পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ0 օ মধ্যে র্যাঙ্গর মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন তাঙ্গাদের বংশীয়গণ, আর, যাঙ্গর মুসলমান অক্রিমণকারী ও ঔপনিবেশিকদিগের বংশসস্তৃত। তের শতাব্দী ধরিয়া এষ্ট বিদেশীদল নিরবচ্ছিন্নধারায় ভারতবর্ষে প্রবেশ কবিয়া ইঙ্গর জনসংখ্যা বৃদ্ধি করিয়াছে। সম্বন্ধে বেশ কিছু বলিতে ইচ্ছা করি না । মুসলমানধৰ্ম্মের মত ও আচার ব্যবহারের বিশুদ্ধতা ইহারাষ্ট বিশেষভাবে রক্ষা করিয়াছেন। অধিকাংশ মুসলমানধৰ্ম্মাচার্য ও শাস্ত্রবিধিপ্রবর্তকের ইতাদেরই বংশজাত । যে সকল মুসলমানপরিবার দীর্ঘকাল ভারতবর্ষে বাস করিতেছে তাঙ্গাদেব মধ্যে হিন্দুআচার-ব্যবহার ও রীতিপদ্ধতি আংশিক ভালে সংক্রামিত হষ্টতে দেখা গিয়াছে। প্রধানতঃ বর্ণভেদ প্রথা মুসলমানসমাজ-ব্যবস্থায় বিশেষ প্রভাব বিস্তার করিয়াছে । সৈয়দ, মোগল, পাঠান প্রভৃতি জাতিগত পার্থক্যকে মুসলমানগণ প্রায়ই বর্ণভেদ স্বরূপে ব্যবহার করিয়া থাকেন। যদিও হিন্দুদিগের দ্যায় এই সকল বিদেশীদলের মধ্যে বর্ণভেদের কঠোরতা সেরূপ প্রবল নহে তথাপি ভারতবর্ষীয় সৈয়দ পরিবারগুলি, ব্রাহ্মণদিগের দ্যায়, তাহাদের রক্তের পিশুদ্ধতা রক্ষা সম্বন্ধে বিশেষ সতর্ক এবং তাঙ্গদের সমাজে স্বশ্রেণীর বাচিরে বিবাহ একেবাবেঙ্গ নিষিদ্ধ। বহুকাল হিন্দুদের সঙ্গিত একত্র বাস করাতে অনেক আফগান এতদূহ পর্যান্ত আপনাদের পূৰ্ব্ব এক্ট শেষোক্ত দলের ংস্কার বিস্তৃত চটয়াছে যে তাঙ্গারা গোমাংস ভক্ষণ পর্ষ্যস্ত পরিত্যাগ করিয়াছে । এই সকল মুসলমানেরা তাহাদের হিন্দু প্রতিবেশীদের ধৰ্ম্মসংস্কারও অনেক পরিমাণে গ্রহণ করিয়াছে এমন দৃষ্টান্ত ও বিস্তর দেখানে যাইতে পারে। হিন্দুবংশজাত নবদীক্ষিতদিগের মধ্যে যেসকল মুসলমানবিধি-বহির্ভূত আচার অনুষ্ঠান দেখা যায় এ স্থলে বিশেষ ভাবে কেবল সেই গুলিরই কথা বলিতে ইচ্ছা করি । এই নবদীক্ষিতদের মধ্যে কেহ কেহ সম্পূর্ণভাবেই মুসলমানীভূত ছইয়া গিয়াছে, নিষ্ঠা ভক্তিতে, এবং শাস্ত্রসঙ্গত বিধি-ব্যবস্থা সকল পালনে কেহন্ত ইহাদিগকে ছাড়াইয়া যাইতে পারবে না। এই সকল উৎসাহিগণ আপনাদের হিন্দু উৎপত্তি গোপন করিয়া প্রাচীন মুসলমান জাতীয়দের সচিত আত্মীয়তা দাবী করিতে বিশেষ চেষ্টা করিয়া থাকে। י י יד יי וירו איוויזיירו 034ושa fזואrל