পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা গোল আলু— Potato মূলজ --Root Crop. Solanum Tuberosum. আলু চাষেব ‘নয়ম প্রণালী পাঠকবর্গেব গোচর করিলে অনেকে তাঙ্ক! তইতে ফল লাভ করিতে পারেন । সাধারণ গৃহস্থের বৎসবে ২০ মণ আন্দাজ আলু খরচ হইয়া থাকে। ইছ। বেহারের ৩ কাঠা জমিতে এবং বঙ্গদেশের ৭॥০ কাঠা জমিতে সহজে উৎপন্ন করা যাইতে পারে। নিজের বাগানে বা বাসবাটীর সংলগ্ন স্থানে আলু চাষ করিলে যেমন সংসারের ব্যবহার্য্য আলু পাওয়া যায়, তেমনি আবার নিজের তত্ত্বাবধানে চাষ করাতে মনে এক প্রকার আনন্দ অন্ধুভব হয়। এইরূপ নির্দোষ আমোদ জীবনের পক্ষে উপকারী । এক একর জমিতে আলু চাষ করিলে নুনিকল্পে ১••\ লাভ হয়। সুতরাং ৩ একর জমী চাষ করিলে ২৫২ মাহিনীর চাকুরী করার সমান ; অথচ পরের দাসত্ব করিতে হয় না । বঙ্গদেশের ৩ বিঘায় এবং বেহারের ১০ বিঘায় এক একর । বাঙ্গালা ও বেতারের স্থানে স্থানে বিঘার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এক একর সর্বত্রই ৪৮৪০ বর্গগজ পরিমাণ ; সুতরাং একরের চিসাব দেওয়াই সুবিধা । মৃত্তিক বঙ্গদেশের আউসের ক্ষেত এবং বেহারের ভিট অর্থাৎ উচ্চ জমিতে আলু জন্মে। দোআঁশ মৃত্তিক অর্থাৎ যাহাতে অল্প বালি আছে, আলুর পক্ষে উপযুক্ত। মেটেল মাটী বা সেঁতা জমী আলুর পক্ষে অপকারী। আলুর জমী জলাশয় বা কুপের নিকট হওয়া আবশুক, কারণ তাহাতে সৰ্ব্বদা জলসেচনের প্রয়োজন হয়। আলুক্ষেত্রের নিকট আওতা থাকিলে তাছাতে অপকার করে । দীজ—বীজ নির্বাচনের উপর আলুর ফলনের আধিক্য নির্ভর করে ৷ পাহাড়ী আলুর মধ্যে নাইনিতাল ও দ্বাঞ্জিলিঙ্গের এবং দেশী আলুর মধ্যে পাটনা ও বেথিয়ার আলুর বীজ উত্তম। এই কয় জাতীয় বীজে ফলও অধিক হয়। নাইনিতাল দ্বার্জিলিং এবং পাটনাষ্ট আলুর বীজে যে ফসল হয় তাহার বর্ণ শ্বেত এবং শাস দানাযুক্ত। বেথিয় বীজের ফসলের বর্ণ লালের আভাবিশিষ্ট হয়, এবং তাঙ্গর শস্ত দানাযুক্ত হয় না। - পাহাড়ী জাতীয় বীজই উত্তম। নাইনিতাল বা দ্বার্জিলিঙ্গের আলু ভাদ্র আশ্বিন মাসে বাজারে তরকারির জষ্ঠ প্রায় সৰ্ব্বত্রই বিক্রয় হয়। উক্ত প্রকার আলু ক্রয় করিয়া তাল হইতে মাঝারী আকারের আলু বাছিয়া লইতে হইবে। ১০১২ দিন সেঁতা স্থানে বালির মধ্যে ঐ আলু রাখিলেই তাহাতে অঙ্কুর বাচির হয়। উক্ত অস্তুরবিশিষ্ট আলুর বীজ বপন করিবার পক্ষে উৎকৃষ্ট । বীজগুলি পৰু আমড়ার আকারের হইলে তাহাতে Botanical name গোল আলু ১৯১ ফলন সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক