পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা নিষ্ঠাবশতঃ ইহারা অনেক সময় মুসলমানসমাজের অনেক মূলগত ব্যবস্থাকেও পরিচার করিয়াছে । আলজিরিয়া, স্বমাত্রা প্রভৃতি মুসলমানজগতের আর আব অংশেও, পূৰ্ব্বতন জাতির রীতিনীতির নিকট মুসলমানবিধিসকল এইরূপ পরাস্ত তহঁয়াছে । রাজপুতদলের মধ্যে ভারতবর্ষে মুসলমান জাঠ ৪ সনাতন মুসলমানশাস্ত্র:4'ধর যে শৈথিল্য দেখা যায় তাচাতে করিয়া এমন সকল স্বজাতীয়ের সচিত তাহাদের যোগ বক্ষিত হইয়াছে যাহাদিগকে মুসলমান প্রভাব স্পর্শ করে নাই এবং যাচারা ভারতে মুসলমানশাসন বিস্তারে চিবকালষ্ট প্রাণপণে বাধা দিয়া আসিয়াছে । পূৰ্ব্ব-পঞ্জাবে, রাজপুত ও গুজার অর্থাৎ জাঠ মুসলমানগণের সহিত তাহাদের স্বজাতীগ হিন্দুদিগের মধ্যে প্রভেদের মধ্যে কেবল এই দেখা যায় যে, মুসলমানগণ গুম্ফের অগ্রভাগ ছাটিয়া ফেলে, নমাজ পড়ে এবং বিপাঙ্গের সময় হিন্দুঅনুষ্ঠানের সঠিত মুসলমান অনুষ্ঠান-পদ্ধতি যুক্ত করিয়া থাকে। ইঙ্গর বিবাহ ও দায়ভাগে হিন্দুআনুশাসনষ্ট মানিয়া চলে এবং আপন আপন কুল প্রচলিত চিবাগত সামাজিক রীতিনীতিসকল সম্পূর্ণ বজায় রাখে। স্থলে, এই জাতীয়-গৌরব বোধই রাজপুতদিগের দ্যায় উক্ত শ্রেণীর নবদীক্ষিতদিগকে তাহাদের হিন্দু জাত-ভাইদের সচিত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হষ্টতে দেয় না। তাঙ্গার হিন্দুবীর ও রাজাগণের সন্তান সস্ততি বলিয়া এখনও গৰ্ব্ব করিয়া থাকে । হিন্দুভাষ্টদিগের স িত ইঙ্গদের যোগ এতই ঘনিষ্ঠ যে সম্প্রতি উন্নতিশীল আর্য্যসমাজ এই সকল পিতৃধৰ্ম্মত্যাগী হিন্দুসন্তানগণকে পুনরায় হিন্দুসমাজভুক্ত করিয়া লইতে আরম্ভ করিয়াছে। বহু রাজপুত মুসলমান এক্ষণে হিন্দুদিগের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে স্থান পাওয়ায় মুসলমানধৰ্ম্মের ক্ষীণতম বন্ধনটুকু ছিন্ন করিয়া ফেলিয়াছে। জাতিগত ও সমাজগত রীতিনীতিসকলের আলোচনা ছাড়িয়া যখন আমরা ধৰ্ম্মগত অনুষ্ঠানের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তথন সনাতন-মুসলমান-ধৰ্ম্মমতের আরো অদ্ভুত স্খলন লক্ষ্যগোচর হয় । বহুতর রাজপুত মুসলমান বিবাহের সময় ব্রাহ্মণ নিযুক্ত করে ও পারিবারিক ক্রিয়াকৰ্ম্মে মন্ত্র পাঠ করিবার জন্ত ব্রাহ্মণ কুল-পুরোহিত রাখে। ভারতবর্ষের অধিকাংশ স্থানে মুসলমান বিবাহে ব্ৰাহ্মণগণকে আংশিক অনেক