পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] .** ==عم . - سدههای متعاع هممیه -- میه"" সাৰ্ব্বজনীন স্বার্থকে আঘাত করিতেছিল । ইহাদের মতলব মন ছিল এ কথা বলিলে অদ্যায় করা হইবে কিন্তু ইহা নিশ্চিত সত্য যে প্রাচীন মুসলমান নেতাদের পলিসি বশতই হিন্দু-মুসলমান-সমস্তাটা প্রবল ইষ্টয়া উঠিয়াছে এবং উগষ্ট মুসলমান সমাজের লক্ষ্যকে অপর উন্নতিশীল সমাজের সম্পূর্ণ উল্টাদিকে ফিরাইয়া দিয়া বিষম জঞ্জাল ঘটাইয়াছে। ভারতবর্ষের মুসলমানগণ সাধারণতান্ত্রিক মহান ইসলাম ধৰ্ম্মের সম্পূর্ণ বিরোধী-ভাব ধারণ করিল ; তাহারা প্রবল পক্ষের মন যোগাইবার কাজে লাগিয়া গেল । এষ্টরূপে দুই সমাজের আদর্শ যখন ভিন্ন দিকে গেল তখন উভয়ের বিচ্ছেদ একেবারে সম্পূর্ণ হইল। কেহ কেহ বলেন যে অদুরদর্শিতার ফলে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতাগণ উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিচ্ছেদকে প্রবল করিয়া তুলিয়াছেন আমাদের কোন কোন রাজপুরুষ ইহাকেই রাজ্য চালনার পক্ষে একটি মহাস্ত্র বলিয়৷ বিবেচনা করেন । মুসলমানগণ এই সকল রাষ্ট্রচালকের হাতে ক্রীড়াপুত্তলি হষ্টয়া দাড়াইলেন এবং সাম্প্রদায়িক স্বার্থের কাছে সমস্ত জাতির স্বার্থকে বলি দিলেন। কিন্তু হিন্দুদিগকেও অপরাধী না করিয়া থাকা যায় না । ভারতবর্ষে এমন অল্পই হিন্দু আছেন যাহার। মুসলমানদিগকে বাদ দিয়া বিশ্ব-হিন্দু আধিপত্যকে জাগ্রত করিয়া তুলিতে ন চাচেন । উৰ্দ্দ, চিন্দি ভাষা লইয়া বিরোধ ও গোতত্যা ইত্যাদি ব্যাপার লইয়া যে সংঘর্ষ উপস্থিত হইল তাঙ্গা কেবল অন্তগুঢ় বহ্নির বাহধূমাবস্তার। যদিচ হিন্দুরা বলে যে জাতীয় স্বার্থের প্রতি তাহাদের লক্ষ্য স্থির আছে, যদিচ তাহারা উচ্চস্বরে জানাইয়া আসিতেছে যে সমস্ত ভারতের ঐক্যষ্ঠ তাহাদের প্রার্থনার বিষয়, ও যদিচ তাঙ্গর অধিকতর শিক্ষিত ও সেইজন্ত মহাজাতি বন্ধনের উপযোগিতা সম্বন্ধে তাঙ্গারা অধিকতর সচেতন, যদিচ তাঙ্গদের সংখ্যা অধিক, ক্ষমতা অধিক এবং তাহারা সভাসমিতির দ্বারা ব্যুহবদ্ধ ও সেইজন্তই তাহাদের পক্ষে কথঞ্চিৎ ত্যাগস্বীকার সহজসাধ্য হওয়া উচিত, তথাপি তাহার এই অল্পসংখ্যক মুসলমানদের প্রতি কোনোকালেই বদান্তত প্রকাশ করে নাই ও তাহারা মুসলমান সমাজের বিশ্বাস আকর্ষণ করিবার জন্ত সামান্তই চেষ্টা করিয়াছে। অপর পক্ষে সমস্ত পাবলিক বিষয়ে ভারতবর্ষীয় মুসলমান-সমাজে হিন্দুয়ানীর মিশ্রণ ぐ)8ふ হিন্দুদের নিজের দিকেই টানিয়া চলিবার চেষ্টা দেখিয়া পার্থক্যবাদী মুসলমানদলের একথা বলিবার জোর হইয়াছে যে হিন্দুর রাষ্ট্রব্যাপারে প্রবল হইয়া উঠিলে সে দিকে মুসলমানের প্রভাব একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া যাইবে । দুর্ভাগ্যক্রমে হিন্দু মুসলমান উভয়ে বিচ্ছিন্ন এবং উভয়েই একথা ভুলিয়াছে যে, যে পর্য্যন্ত না মাতৃভূমির স্বসস্তান হইয়া তাঙ্গার জন্মভূমির নিকট নিজের স্বার্থ, এমন কি, প্রয়োজন হইলে মিও সমাজের স্বার্থও বলি দিবার জন্ত উভয়ে সম্মিলিত চেষ্টায় ব্রতী ততবে সে পৰ্য্যন্ত ভারতবর্ষ ও ষ্টতার সন্তানগণ কদাচ পৃথিবীর অগ্রগামী দেশ ও জাতি সকলের মহাদরবারে সম্মানের আসন গ্ৰহণ করিবার অধিকারী হইবে না। শ্রীঅতসী দেবী। ভারতবর্ষীয় মুসলমান-সমাজে হিন্দুয়ানীর মিশ্রণ* মুসলমানধৰ্ম্মপ্রধান দেশগুলিতে মুসলমানধৰ্ম্মের মূল অাদশের সহিত প্রচলিত আচার ব্যবহারের যে সকল পার্থক্য ঘটিয়াছে সেই সম্বন্ধে সম্প্রতি কয়েক বৎসর ধরিয়া আলোচনা করিয়া বিশেষ ফল পাওয়া গিয়াছে । সাষ্টবিবিয়া, আলজিরিয়া, ম্যাডাগাস্কার, ডাচ-পূৰ্ব্বভারত প্রভৃতি মুসলমানপ্রদেশে যে আচার অনুষ্ঠান প্রচলিত আছে তাঙ্গার মধ্যে ঐ সকল দেশের পূর্বপ্রচলিত ধন্মের লুপ্তাবশেষ খুজিয়া পাওয়া গিয়াছে। মধ্যএসিয়ার যে সকল প্রদেশে অধিবাসীরা পূৰ্ব্বে বৌদ্ধ ছিল ও পরে মুসলমান হইয়াছে সেইখানে মুসলমান সাধুদিগের ভজন মন্দিরের সহিত স্থানীয় বিশেষ বিশেষ প্রাচীন পীঠস্থানের ঐক্যের নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে। ইংরাজশাসিত ভারতে, মুসলমানগণের মধ্যে সনাতন ধৰ্ম্মমতের যে সকল স্থলন প্রকাশ পাষ্টয়াছে নিম্নে তাঙ্কারই ছু চারটা উদাহরণ দেওয়া যাইতেছে। ভারতে মুসলমানসম্প্রদায় প্রধানতঃ দুষ্ট ভাগে বিভক্ত, এক এই দেশবাসীদের

  • ধর্শ্বইতিহাস আলোচনার আন্তর্জাতিক সভায় পঠিত প্রবন্ধ হইতে সঙ্কলিত ।