পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ AAAAAASA SAAAAS AAAAAS AA SAASAASAAAS حتی ه همه ها --- ۰ - حمیده **۰حمدع**** د প্রবাসী— পৌষ, ১৩১৭ S AASAASAASAASAASAAeeSAeSAASAASAAeAeeAeSAeSAASAASAASAASAAAS ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড “মহাসোগ” দেবীর উদেশে ছাগ মুরগী প্রভৃতি বলি দিয়া ও “দেশপাওrগণ” প্রকাগুতঃ মুসলমানধৰ্ম্ম স্বীকার করিয়া থাকে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে যে সকল লুণ্ঠনকারী দস্যদলের নামে সমস্ত পশ্চিম ভারত ভীত হইত, তাঙ্গাদের ংশধর, মুসলমান পিণ্ডারগিণ, বিশেষ ভাবে “ আলাম্ম৷” দেবীর উপাসক i ইহার এক্ষণে শাস্ত ভাবে ঘাসিয়াড়ার কাজ করিয়া থাকে । পিণ্ডারাগণ “হানাফী” সম্প্রদায়ের সুন্নী শাখা ভুক্ত। বিজাপুর জেলায় ‘আলাক্ষা” দেবীর পূজার জন্ত ইঙ্গর একটা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। ঐ অঞ্চলের মুসলমান রজ কগণ জলদেবতা বরুণের উদ্দেশে নিম্ন শ্রেণীস্থ সাধারণ লোকদিগের মধ্যে বসন্তরোগের দেবতা শীতলা দেবীর পূজা সমস্ত ভারতবর্ষময় বিস্তৃত । বিশেষতঃ ইহা স্ত্রীলোকদের মধ্যেই অধিকতর প্রবল। পূৰ্ব্বপঞ্জাবের গ্রামগুলিতে, মুসলমান রমণীর শীতলা দেবীর পূজা না দেওয়া পর্যন্ত সন্তানের জীবন নিরাপদ জ্ঞান করে না । বাঙ্গালাদেশে ৪ এমন সকল মুসলমান আছে যাঙ্গার হিন্দুদিগের দ্যায় স্তৰ্য্যের পূজা ও তপণ করে। বাঙ্গালী মুসলমান যে সত্যপীরের মানত করে তাঙ্কাচ হিন্দুর সত্য নারায়ণ । পরগণার অনেক মুসলমানকে বৈদ্যনাথের মন্দিরে পুজার জল লইয়া যাইতে দেখা যায় এবং মন্দিধের ভিতরে তাতাদের প্রবেশাধিকার না থাকাতে বাহিরের বারান্দায় দাড়াইয় তাহারা সেই জল ঢালিয়া তর্পণ করে। ধান্ত রোপণ অথবা বপন করিবার পূৰ্ব্বে মুসলমান কৃষকগণও গ্রাম্য দেবতার নিকট পূজা দিয়া থাকে। মুসলমান-ভারতের সর্বত্রই এইরূপ আচরণসকল লক্ষ্য-গোচর হয় । যখন “মিয়ো” মুসলমানের কুপ খনন করে তখন প্রথমে তাঙ্গারা “ভৈরো” অথবা চকুমানের পূজার জন্য একট চবুতর বা মঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করে। আসামের কামরূপে সপদেবতা বিষহরীর পূজায় মুসলমানগণ প্রধান স্থান গ্রহণ করিয়া থাকে । মান্দাজ বিভাগে নিম্ন শ্রেণীর মুসলমান স্ত্রীলোকগণ মানত পূর্ণ হইলে হিন্দুদেবমন্দিরে গিয়া নারিকেল ভাঙ্গিয়া