ভারতবর্ষীয় মুসলমান-সমাজে হিন্দুয়ানীর মিশ্রণ JG 2 ভাবে অনুষ্ঠানকার্য্য সম্পন্ন করিতে দেখা যায়। রাজপুতানায় প্রকাশ্যভাবে ব্রাহ্মণ ও মোল্লাগণ পাশাপাশি বসিয়া কার্য্য করিয়া থাকে । এবং যেখানে শাস্ত্রশাসন পপলতর সেখানে ষ্টঙ্গ গুপ্তভাবে সাধিত হয়। কখনো কথনে আরম্ভে হিন্দু অনুষ্ঠান ক'রয়া শেষে “নিকা” কব হয়। মধ্য-ভার৩েব “সিয়োনি" জেলায় পিঞ্জারাগণ প্রথমে তোমাগ্নি প্রদক্ষিণ করিয়া পরে “কাজির” সম্মুখে নিকা করিয়া থাকে। কিন্তু অনেক সময় কাজিকে গোপন কবিয়াই বিবাহের এই অংশ সম্পন্ন করা হয় । হিন্দুসমাজের নীচজাতি হইতে যাহারা মুসলমান হইয়াছে তাঙ্গাদের মধ্যে হিন্দু আচার অনুষ্ঠানের প্রাদুর্ভাব অপেক্ষাকৃত অধিক । ইহাদের মধ্যে অতি সামান্তই পারবৰ্ত্তন ঘটিয়াছে । চহাতে বোধ হয় যে মুসলমানধৰ্ম্মমত সম্বন্ধে যথেষ্ট শিক্ষা ও উপদেশ তাহাব প্রথম হইতেই পায় নাচ । পূৰ্ব্বপুরুষদিগের আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে আবদ্ধ থাকিয়া তাঙ্গার। বিদেশ প্রভাব হইতে স্বরক্ষিত বঙ্গিয়াছে –এমন কি যে সকল ধৰ্ম্মনিয়মেব প্রভাবে মুসলমানজগতের প্রায় অধিকাংশ স্তলেঙ্গ ধৰ্ম্ম সমাজের জীবনযাত্রায় ও চিন্তা প্রণালীতে ঐক্য সাধিত হঠয়াছে এখানে তাত কোনো কাৰ্য্য করিবার অবকাশ পায় নাই । প্রধানতঃ বৃত্তিভেদের ভিত্তি আশ্রয় করিয়ান্ট হিন্দুঞ্জাতির বৰ্ণভেদ প্রতিষ্ঠিত। মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াও যে সকল হিন্দু আপনার পূৰ্ব্ব ব্যবসায় রক্ষা করে হিন্দু-জাত-ভাইদের সচিত তাঙ্গাদের অতি সামান্তই প্রভেদ ঘটিয়া থাকে । পশ্চিমভারতে, হিন্দুবংশীয় মুসলমানগণের বংশোৎপন্ন রাজমিস্ত্রী, মালাকার, কসাই প্রভৃতির গোমাংস ভক্ষণ করিতে—এমন কি স্পর্শ করিতেও বিশেষ সঙ্কোচ বোধ করে এবং তাহারা প্রকাগুভাবে হিন্দুদেবদেবীগণের পূজা ও মানত করিয়া থাকে । ইঙ্গার হিন্দুপরিচ্ছদ পরিধান করে এবং প্রায় মসজিদে যায় না ও আচার অনুষ্ঠান সকলও পালন করে না । যে “ষঠাই” দেবী ( ষষ্ঠ ) জন্মের ষষ্ঠ রাত্রিতে শিশুর ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন বলিয়। কথিত, তাহাকে ইহারা অনেকেই বিশ্বাস করে । ওলাউঠ হইতে রক্ষা করিবার জন্ত ইগরা "মরিয়াই” অর্থাৎ মৃত্যুদেবীর পূজা দেয়। বর্ধারম্ভে শস্ত বপন করিবার সময় ক্ষেত্ৰাধিষ্ঠাত্রী