিয়া স্বীয় চচ্চ জানাষ্ট্রতে হয় । প্ররণা লঙ্গতে ইচ্ছা কবিলে সেই যুবককে পিতা ঐ ভিক্ষু গঙ্গাকে কতকগুলি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, যথা, তোমার নাম কি ? বয়স কত ? রাজকৰ্ম্মচারী কি না ? কোন রোগ আছে কি না ? পরিধেয় বস্ত্র সংগ্ৰহ কবিয়াছ কি না ? পিতা মাতার অনুমতি পাইয়াড় কি না ? প্রভৃতি । গঙ্গাব পর ঐ ভিক্ষ তাঙ্গকে সজঘনায়কের নিকট লষ্টয়া যান। সজঘনায়ক সভা আহবান করিয়া যথারীতি সঙ্ঘের নিয়মাবলী শিক্ষা দিয়া তাছাকে উপসম্পদ প্রদান করেন। পরে তাহাকে ভিক্ষুপদে উন্নীত করা হয় । ভিক্ষুর মহাসম্মানের পাত্র, রাজা অপেক্ষাও তাহাদের সম্মান অধিক । [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ভিক্ষুগণের দৈনিক কতকগুলি কাজ আছে, তন্মধ্যে বোধিবৃক্ষ প্রদক্ষিণ ও পাঠ প্রধান । অধ্যয়ন ও অধ্যাপন র্তাহাদের জীবনের সম্বল। ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি প্ৰব্ৰজার অধিকারী নহে। ভিক্ষুদের মধ্যে কাহারও ব্যাধি প্রায় দেখা যায় না । আমরা বিহার দেখিবার জন্ত অনুরাধপুরে গিয়াছিলাম। এই অনুরাধপুবে পূৰ্ব্বে জ্যোতিষের মানমন্দির ছিল। এইখান হইতেষ্ট হিন্দুজ্যোতিষের দ্রাঘিমা গণনা করা হইত। পরে উজ্জয়িনী হইতে গণনা আরম্ভ হয় । ইহাতেও বোধ হয় লঙ্কা এক সময়ে ভারতের সহিত সংযুক্ত ছিল । অনুরাধপুর প্রাচীন ভারতের স্মৃতি জাগরিত রাথিয়াছে। এখানে চারিদিকে বিক্ষিপ্ত যে সকল প্রাচীন স্মৃতিচিহ্ল আছে তাঙ্গা বোধ হয় সমস্ত ভারতবর্ষের প্রাচীন চিকুগুলির সমষ্টি অপেক্ষা নুন নছে । পুরাতত্ত্ববিদের পক্ষে এই স্থান অতি অাদরের জিনিস । নিকটেই মিহিন্তাল পৰ্ব্বত । এই স্থানেষ্ট মহেন্দ্রের সঙ্গিত লঙ্কার রাজার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। মহেন্দ্র লঙ্কেশ্বরকে নাম উচ্চারণ পূৰ্ব্বক সম্বোধন করেন। মহেন্দ্র ও তৎসমভিব্যাঙ্গরী পীতবসনধারী বৌদ্ধভিক্ষুগণকে দেখিয়া রাজা প্রশ্ন করেন--“আপনার কাতার প্রজা ?” “যিনি স্বর্গমর্ত্যপাতালের তাঙ্গর তাহারই মহেন্দ্র উত্তর দিলেন যে অধিপতির নিকটও 25)” | নত নকেল এই উত্তবে সস্তুষ্ট হইয় রাজা বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন । তথন রাজার পরীক্ষা আরম্ভ হইল । মঙ্গেদে এক আমগছ দেখাষ্টয়া জিজ্ঞাসা করিলেন--- “ঐটি কি গাছ ?” রাজা । “আমগাছ ।” “আর আমগাছ আছে ?” “হুঁ, আছে ।” “ আমগাছ ভিন্ন অন্ত গাছ আছে ?” “হঁা আছে ।” “সমস্ত গাছ হইতে ঐ অল্প গাছগুলি গাছ থাকে ?” “আমগাছ ।” বাণ দিলে কি