পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। জুতো জামা কাপড় দেওয়া কেন ? পয়সা রাখবার বুকি যায়গা পাচ্ছ না ? কথায় কথায় ওরা এত অপমান করে, তবু মাণিক মাণিক করে খুন ! মাণিক যেন স্বগৃগে’ বাতি দেবে !” মুকুন্দ বলিলেন, “গিন্নি, সংসার একদিকে আর মাণিক একদিকে। এই পুজোর দিন মাণিককে একখান কাপড় না দিয়ে আমি কি করে থাকবে ? মাণিককে আমি যে দিন পর মনে করবে, সে দিন সংসার ছেড়ে বনে যাব ।” মুক্তকেশ বললেন, “সে দিন কেন, আজ এখনই যাও, তা হ’লে আমার হাড় জুড়োয় ।” সন্ধ্যার পর হারাণ গ্রামের “বীণাপাণি থিয়েটারের” মজলিসে আডড দিতে গেল। সেই অবসরে মুকুন্দ মাণিককে জুতা জামা কাপড় পরাইয় তাহাকে কোলে লইয়া গাজুলী বাড়ী ঠাকুর দেখিতে চলিলেন । মাণিক আৱতি দেখিয়া বাড়ী আসিয়াও সে জামা কাপড় ছাড়িল না, সেই পোষাক পরিয়াই ঘুমাইয়া পড়িল । ( . ) মহাষ্টমীর দিন অতি প্রত্যুষে মুকুন্দ তাহার ঘরের পাশে ‘বেড়ার মধ্যে বসিয়া বেগুনের চারাগুলি নিড়াইয়া দিতেছিলেন, এমন সময় মাণিক তাহার প্রদত্ত জুতা জামায় সজ্জিত হইয়া মহা উল্লাসে বাহিরে আসিল, এবং সেফালিকা বৃক্ষমূলে বসিয়া বৃন্তচু্যত শিশিরসিক্ত সেফালিকাগুলি কুড়াইতে লাগিল । হারাণ প্রাতঃকৃত শেষ করিয়! একটা কাঠের গুড়ির উপর বসিয়া ‘দাতন’ করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করিল, “মানকে, এ জুতো জামা কোথায় পেলিরে ?” ভয়ে মাণিকের প্রাণ উড়িয়া গেল । সে কাতর ভাবে বলিল, “ঠাকুরদাদা দিয়েছে।” হারাণ সরোষে বলিল, “কেন তুই এ জুতো জামা নিতে গেলি ? আমি যা বারণ করে দিয়েছি, ফের তাই করেছিস লক্ষ্মীছাড়া পাজী!” হারাণ দাতন ফেলিয়া বীরদৰ্পে মাণিকের কাছে গিয়া সজোরে তাহার পৃষ্ঠে চপেটাঘাত করিল, এবং জুতা জামা কাপড় কাড়িয়া লইয়া ঝির হাত দিয়া তাহ মুকুন্দের স্ত্রীর নিকট ফেরত পাঠাইল । মাণিক সেফালিকা SSBBBB BBB BBB BBDS DBBB TeTTS স্নেহের বন্ধন ᏬᎼ☾ বেড়ার ভিতর বসিয়া মুকুন্দ তাছা দেখিলেন, বেদনায় র্তাহাব হৃদয় টনটন্‌ করিয়া উঠিল, তাহার চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল, হাতের নিড়ানী মাটিতে ফেলিয়া তিনি দুষ্ট হাত মাথায় দিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন, কম্পিত কণ্ঠে বলিলেন, “হা ভগবান !” শিশুর কাতর আর্তনাদে র্তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইবার উপক্রম হইল। মধ্যাহ্লে আহারে বসিয়া মাণিকের অশ্রুসিক্ত কাতর মুখ তাঙ্গার মনে পড়িল, তিনি ভাল করিয়া আহার করিতে পারিলেন না । দশমী আসিল । আজ বিজয় দশমী ; সায়ংকালে গ্রাম প্রাস্তবৰ্ত্তী নদীজলে দুর্গ প্রতিমার বিসর্জনের পর গৃহে গৃহে প্ৰণাম আলিঙ্গন ও আশীৰ্ব্বাদের ধুম পড়িয়া গেল। আত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশিগণ পৰস্পরকে মিষ্ট মুখ করাইতে লাগিলেন । প্রতিমা বিসর্জনের পর হারাণচন্দ্র বাড়ী আসিয়া জননীকে প্রণাম করিল, তাহার পর প্রতিবেশিগুহে গমনে উষ্ঠত হইয়াছে, এমন সময় মাণিক বলিল, “বাবা, ঠাকুরদাদাকে প্রণাম করে আসবো ?” হারাণ ধমক দিয়া বলিল, “তুষ্ট ওদের ঘরে যাস তো তোর কান ছিড়ে দেব, হতভাগাকে এক কথা একশ দিন বলতে হয় ।” * শিশু দূরে দাড়াইয়া কাতর দৃষ্টিতে ঠাকুরদাদার ঘরের দিকে চাহিয়া রহিল । সে দেখিল পাড়ার বালকবালিকাগণ নূতন ধুতি চাদরে সজ্জিত হইয়া হাসি মুখে তাহার ঠাকুরদাদার ঘরে গিয়া তাঙ্গাকে প্রণাম করিতেছে, তাহার সহিত আলিঙ্গন করিতেছে, লাড়, সন্দেশ খাইতেছে ; আর সে কি অপরাধ করিয়াছে যে ঠাকুরদাদার ছায়াও স্পর্শ করিতে পারিবে না ? সে পিতার প্রহার ও তিরস্কারের কথা ভুলিয়া গেল ; অনেকক্ষপ্ত চুপ করিয়া দাড়াইল্প থাকিয়া যথন দেখিল নিকটে কেহ নাই, তখন সে ডাকিল, “ঠাকুরদাদা, তোমাকে প্রণাম করতে যাব ?” ঠাকুরদাদা সস্নেহে ডাকিলেন, “আয়!” 季 এষ্ট নিৰ্ব্বোধ বালক ও কুটবুদ্ধি বৃদ্ধ উভয়ের মধ্যে কে অধিক নির্লজ্জ কে বলিবে ? হঠাৎ পিতার নিষেধাজ্ঞা মাণিকের মনে পড়িল ; HHH u TA AHAAASA SSASAS SSAS SSAS