পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা আমাদের পল্লী অঞ্চলের লোক এ কালের মত এত সভ্য বা ‘সহর ঘেঁসা হয় নাই ; বাড়ীর দরজায় তাল দিয়া স্ত্রী পুত্রাদি সঙ্গে লইয়া বিদেশে চাকরী করিতে যাওয়া পল্লীবাসীরা তখন নিতান্ত লক্ষ্মীছাড়ার লক্ষণ বলিয়া মনে করিতেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি হরিশ্চন্দ্র সনাতনপুরের কাছারীতে নায়েবী করিতেন ; সনাতনপুর তাঙ্গর বাসগ্রাম দরবেশপুরের দশ ক্রোশ উত্তরে ; সনাতনপুরের কাছারী বাড়ীতে একজন . পাচক ব্রাহ্মণ ও পরিচারক লইয়। তিনি বাস করিতেন, ইহাতে যে তাঙ্গার ব্যয় সংক্ষেপ হইত এরূপ নছে, তাহার বাসায় দু বেল বিশ খানি পাতা পড়িত, অল্প বেতনের কোন কোন কৰ্ম্মচারী তাহার অন্নেষ্ট প্রতিপালিত হৃষ্টত ; এতদ্ভিন্ন উমেদার, ভিক্ষুক, অতিথি অভ্যাগত ভদ্র লোক যে কত আসিত, তাতার সংখ্যা নাই । কেহ তাহার ব্যয় বাহুল্যের উল্লেখ করিলে তিনি বলিতেন, “ম অন্নপূর্ণ উগদিগকে ছ’বেলা দুটি খাইতে দিতেছেন, আমি উপলক্ষ্য মাত্র।” সরকারী কার্য্যোপলক্ষে হরিশ্চন্দ্রকে প্রায়ই মফস্বলে যাইতে কষ্টত বলিয়া কাছারী বাড়ীতে র্তাহার জন্য সৰ্ব্বদ পান্ধী বেঙ্গর মোতায়েন থাকিত। পূজা পাৰ্ব্বণে তিনি সেই পান্ধীতে বাড়ী আসিতেন । বারোটা দুলে বেছার যখন হরিশ্চন্দ্রের পান্ধী লইয়া উড়িয়া আসিত, তখন পথ প্রাস্তবন্তী দশখান গ্রামের লোক বেঙ্গরাদের ঐকতানিক ভৈরব হঙ্কার গুনিয়া বুঝিতে পারিত নায়েবমশায় ডিহীর কাছারী হইতে বাড়ী যাইতেছেন । বেহারাদের সেই হুঙ্কার নৈশ প্রান্তর প্রতিধ্বনিত করিয়া যখন গ্রামবাসিগণের কর্ণে প্রবেশ করিত, তখন গ্রামের আডডাধারীরা হকার নল হইতে মুখ তুলিয়া বলিত, “তরিশ মজুমদার কি দাপটেই নায়েলী করচে ! বাপ, বছরে দেড়ট সদরালার সমান পয়সা রোজগার করে ” দাদা বাড়ী আসিলে মুকুন্দ মহা ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িতেন, কি করিয়া যে তাহার মনোরঞ্জন করিবেন তাহ ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেন না ; দধি দুগ্ধ মৎস্ত তরকারী প্রভৃতি সংগ্রহের জন্ত এমন ছুটাছুটি করিতেন যে, সময়মত আফিসে উপস্থিত হষ্টতে পারিতেন না, এবং সবরেজিষ্টার মৌলবী ইলাছিবক্স মিঞার নিকট গলাগলি খাইতেন – স্নেহের বন্ধন ぐの>> হরিশ্চন্দ্রের পুত্র শ্ৰীমান হারাণচঞ্জ গ্রামের ইস্কুল হইতে ক্রমান্বয়ে তিনবার এণ্টেন্স পরীক্ষা দিয়া প্রবেশিকা-জলধি উত্তীর্ণ হইতে পারে নাই ; সে মা সরস্বতীর নিকট বিদায় লষ্টয়া গ্রামের ‘এমেচিয়োর থিয়েটার পাটির” দলপতিত্ব গ্রহণ করিয়াছিল ; তাঙ্গর একটি পুত্র ছিল—তাহার নাম মাণিক, মাণিকের বয়স চারি বৎসর। মাণিক মুকুন্দের একান্ত অমুগত ছিল ; মুকুন্দও তাহাকে পুত্রাধিক স্নেহ করিতেন, সে স্নেহে কৃত্রিমত ছিল না ; মুকুন্দের হায় কূটবুদ্ধি বৈষয়িক লোক কেন যে এই প্রকার দুৰ্ব্বলতার অধীন হইয়াছিলেন, তাহ নির্ণয় করা কঠিন। মনুষের হৃদয় দুর্ভেদ্য রহস্তজালে সমাচ্ছন্ন! অফিসের কাজ শেষ করিয়া অপরাহ্নে মুকুন্দ গৃহপ্রাঙ্গনে পদার্পণ করিবামাত্র মাণিক “ঠাকুরদাদা ঠাকুরদাদা” বলিয়া ব্যগ্রভাবে তাহার নিকট ছুটিয়া যাইত, এবং তাহার কোলে উঠিতে না পারিলে তাঙ্গার ব্যাকুলতা দূর চইত না । সে সময় অন্ত কেহ তাহাকে কোলে লইতে আসিলে সে তাচাকে ঠেলিয়া ফেলিত ; ঠাকুরদাদার কোলে উঠিয়া সে দুই হাতে র্তাঙ্গর র্কাচ পাক গোফ লইয়া খেলা করিত, এবং নানা আবদারে তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিত। নিজের পুত্র অপেক্ষ ভ্রাতার পৌত্রের প্রতি র্তাহার প্রাণের টান দেখিয়া মুক্তকেশী এক একদিন ক্রোধে জলিয়া উঠিতেন, কিন্তু সেবিংস ব্যাঙ্কের খাতা তাহার ও তাতার পুত্রের নামে, ইঙ্গ স্মরণ করিয়া সাধৰী অতি কষ্টে ক্রোধ দমন করিতেন । ঠাকুরদাদার কোলে মাণিক ক্রমে বাড়িতে লাগিল । হারাণ পুত্রকে তেমন আদর করিত না, দিবসের অধিকাংশ সময় বাহিরে বাহিরে ঘুরিয়া বেড়াইত ; পিতামহের সহিতও তাছার বিশেষ পরিচয়ের মুযোগ ছিল না। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাণিক বুঝিল ঠাকুরদাদার মত আর কেঙ্ক তাঙ্কাকে ভালবাসে না । ঠাকুরদাদাকে না দেখিতে পাইলে সে চারিদিক অন্ধকার দেখিত, এবং রাত্রে তাহার নিকট না গুইলে তাঙ্গার ঘুম আসিত না । (o) সংসারে সুখ চিরস্থায়ী নহে ; দিবসের পর রাত্রির দ্যায়, ידי הזוהי ה"f*g - ה8 הקsaf_צליינזצ_sיex_*s thזזל_