পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9领巩邻1 ইহা এখন প্রমাণিত হইয়াছে যে, আর্য্যেরা যখন পরস্বতীদৃষদ্বতীতীরে বাস করিয়া ঋক্ সাম বেদ গান করিতেছিলেন, তখন তাঙ্গাদের মধ্যে জাতিভেদ ছিল না । মধ্যদেশে যখন অগ্রসব হইলেন, তখন র্তাহাদের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ আরম্ভ হইল দেখা যায় বটে, কিন্তু তখনও পরস্পরের মধ্যে বিবাহ বন্ধ হয় নাই । কেহ কি বলিতে পারেন যে, এই সময়ও তাহারা অনার্য্য কন্থা গ্রহণ করেন নাই এবং তাতাদের দাস দাসী দরকার হয় নাই ? তাহা হইলে আমরা কি বুঝিতে পারি না যে, একদিকে যেমন শ্রেণীবিভাগ হইতেছিল, সেই সঙ্গে সঙ্গেই র্তাঙ্গাদের মধ্যে মিশ্র-বিবাঙ্গও (Mixed ঠিক কোন এক নিদিষ্ট সময় পৰ্য্যন্ত চারিশ্রেণীর উৎপত্তি হইল, তাহার পর মিশ্ৰ-বিবাহ আরম্ভ হইল, এমন কল্পনা করার কারণ দেখা যায় না। বরং ইঙ্গই স্বভাবিক বলিয়া মনে হয় যে, যে সময়ে অনার্য্যেরা কখনও বা যুদ্ধে পরাজিত হইয়া, কখনও বা আর্য্যদের নিকটে বাস করিয়া তাহাদেব সহিত মিশিয়াছেন, সেই সময়ে একদিকে যেমন মিশ্র-বিবাঙ্গ হইতে লাগিল, অপরদিকে তেমনি ব্যবসায় বাণিজ্যের খাতিরে সকলের মধ্যে শ্রেণীবিভাগের উৎপত্তি আরম্ভ হইল । মিশ্রণ ও শ্রেণীবিভাগ, দুষ্টষ্ট একসঙ্গে চলিতে লাগিল । এইজন্ত বলিতে হয় যে, ঠিক কোন সময়ে যে চতুবৰ্ণ ছিল, তাহার প্রমাণ পাওয়া বড় কঠিন হইতেছে। সংহিতাকারদের আরও একটী বিপদ উপস্থিত হইয়াছিল। যাহার অমিশ্র অনার্য্য বর্ণ হইতে উৎপন্ন তাহার কিরূপে আর্য্যসমাজে গুঙ্গীত হক্টলেন ইহার একটা কারণ নির্দেশ করা আবশুক হইয়াছিল। এই জন্ত শাস্ত্রকারের ব্রাত্য কথাটা ব্যবহার করিয়া চীন, হুণ, থস, দ্রাবিড় প্রভৃতি জাতিকে ক্ষত্ৰিয় বলিয়া গ্রাহ করিয়াছেন। তাহা হইলে ইহ মানিতে হয় যে, অনাৰ্য্যবংশ হইতেও ক্ষত্রিয়বংশ পুষ্টিলাভ করিয়াছে। মহামহোপাধ্যায় সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ মহাশয়ও দেখাইয়াছেন যে, ব্রাতাষ্টোম যজ্ঞ করিয়া এই ব্রাত্যের স্বজাতিতে প্রবেশ করিতে পারিতেন। বর্তমান কালেও কারস্থের নিজেদের ব্রাত্যক্ষপ্রিয় বলিয়া প্রমাণ করিয়া পুনরায় ক্ষত্রিয়দলে প্রবেশ করিবার চেষ্টা marriages) 5fosso “বাঙ্গালা স্বাসনালিটি” ৩২৭ করিতেছেন। অনার্যাদের আর্য্যদের সহিত মিশিবার পথ ছিল—ইঙ্গ যদি স্বীকার করিতে হয় ও মিশ্র-বিবাহ অবারিত চলিত স্বীকার করিতে হয়, তাহা হইলে বলিতে হয় যে, ভারতবর্ষে আর অধিক অমিশ্র আদিবংশ নাই। একেবারে অমিশ্র আদি খুব বেশী আছে, স্বীকার না করিলেও, ইহা সকলেই স্বীকার করিতে বাধ্য যে, ভারতবর্ষের উত্তর অংশে অর্থাৎ সাধারণতঃ পুরাকালে যাঙ্গাকে আর্য্যাবৰ্ত্ত বলিত, সেখানে উচ্চশ্রেণীর ধমনীতে যে আর্য্যরক্ত আছে, তাহা কাহারও অস্বীকার করার অধিকার নাই। আমরা মনুর মতের আলোচনা করিতে গিয়া দেখিলাম যে, সংহিতাকারগণ সঙ্কর ও ব্রাতা, এই দুইটী theories দিয়া আমাদের দেশের জাতিভেদের উৎপত্তির কারণ নির্দেশ করিয়াছেন। কিন্তু চহাই যথেষ্ট বলিয়া আমাদের মনে হয় না। এদেশে যে মিশ্র-বিবাহ হয় নাই, তাহা আমরা বলিতেছি না বা আচারভ্রষ্ট হইয়া কোন শ্রেণী হইতে নূতন শ্রেণী গঠন হয় নাই বা ব্রাতানামে অনার্য্যজাতি হিন্দুসমাজে প্রবেশ করিয়া নূতন জাতি গঠন করে নাই, তাহাও মনে করি না। তবে কেবল এই দুষ্টট কারণে যে ভারতবর্ষে এই বিভিন্ন জাতির উৎপত্তি হইয়াছে, তাহা আমরা মনে করি না । Nesfield, Crookes 2.SfS *fGTERl AføTSTER যে, ভারতবর্ষে আর্য্য অনার্য এমন ভাবে মিশিয়া গিয়াছে যে, এখন তাঙ্গাদেব স্বতন্ত্র করা কঠিন। তবে এই জাতিভেদের কারণ কি ? তাহারা বলেন, এই সকল জাতি ব্যবসায় ভেদে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র হইয়াছে। উদাহরণ স্বরূপ র্তাহারা বলিবেন যে, যাহারা যজন যাজন কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন, তাঙ্গর ব্রাহ্মণ হইলেন। নিজ জাতির কাৰ্য্যের সুবিধার জন্ত র্তাঙ্গার কেবল ব্রাহ্মণদের সহিত আদান প্রদান করা বেশ স্ববিধাজনক মনে করিতে লাগিলেন। কালক্রমে এই জাতিভেদ বেশ পাকা হইয়া দাড়াইলে পর তাহার নিজ জাতির বাহিরে বিবাহসম্বন্ধ একেবারে বুদ্ধ করিলেন। ক্রমেই জাতিভেদ Crystallized হইয়া পড়িল । এইজন্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ব্যবসায় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন জাতির উৎপত্তি হইল। এই কারণে এক জাতি সব স্থানে দেখা যায় না, সব জাতিও এক প্রদেশে দেখা যায় না। যে সব