পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ ૦ 8 তাছ। দৃষ্ট আকর্ষণ না করিয়া থাকে না। এমন দৈন্ত अछख बङ्के झर्लंड । ইহা যে কেবল ভারতেই আবদ্ধ আছে, তাহী নহে ; ভারতের বাহিরেও ইত স্বকীয় প্রভাব বিস্তার করিয়াছে । অগ্নি যেখানেই কেন থাকুক না, তাঙ্গ নিজের উষ্ণতা ও আলোক অবশু প্রকাশ করিবে । সেক্টরূপ যেখানেক্ট ভক্তির মধুর মূৰ্ত্তি ও প্রেমেব ললিত কান্তির উদয় হইয়াছে, সেইখানেই তাহার সেই স্বাভাবিক ভাব প্রকাশ পাঠয়াছে । আমরা ক্রমশ তাহা দেখিতে পাইব । এখন আমরা দুষ্ট একটি ভগবস্তুক্তের চরিত্র উল্লেখ করিয়া দেখিতে চেষ্টা করিব যে, তাহারা কিরূপ অবজ্ঞাত হইয়াছিলেন, এবং কিরূপেষ্ট বা তাহ সহ করিয়াছিলেন । যে গ্রন্থে নিমৎসর সজ্জন গণের পরম ও কৈ তববিহীন ধৰ্ম্ম উপদিষ্ট হইয়াছে, যাহাতে তাপত্রয়ের উন্মলনকারী কল্যাণ প্রদ বাস্তব বস্তু জানিতে পারা যায়, এবং যাহার শ্রবণে শ্রবণেচ্ছু কৃতিগণ সঙ্গে সঙ্গেই হৃদয়ে পরমেশ্বকে ধারণ করিতে পারেন, এবং সেই জন্যই যাহা বর্তমান থাকিলে অপর শাস্ত্রের আর প্রয়োজন থাকে না বলিয়া উক্ত হয়, সেই মহামুনি-কৃত শ্ৰীমদ্ভাগবতেঙ্গ প্রথম স্কন্ধে পরীক্ষিতের শাপবৃত্তান্তে ঐ অবমানস্বীকার-ভাবের বীজ বপন করা হইয়াছে, সপ্তম স্কন্ধে মহাভাগবত প্ৰহলাদের চরিত্রে তাহা পল্লবিত করা হইয়াছে, এবং অবশেষে একাদশ স্কন্ধে ভিক্ষুগীতায় তাহার চরম পরিণতি প্রদর্শিত হইয়াছে । মঙ্গরাজ পরীক্ষিৎ একদিন মৃগয়ায় বহির্গত হইয়া মৃগের অমুসরণে বন হইতে বনাস্তরে বিচরণ করিতে করিতে অত্যন্ত ক্ষুধিত ও তৃষিত হইয় পড়েন। তিনি নিকটে কোনো জলাশয় দেখিতে না পাষ্টয়া মহামুনি শমীকের আশ্রমে উপস্থিত হন। তিনি তখন “প্রতিরুদ্ধেন্দ্রিয় প্রাণমনোবুদ্ধি” হইয়া সমাধিস্থ । মহারাজ পরীক্ষিৎ

