পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । করে না । যে হাসদ, সে কখন হাস মারিলে না । তাহদের বিশ্বাস যে হাস হইতে তাহাদের বংশ উৎপন্ন হইয়াছে, তাহা পূজ্য, তাহাকে কি কখনও মারা যায়, খাওয়া যায় ? এই গোত্ৰনামগুলিতে অনার্য্য বংশ হইতে তাছাদের উৎপত্তির চিহ্নও রহিয়া গিয়াছে, কিন্তু তাঙ্কার জল-আচরণীয় হিন্দুজাতিতে পরিগণিত হইয়াছে। এই ঘাটওয়ারদের মধ্যে যাচাদের অবস্থা ভাল হইয়াছে তাহারা বড় জমিদার বা রাজা হইয়া স্বৰ্য্য বংশীয় ক্ষত্রিয় হইয় পড়িয়াছে, ইহার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় । এইসব কথা লষ্টয়া আলোচনা করিবার সময় একদিন আমার এক শ্রদ্ধেয় বন্ধু বলিলেন যে, পৃথিবীতে যেখানে ইউরোপীয়ের গিয়া বাস করিতেছে, তাহার। সেই দেশের আদিম অসভ্যদের ধ্বংস করিয়া ফেলিতেছে ; ভারতবর্ষে আর্য্যদের উপনিবেশের সঙ্গে সঙ্গে আদিম অধিবাসীদের ংস হয় নাই, বরং এক একটা নুতন জাতি গঠন করিয়া তাহারা ইহাদের হিন্দুসমাজে আশ্রয় দিয়াছেন ; ইহা extinction a$i, incorporation. *«Ifîs fëÜô যে কিছু সভ্যতা নাই, তাহা বলিতেছি না । তবে ইহাদের ংখ্যা অত্যন্ত অধিক না হইলে কি হইত বলা যায় না । কিন্তু যে pride of blood লষ্টয়া আর্য্যেরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়াছিলেন, তাহার একটুও তাঙ্গার কমান নাই। তাহাদের স্থান দিয়াছেন, সমাজের নিম্ন স্থানে। নিজেদের কাছেও আসিতে দেন নাই । ইহার উত্তরে কেহ কেহ বলেন যে যদি অনাৰ্য্যদের সমান স্থান দেওয়া হইত তাঙ্গ হইলে আর্য্যের যে Culture লষ্টয়া আসিয়াছিলেন অনার্য্য-সংস্রবে তাঙ্গার অবনতি হইত। বরং র্তাহার স্বতন্ত্র ছিলেন বলিয়া এদেশে সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতির উন্নতি হইয়াছিল। নিম্ন সংশ্রবে কিছু পরিমাণে আৰ্য্যদের যে সাময়িক ক্ষতি হইত তাহা স্বীকার করিতে হয় । তবে ভারতে সব অনার্য্যেরাই যে বৰ্ব্বর ছিল তাহ নয় । পুরাবৃত্তকারেরা এখন বলিতেছেন যে দ্রাবিড়ীয় জাতির নিকট আর্য্যদের অনেক শিখিতে হইয়াছে। ব্রাহ্মণের Culture নিজেদের মধ্যে আবদ্ধ রাখায়, দেশের সাধারণ লোক যে অন্ধকারে ছিল তাহার সেই অবস্থায় রহিয়া গেল। অধিকন্তু এই সাধারণ মুখ লোকদের মধ্যে “বাঙ্গালা স্যাসনালিটি” HIV বাস করিয়া ও প্রতিযোগিতার অভাবে ব্রাহ্মণদের অবনতি হক্টতে লাগিল । সেই সঙ্গে ভারতেরও অধঃপতনের স্বত্রপাত হইল। অনার্যাদের মুখ রাখিবার জন্য কি কঠোর নিয়ম করিতে হইয়াছিল মনুসংহিতা ও রামায়ণের শূদ্রকের গল্পে তাহার আভাস পাওয়া যায় । ইহারই ফলে সমস্ত ভারত নিদ্রা গিয়াছিল । এক্টরূপ অবস্থায় ইংলেণ্ডের কি হইয়াছিল দেখা যাউক । এখানে Celtic races প্রথমে বাস করিতেছিল—যখন প্রভৃতি জাতির আসিয়া বাস করিতে লাগিল, তখন প্রথমে খুব সংগ্রাম ইষ্টল, কিন্তু পরে দুষ্ট জাতি মিশিয়া এক হষ্টয় গেল। তাহার পর যখন Normans আসিয়া বসিল, তখন প্রথমে অত্যাচার অবিচার চলিতে লাগিল । কিন্তু ২০০৩০০ বৎসরের মধ্যে সব একাকার হইয়৷ গেল। ইহার মূলে দুষ্টট কারণ দেথা যায়। একটা এই যে, ইহাদের সকলেরই রং প্রায় এক রকম ছিল, সকলেরই সভ্যতাও প্রায় এক রকম ছিল। ভাষা ভিন্ন হক্টলেও আমাদের দেশের আর্য্য আমার্য্যের মতন এত বিভিন্ন ছিল না । আর একটী কথা সকলেরই ধৰ্ম্ম এক ছিল । Pride of blood fowl al—Hoà of 53*f; wints প্রদান সহজেই চলিতে লাগিল । সব এক হইয়া যাইবার পথে কোন বিঘ্ন উপস্থিত হইল না। এক্ট কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইংরাজ ও বুয়ার অতি অল্পদিনের মধ্যে এক হইয়া যাইপে । কিন্তু Blacksদের সঙ্গে এক হওয়া বড় কঠিন । সেখানে Pride of blood এক হইবার পথে দাড়াইয়া আছে। ভারতবর্ষে এই Pride of blood জাতিভেদের মূলে রহিয়াছে। এখনও আমরা এই বাঙ্গাল দেশে মনুসংহিতার Theory লষ্টয়া সেই পুরাতন তিন দ্বিজবর্গের মধ্যে ফিরিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছি। হিন্দুসমাজের নিম্ন জাতির ভাল আর্য্যবংশ সস্তৃত জাতি বলিয়া প্রমাণ করিয়া উচ্চ হুইতে চেষ্টা করিতেছেন। সেই Pride of blood এখন আমাদের মধ্যে কাজ করিতেছে। চারি দিকেই এই movement দেখা যাইতেছে । আমাদের আর্য্য হইতেই হইবে । অনার্য্যদের প্রতি আমাদের এত ঘৃণা যে, আমাদের ধমনীতে যে অনাৰ্য্য রক্ত আছে তাহ Angles Saxons Jutes Teutons,