পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*).२२ এই ঘটনা সম্বন্ধে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্র লিখিয়াছেন— "ব্ৰাহ্মসমাজের ইতিহাসে সৰ্ব্বপ্রথম নারীগণ এই প্রকাষ্ঠ উপাসনামন্দিরে পুরুষদিগের সহিত বসিলেন। মহিলাদিগের উৎসাহ আরও বাড়িয়া গেল । পরবর্তী ফেব্রুয়ারী মাসে কেশবচন্দ্র মহিলাদিগকে লইয়া ডাক্তার রবসন নামক খ্ৰীষ্টীয় পাদরীর ভবনে প্রকাস্তে সান্ধ্যসমিতিতে গেলেন। সহরে খুব আলোচনা উঠিল।” - ১৮৬৬ সালে জনহিতৈর্ষিণী ইংরেজরমণী কুমারী মেরী কার্পেণ্টার কলিকাতায় আগমন করেন । এ দেশের স্ত্রীলোকদিগের শিক্ষার জন্ত শিক্ষয়িত্রী-বিদ্যালয় সংস্থাপনই তাহার আগমনের উদ্দেশু। স্বৰ্গীয় বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বগীয় প্যারিচাদ মিত্র ও কেশবচন্দ্র উক্ত কার্য্যে তাহার সাহায্য করিয়াছিলেন। অবশেষে কুমারী কাপেণ্টারের অনুরোধে কেশবচন্দ্র “স্ত্রী-শিক্ষয়িত্রী-বিদ্যালয়” সংস্থাপিত করেন । - ১৮৭০ সালের অক্টোবর মাসে কেশবচন্দ্র বিলাত হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন । এষ্ট সময় তিনি রণেন্মত্ত সৈন্তের ন্যায় কৰ্ম্মোৎসাহে মাতিয়া উঠিলেন। দেশের বহু কার্য্যে হস্তাপণ করিলেন । মনস্বী প্রতাপচন্দ্ৰ, ভক্ত বিজয়কৃষ্ণ, সাধু অঘোরনাথ, পণ্ডিত গৌরগোবিন্দ, গায়ক ত্ৰৈলোক্যনাথ—এই সকল শক্তিশালী ব্যক্তিদিগের সহায়তায় অধিকাংশ কার্য্যেই তিনি আশানুরূপ ফললাভ করিলেন। ঐ সকল কাৰ্য্য সম্বন্ধে বিশদরূপে আলোচনা করা অসম্ভব । আমরা সংক্ষেপে গুটিকয়েক কার্য্যের উল্লেখ করিতেছি। কেশবচন্দ্র এই সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন করিবার জন্ত “ভারত-সংস্কার-সভা” স্থাপন করিলেন । উক্ত সভা হইতে স্ত্রীলোকদিগের শিক্ষার জন্ত মহিলাবিদ্যালয়, শ্রমজীবীদিগের জন্ত নৈশবিদ্যালয়, দুঃখী ছাত্রদিগের সাহায্যের জন্ত দাতব্যভাণ্ডার খোলা হইল; অল্প মূল্যে “সুলভ সমাচার” পত্রিকা প্রকাশিত হইল ; সকলেই জানেন এ দেশে সৰ্ব্বপ্রথম কেশবচন্দ্রই সুলভ মূল্যে সাপ্তাহিক পত্র প্রচার করেন। এক সময় এই কাগজের বিস্তর গ্রাহক জুটিয়াছিল। ঐ সকল কাৰ্য্য ব্যতীত কেশবচন্দ্র “ভারত-সংস্কারসভা” হইতে শিল্পশিক্ষার বন্দোবস্ত করেন। আজ স্বদেশী আন্দোলনের জন্থ আমরা বঝিতেছি, ভদ্রলোকের দেলে মহাশয় ং শ । ॥ ৮ প্রবাসী—পৌষ, Y 92 q { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড দেরও শিল্পশিক্ষা প্রয়োজন। নচেৎ দেশের উন্নতি হুইবার সম্ভাবনা নাই। কেশবচন্দ্র একথা অনেক দিন পূৰ্ব্বেই বুঝিয়াছিলেন। এজন্য “ভারত-সংস্কার-সভা”র শিল্পবিভাগ হইতে যুবকদিগকে স্বত্রধরের কার্য্য, ঘড়ি মেরামতের কার্য্য, শেলাই, লিথোগ্রাফ, এন্‌গ্ৰেবিং শিক্ষা দেওয়া হইত। যে সকল ছাত্র ঐ সকল বিষয় শিক্ষা করিত, বৎসরান্তে তাহদিগকে পুরস্কার বিতরণ করা হষ্টত । পুরস্কার বিতরণের সভায় একবার জষ্টিস ফিয়ার সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । তিনি বলিয়াছিলেন – “ইউরোপীয়গণ দেখিয়া আশ্চৰ্য্যাম্বিত হন যে, এ দেশের শিক্ষিত লোকের শারীরিক শ্রমসাধ্য কাৰ্য্যগুলিকে নিতান্ত ঘৃণা করিয়া থাকেন। * * উাহার নিজের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিলে যদি অহঙ্কার প্রকাশ না পায়, তবে বলিতে পারেন, তিনি কাস্তে ব্যবহার করিতে জানেন এবং লাঙ্গল দিতে পারেন। তিনি নিজে কাষ্ঠ, ধাতু প্রভৃতির দ্রব্য গঠন করিবার যন্ত্র নির্মাণ করিয়াছেন এবং নিজে একখান নৌকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া বন্ধুগণ সহ তাহাতে জলবিহার করিয়াছেন। * * তাহার নিজের প্রস্তুত এক জোড়া জুতাও আছে।” অতঃপর আমরা কেশবচন্দ্রের সমাজসংস্কার সম্বন্ধে ছু একটি কথা বলিব। এ দেশের বিস্তর লোক এই সংস্কার কার্য্যের জন্ত র্তাহার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা প্রকাশ করিতে পারেন নাই। অনেকে বলিবেন কেশবচন্দ্র যদি কেবল প্রাচীন ঋষিদিগের একেশ্বরবাদ, র্তাহীদের শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসন প্রভৃতি সাধনতত্ত্ব সকল প্রচার করিতেন এবং শিক্ষিত বাঙ্গালীকে খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্মের আকর্ষণ হইতে ফিরাইয়া আনিতেন, সে জন্ত কেহই অসন্তোষ প্রকাশ করিতে পারিতেন না। কিন্তু তিনি প্রাচীন সামাজিক নিয়মের উপর হস্তার্পণ করিতে যাওয়ায়, দেশের লোক তাহার বিরোধী হইয়া উঠিয়াছে। এই রকম কথা র্যাহারা বলেন, তাহাদের জানা উচিত, সমাজসংস্কার কেশবচন্দ্রের জীবনের উদ্দেশু ছিল না ; তিনি শুধু সংস্কারের জন্তই সামাজিক ব্যাপারে লিপ্ত হন নাই ; র্তাহাকে বাধ্য হইয়াই সংস্কারকার্য্যে ব্ৰতী হইতে হইয়াছে। র্তাহার জীবনের প্রধান কাৰ্য্য জগতে ধৰ্ম্মসমন্বয় ও বিবিধ জাতির মধ্যে ভ্রাতৃভাব স্থাপন । তিনি ঈশ্বরের পিতৃত্ব ও মানবের ভ্রাতৃত্ব—ধৰ্ম্মের এই বিশ্বজনীন ভাব হৃদয়ে ধারণ করিয়া, উহা জগতের লোকের নিকট প্রচার করিবার জন্তই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু যিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্ৰীষ্টান Su u SeeiS S S זלזוויחהזהייתי מw