পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏬ সৌন্দর্য্য প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে তাঙ্গর সন্ধান না পাইয়া অনেক পাঠক ব্রাউনিংএর প্রতি বীতরাগ হইঃ পড়েন । টকাকার মল্লিনাথ কিরাতার্জনীয়ের টাকারম্ভে লিগিয়া গিয়াছেন যে-r “নারিকেলফলসম্মিতং বচে ভারবেঃ সপদি তদ বিভজাতে । স্বাদয়স্তু রসগভনির্ভরং সারমস্ত রসিক যথেন্সি গুম্‌ ৷” ব্রাউনিং এর কপিতাও ভারবির রচনার মত কঠোর আলরণে আচ্ছাদিত বসগভ নারিকেল ফলের সহিত উপমত পারে। তাঙ্গার রসাস্বাদন অসহিষ্ণু পাঠকের ভাগ্যে ঘটিবার নষ্ঠে । ব্রাউনিংএর মতত্ত্ব কোথায়, তাঙ্গর জীবনের এবং কবিতার গভীর উদ্দেশ্য কোন স্থানে নিষ্ঠিত, তিনি মানবজাতির নিকট কোন মহান সত্য প্রচার করিয়া গিয়াছেন,--এই কয়েকটা কথা যথাসম্ভব জন্য এই প্রবন্ধের হক্টতে স“ক্ষেপে আলোচনা করিব । এষ্ট অবতারণা | fq•IIfx (Faţă xxttēit54. Sainte Beauve afëRilছেন যে ঈশ্বর, প্রকৃতি, প্রতিভা, ললিতকলা, প্রেম, মানবজীবন-প্রধানত এই ছয়টি মৌলিক তত্ত্ব সৰ্ব্ববিধ কবিতার মূলীভূত উপাদান। আমরা সমালোচনা-প্রসঙ্গে এই কয়েকটা কথা স্মরণ রাখিব এবং আলোচ্য কবির কাব্যে এই তত্ত্বগুলি কি ভাবে প্রকাশ পাইয়াছে তাহা বুঝিতে চেষ্টা করিব । প্রথমতঃ ঈশ্বরতত্ত্বেব কথা – মানবের সঙ্গিত, জগতের সহিত ভগবান কোন সম্বন্ধে সম্বদ্ধ এবং কবির হৃদয়-ফলকে ভগবানের মূৰ্ত্তি কি ভাবে প্রতিফলিত চষ্টয়াছে ইছা দেখিতে হুইবে । জড়বিজ্ঞানবাদী কঠোর বৈজ্ঞানিক বলেন Law is God নিয়মই ঈশ্বর । ক্ষুদ্রতম অণু-পরমাণু হইতে বিশাল নক্ষত্রপি ও পর্য্যস্ত জগতের কুত্রাপি নিয়মশৃঙ্খলার ব্যবচ্ছেদ নাই। যেমন বহির্জগতে তেমনি অন্তর্জগতে,— সৰ্ব্বত্রই নিয়মের সমান শাসন । নিয়মের প্রভাব হইতে অব্যাহতি পায় এমন বস্তু জগতে নাই । নিয়ম সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বাস্তবত্তী। সুতরাং নিয়মই ঈশ্বর । টেনিসন বিজ্ঞানের ভক্ত উপাসক ছিলেন, কিন্তু তিনি বৈজ্ঞানিকের হৃদয়শূন্ত উক্তি গ্রহণ করিতে পারেন নাই । তিনি বলেন— “God is Law, say the wise”, জ্ঞানীর মতে ঈশ্বরই প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ [ >०ञ छाश, २ग्न थ७ . * ** ** ** -- ه. هیه - নিয়ম স্বরূপ, নিয়ম ঈশ্বর নহে। নিয়ম স্বরূপ ঈশ্বরের স্বঃ জগতে নিয়মের অধিষ্ঠান স্বাভাবিক । তিনি নিয়মের মহত্ব, নিয়মের শক্তিমত্তা উপলব্ধি করিতেন, তাই তাহার কাব্যের সৰ্ব্ব এ নিয়মের মহিমাকীৰ্ত্তন শুনিতে পাই । তিনি *Tein–“Nothing is that errs from law” i fsf নিয়মেই ভগবানের সত্তা প্রকাশিত দেখিতে পান । কিন্তু বাউনিং ইহাতে সস্তুষ্ট নহেন, তাহার হৃদয় শুষ্ক । নিয়মেব দিকে অধিক পরিমাণে আকৃষ্ট হয় না, তিনি ভগবানের সহিত এত দূর-দূর সম্পর্ক ভালবাসেন না। নিয়মেব মধ্যস্থতায় ভগবানকে উপলব্ধি করিতে হইবে, ইহা তিনি বুঝিতে পারেন না । ভগবানের সহিত টেনিসনের সম্পর্ক কতকটা বুদ্ধি-জাত, বুদ্ধি-সংশ্লিষ্ট; ব্রাউনিংএর সম্পর্ক কতকটা হৃদয়ের সম্পর্ক, প্রাণের আকর্ষণ। মানবের অনন্ত চিত্তবেদন এবং উচ্চ আকাজক্ষার মধ্যে যে একটা মহত্ব ও সৌন্দর্য্য আছে, ব্রাউনিংএর কল্পনা তাহার মধ্য হইতে আপনাব জীবনোপযোগী রস আহরণ করে । এই শোভাময়ী প্রকৃতির অনন্ত সুষমার মধ্যে, মানব-হৃদয়ের চির-সঞ্চিত প্রেম-প্রবাঙ্গের মধ্যে, ব্রাউনিং ভগবানের আবির্ভাব মনে অনুভব করেন । নব বসন্তের করম্পর্শে সমগ্র প্ররতি সঞ্জীবিত হইয়া উঠিয়াছে, নবোন্মেষিত সৌন্দর্যোর চিল্লোলে জগৎ স্পদিত হইয়াছে, কোকিলকুজন, কুসুমসৌরভ এবং দক্ষিণপবনে চতুর্দিকে একটা বিচিত্র আনন্দের আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে—ব্রাউনিং বুঝিলেন ভগবান বিশ্ব-বিমোহন বেশে জগৎসমক্ষে উপস্থিত চইয়াছেন । “The lark Soars up and up, shivering for very joy: Afar the ocean sleeps; white fishing gulls I'lit where the strand is purple with its tribe Of nested limpets : Their loves in wood and plain--and God renews His ancient rapture সৰ্ব্বব্যাপী শক্তি, ইচ্ছা এবং প্রেমের প্রকাশ ব্যতীত প্রাকৃতিক নিয়মের মূল্য নাই। শুধু প্রাকৃতিক নিয়ম ত জড়শক্তির লীলামাত্র, তাহার সঙ্গে মানব-হৃদয়ের সম্পর্ক কি ? ভারতীয় বৈষ্ণব কবির দ্যায় ব্রাউনিং প্রাপে প্রাণে অস্তরে অন্তরে ভগবানের মধুর রূপ ধ্যান করিতে ভাল savage creatures seek