  • ধৰ্ম্মঃ প্রোজুৰিতেকৈতবোহ পরমে নির্মৎসরাণাং সত্যং

বেদ্যং বাস্তবমত্র বস্তু শিবদং তপত্রয়োয় লনম্। শ্ৰীমদ্ভাগবতে মহামুনিকৃতে কিংবা পরৈরীশ্বরঃ সদ্যে হৃদ্যৰক্লধ্যতেছত্র কৃতিভিঃ শুক্রযুভিস্তৎক্ষণাৎ " इश वैभढाशबाङब्र चिडीब्र cन्नाक. अवर डाहांब्र छूभिक । झेशत्र প্রত্যেকটি শব্দ লক্ষ্য করিয়া দেখিলেই বুৰী বাইৰে তাহাতে কি আছে, এবং কেমই বা তাহার এত গোঁৱৰ । প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ক্ষুধা-তৃষ্ণায় পীড়িত ও শুষ্কতালু হইয়৷ তদবস্থায় সেই মুনির নিকট জল প্রার্থনা করিয়াও পাইলেন না । তিনি স্বয়ং মহাভাগবত হক্টলেও সেই অবস্থায় নিজেকে অবজ্ঞাত মনে করিয়া সহসা অত্যন্ত কুপিত হইয়া উঠিলেন, এবং ধনুস্কোটিম্বারা সেই মহামুনির গ্রীবাদেশে এক মৃতসর্প জড়াইয়া দিয়া প্রস্থান করিলেন। এদিকে অন্তাত্র শমীকের ক্রীড়াব্যাপৃত অতিতেজস্বী পুত্ৰ শৃঙ্গী পিতার সেই অবস্থা শ্রবণ করিয়া ক্রোধে শাপ প্রদান করিলেন যে, তক্ষক সপ্তম দিবসে মহাবাজ পরীক্ষিৎকে দংশন করিবে । অনন্তর আশ্রমে প্রত্যাগত পুত্রের ক্ৰন্দনধ্বনিতে মহামুনির সমাধি ভগ্ন হইলে তিনি সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া শাপ প্রদান জন্য পুত্রকে তিরস্কার করিলেন, তৃষ্ণার সময় জল প্রদান না করায় নিজেকেই অপরাধী মনে করিলেন, এবং অত্যন্ত অনুতপ্ত হইলেন । তিনি শ্ৰীভগবানের নিকটে বালক পুত্রের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন---“হে ভগবন, আমার এই অপকবুদ্ধি বালক-পুত্র আপনার নিরপরাধ ভক্তের প্রক্তি যে পাপাচরণ করিয়াছে, আপনি সৰ্ব্বাস্তুর্যামী, আপনি তাহা ক্ষমা করুন !” তিনি মনে ভাবিয়াছিলেন যে, রাজা যদি আজ প্রতিশাপ প্রদান করেন, তবেই আমাদের নিস্কৃতি হইতে পারে। কিন্তু রাজর্ষি পরীক্ষিৎকে মহাভাগবত মনে করিয়া সেই প্রতিশাপের আশাও পরিত্যাগ করিলেন। কেননা, ‘ভগবদ্ভক্ত সাধুপুরুষসমূহ তিরস্কৃত বঞ্চিত অভিশপ্ত অবজ্ঞাত ও তাড়িত হইয়া সামর্থ্য সত্ত্বেও তাঙ্গর প্রতীকারে প্রবৃত্ত হন না । * শ্ৰীভগবদ্বুদ্ধবসংবাদে শ্ৰীভগবান উদ্ধবকে দুঃখ পতীকারের উদ্যমও পরিত্যাগ করিয়া পরমেশ্বরনিষ্ঠ হইবার উপদেশ প্রসঙ্গে বলিতেছেন — “যিনি শ্ৰেয়ঃ কামনা করেন, তাহাকে যদি অজ্ঞ অসাধু ব্যক্তিরা তিরস্কার করে, অবমান করে, উপহাস করে, অস্থর করে, তাড়ন। করে, আৰদ্ধ করিয়া রাখে, সম্পৎ হইতে বর্জিত করে, অথবা

  • তিরস্কৃত বিপ্রলৰাঃ শপ্তাঃ ক্ষিপ্ত হত। অপি ।

নাস্ত তৎ প্রতিকুৰ্ব্বস্তি তত্ত্বক্তা: প্রভৰোহপি হি ।” শ্ৰীমদ্ভাগবত, ১, ১৮, ৪৮ ; জন্মত্য শ্ৰীধর-টীকাও ফ্রষ্টব্য। ইহার পরবর্তী শ্লোকটিও আলোচ্য— "প্রায়শঃ সাধবে লোকে পরৈদ্বম্বেষু যোজিতাং । ন বাখন্তে ম হাৰ্য্যক্তি যত আত্মা গুণাশ্রয়ঃ " ঐ ৪৯ ।