দেয় । সমাজে সনাতন মুসলমান ভাবের প্রাবল্য ও শৈথিল্য অনুসারে হিন্দুদেবতা ও উপদেবতাগণের পূজা প্রকাশুে অথবা গোপনে সাধিত হইয়া থাকে। বেরারে “দেশমুখ” মানত করিয়া থাকে । সা ওতাল পুরাতন ইষ্টদেবতাগুলির পূজার জন্ত ব্রাহ্মণ নিযুক্ত করে। মুসলমানধৰ্ম্মমত শিক্ষার কেন্দ্রগুলি হইতে সুদূরবর্তী স্থান সকলে প্রাচীন আচার অনুষ্ঠান বজায় থাকা সেরূপ আশ্চৰ্য্য কিন্তু ইহা শুনিলে বিস্মি ত হইতে হয় যে দিল্লীর নিকটবৰ্ত্তী “ক্তিসার” জেলায় কোন মুসলমানপাড়ায় একবার একজন ইংরাজ কৰ্ম্মচারী সেই গ্রামের প্রধান প্রধান লোকদিগকে একটা প্রতিমার গাত্রে তেল মাখাষ্টতে ও একজন ব্রাহ্মণকে সেইথানে বসিয়া মন্ত্রপাঠ করিতে দেখিয়া ছিলেন । তাহারা বলিয়াছিল যে সম্প্রতি তাঙ্গাদের মোল্লা আসিয়া ঠাকুর দেখিতে পাইয়া অত্যন্ত রাগ করে ও তাঁহাদিগকে দিয়া ঠাকুরকে মাটির নীচে পুতাষ্টয়া ফেলে। এক্ষণে মোল্লা চলিয়া যাওয়ায়, ঠাকুরের কোপ হইতে রক্ষা পাইবার জন্ত তাহারা প্রায়শ্চিত্ত করিতেছে । হিন্দুপৰ্ব্বগুলিতে প্রকাষ্ঠভাবে যোগদান করিবার প্রবল ঝোক মুসলমানদের মধ্যে দেখিতে পাওয়া কিছুই আশ্চৰ্য্য কথা নহে । বোম্বাই বিভাগে “পাথালারা” ( ভিস্তি ) দশহরার সময় তাহাদের মোসকবাঙ্গী ষাড়গুলিকে ফুল দিয়া সাজায় । এবং সবুজ ও হরিদ্র বর্ণে চিত্রিত করিয়া হিন্দুদের ষাড়গুলির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বাহির করে । বাঙ্গালায় নিম্নশ্রেণীর মুসলমানেরা তর্গোৎসবে রীতিমত যোগ দেয় ও হিন্দুদের দ্যায় নূতন কাপড় প্রভৃতি কিনে। বোম্বাই ভাগের স্থানে স্থানে হিন্দুদের সকল পৰ্ব্বেষ্ট মুসলমানের যোগ দিয়া থাকে । মুসলমানের হিন্দুদের “ঙ্গোলি” পৰ্ব্বকে কোন একটা মুসলমানপর্বেরই দ্যায় গণ্য করে এবং জন্মাষ্টমী, দশহরা, দেওয়ালীতেও উৎসব করিয়া থাকে । নিম্ন শ্রেণীস্থ অনেক মুসলমান হিন্দুপর্বে যোগ দেওয়া ছাড়া অনেক হিন্দুধৰ্ম্মানুষ্ঠানকে মুসলমানপর্কে পরিণত করিয়া তুলিয়াছে। উত্তরভারতে “ঠবাই” নামক রাজমিস্ত্রী-ব্যবসায়ী মুসলমানগণ ঐ অঞ্চলের হিন্দুকারিকরদের অনুকরণে আপনাদের যন্ত্রগুলির পূজা করে ও তাঁহাদের উদ্দেশে নৈবেদ্য দেয়। শ্রাদ্ধের সময় মৃতপুরুষদের উদেশে পিণ্ডদানপ্ৰথা অনেক বাঙ্গালী মুসলমান তাঙ্কাদের “শবীলরাৎ” উপলক্ষে পালন করিয়া থাকে,। মুসলমানদের নঙ্গে । “মিয়ো”