প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ ১১ ম ভাগ, ২য় খণ্ড ভারতবর্ষীয় খ্যা ত মুসলমান-ধম্মাচার্য ও সমাজের নেতাগণ কেহ কেহ হিন্দুবংশসস্তৃত। নব ধৰ্ম্মে এরূপ নিষ্ঠ ভক্তি কেবল যে ব্যক্তিবিশেষেই আবদ্ধ তাহা কোন কোন স্থলে এক একটি সমগ্র সমাজের মধ্যে ইহার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যেমন মালাবারের মাপিল্লীগণ,—মুসলমানধৰ্ম্ম ও আচার পালনে তাহদের লেশমাত্র স্খলন নাই। আবার অন্তপক্ষে হিন্দুবংশোদ্ভব মুসলমানদিগের মধ্যে এমন অনেক সম্প্রদায় আছে যাহার হিন্দুসমাজের প্রভাব হইতে আপনাদিগকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করিতে পারে নাই । ধৰ্ম্মবিশ্বাস সম্বন্ধে তাঙ্গার যতই দৃঢ় হউক না কেন, মুসলমানবিধি নিষিদ্ধ হইলেও, তাতাদের পূৰ্ব্বতন আত্মীয়দের সামাজিক রীতিনীতি পরিত্যাগ করিতে তাতারা এখনও অনিচ্ছুক। পঞ্জাবী মুসলমানগণের মধ্যে ইতার প্রমাণ সুস্পষ্ট । পঞ্জাব যদিও গত সাত শতাব্দী ধরিয়া মুসলমান আক্রমণকাৰী দলের পথের মুখে পড়িয়া দীর্ঘকাল ধরিয়া নিরস্তৱ মুসলমান প্রভাবের অধীনে ছিল, তথাপি বিবাহ প্রথা, উত্তরাধিকারবিধি প্রভৃতি সম্বন্ধে মুসলমান অনুশাসন সেখানে একেবাবেই খাটে না । হিন্দু পূৰ্ব্বপুরুষগণের রীতিনীতিই ইতাদের মধ্যে মুসলমানবিধিব্যবস্থা সকলের স্থান অধিকার করিয়া আছে । মুসলমানব্যবস্থা অনুসারে, পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারে, পুত্রের অংশের অৰ্দ্ধাংশ কষ্ঠার প্রাপা হইলেও, পাঞ্জাবী মুসলমানগণের মধ্যে কোন কোন সমাজে কন্যা কোন অংশষ্ট পায় না এবং পুত্রবর্তী বিধবারও কোন অংশ নাই, এবং সেখানে স্ত্রীধন বলিয়াও কোন কিছু নাই। স্বজাতীয় গণ্ডীর বাৰ্চিবে বিবাহ তাতাদের চলে না ; তাঙ্গাদের হিন্দু নষ্টে ভ্রাতাদের পক্ষে যে যে ক্ষেত্রে বিবাহ প্রশস্ত তাঙ্কাদের পক্ষেও তদ্রুপ। এইরূপ আরো অন্য অন্য হিন্দুবংশয় মুসলমানসম্প্রদায়ে হিন্দুবিধিই বলবৎ দেখিতে পাওয়া যায় ; সেখানেও ভগ্নী এবং কস্তাগণ উত্তরাধিকারস্থত্রে বঞ্চিত। বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধে হিন্দুদের যে সংস্কার আছে ইহারা তাঙ্গ অনেকটা মান্ত করে এবং সেই কারণেই বাঙ্গালা দেশের এক ষষ্ঠাংশ মুসলমান-বিধবা অবিবাহিত থাকে । হিন্দুপুৰ্ব্বপুরুষগণের আচার ব্যবহারের প্রতি একাত্ত