হয়। ছোট আকারের বীজের মূল্য অল্প কিন্তু তাহাতে ফলন ভাল হয় না। বড় আকারের আলু খণ্ড খণ্ড করিয়া ( যাহাতে প্রত্যেক খণ্ডে ২ট করিয়া চক্ষু থাকে ) বপনের বাবস্থা আছে। কিন্তু তাছাতেও ফলন অধিক হয় না। খণ্ড খণ্ড আলু বপন করিতে হইলে কৰ্ত্তিত স্থানে গুড়া চুণ মাখাষ্টয়া দিলে পোকা ধরিবার ভয় থাকে না । প্রথম বৎসরে পাহাড়ী জাতীয় আলু বপন করিয়া, তাহ। হইতে বীজ রক্ষা করিলে তাঙ্গাকে acclamatized বীজ কষ্ঠে । এই বীজে সৰ্ব্বাপেক্ষ ফলন অধিক হয়। বঁকিপুর অঞ্চলে চাষীরা এইরূপ বীজ উৎপাদন করিয়া বিক্রয় করে, তাহাই পাটনাই আলুৰ বীজ নামে প্রসিদ্ধ। কিন্তু এই acclamatized বীজ হইতে যে ফসল হয় তাহার বীজ রক্ষা করিলে তাহাতে আর সেরূপ ফলন হয় না । বীজের গুণ প্রতি বৎসর ক্রমে ক্রমে হ্রাস হঠতে থাকে । বীজের পরিমাণ—মাঝারী আকারের আলুীজ প্রতি একরে ১৫ মণ হিসাবে আপশুক হয় । জমী প্রস্তুত— আশ্বিন মাসের প্রথম কষ্টতে আরম্ভ করিয়া প্রতি সপ্তাহে দুষ্ট বার চাষ ও একপার মঙ্গ দিয়া জমী সমান করিতে হইবে । কাৰ্ত্তিক মাসের প্রথম পর্য্যস্ত এক্টরূপে ৮ চাষ ও ৪ বার মই দেওয়া প্রয়োজন । ইতিমধ্যে ক্ষেত্রে ঘাস থাকিলে তাহা বিদে বা কাটা দিয়া একত্র করিতে হইলে এবং তাঙ্গ শুকাইয়া আগুন দিয়া পোড়াইয়া ক্ষেত্রে ছড়াইয়া দিতে হইবে। ক্ষেত্রে ঢেলা থাকিলে এই সময় তাঙ্গা ভাঙ্গিয়া দেওয়াও আবশুক । জমী এইরূপে প্রস্তু গু হইলে তাঙ্গতে ২০ হাত দীর্ঘ প্রস্থ বা যেরূপ সুবিধা হয় ছোট ছোট পটী বা কেয়ারি করিতে কষ্টবে। প্রত্যেক কেয়ারি এরূপভাবে করা আবশুক যাহাতে জলের নালার সঙ্গে প্রত্যেকের যোগ থাকে। অনন্তর প্রত্যেক কেয়াবিতে কোদাল দিয়া ১ হাত অন্তর অন্তর এবং ২ আঙ্গুল গভীর জুলি এরূপভাবে টানিতে হইবে যাহাতে প্রত্যেক জুলির সহিত জলের নালার যোগ থাকে। এইরূপে প্রস্তুত ক্ষেত্র আলু বপনের উপযুক্ত হইল । বীজবপন ও পাট—উপরোক্ত প্রকাবে জুলি টান৷ হইলে এবং নিয়ের লিখিত মতে সার দেওয়া হইলে জুলিতে সারবন্দি করিয়া ১ ফুট অন্তর অন্তর এক একটা আলুবীজ ফেলিয়া যাইতে হয়। তৎপরে কোদাল দ্বারা পাশ্বের মাটী জুলির আকারে টানিয়া তাহ দ্বারা বীজের জুলি ঢাকা দিতে হইবে। এরূপ করিলে বীজের স্থান ঢাকা পড়িয় তাহার পার্থে নূতন জুলি টান হষ্টবে। বীজ বপনের ৭৮ দিন পরে আলুর গাছ বাক্তির হইতে থাকে। এই সময় জুলিতে একবাৰ জলসেচন করিলে সমস্ত *ांझ #ौञ #ोञ्च वांश्झि झझेभ्रॉ यांग्न । श्रृंiझ७fण श्रfर्ष हाँऊ राफ़