পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] “তুমি তাকে জান ন গদাই । সে সৰ্ব্বনেশে লোক । কিছু আশ্চৰ্য্য নয়। আর, সেও নিজে যদি না খবর দেয়, গঙ্গামণির আত্মীয় স্বজন খবর দিতে পারে। কি করি বল দেখি ?” গদাই বিষন্ন বদনে চিন্তা করিতে লাগিল । শেষে বলিল—“আজ খবর দিয়েছে বলে বোধ হয় না। তা হলে এতক্ষণ থানা পুলিস এসে পড়তে। কিম্বা এও হতে পারে, দারোগা থানায় নেই, জমাদার এজেহার লিখে নিয়েছে, দারোগা এসে তদন্ত আরম্ভ করবে ।” “এখন উপায় ?” গদাধর আবার চিন্ত করিল । শেষে বলিল—“এ অধমকে যদি উপায় জিজ্ঞাসা করলেন, তবে আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা হয় নিবেদন করি। আজ রাত্রেই এ স্থান আপনার পরিত্যাগ করা উচিত । চাই কি কাল সকালেই দলবল নিয়ে দারোগ এসে হাজির হতে পারে। আপনি মানী লোক—তারা একটা উচু কথা বল্লেই মরমে মরে যাবেন । আজ রাত্রেই আপনি স্থানান্তরে যান। আমায় কিছু টাকা দিয়ে যান, আমি কাল সকালেই থানায় গিয়ে দারোগাকে ঠিক করে নেব। পৃথিবী টাকার বশ । পুলিশ ত কথাই নেই। আপনি এখানে প্রচার করে দিন যে আপনি কলকাতা রওনা হলেন। ষ্টেশনে গিয়ে কলকাতার একথান। সেকেন কেলাস টিকিট কিনে, শেয়ালদহে নেবেই, প্রথম গাড়ীতে হাওড়া থেকে পশ্চিম রওনা হন। একখানা লম্বা রকম টিকিট কিনবেন—যেমন কাশী কি এলাহাবাদ । কিন্তু রাস্তায় কোনও এক জায়গায় নেমে পড়বেন । টিকিটখানা ষ্টেশনে দেবেন না। বলবেন আমি এখানে ব্রেকজর্ণি করলাম। তা হলেই আর কোনও চিহ্ন থাকবে না। তার পর এদিকে সব ঠিকঠাক হলে, সমস্ত চুকে বুকে গেলে তখন আসবেন এখানে যা কিছু করতে কৰ্ম্মাতে হয়, সব আমি করব।” বাবু বলিলেন—“দেখ, সে স্ত্রীলোকটা জানে, বকুলগঞ্জের মেজ বাবু, বকুলগঞ্জে তাকে বন্ধ করে রেখেছে।” शनाहे दणिण-“ञांख्छ हैं---किरू ब्रमण cषांय श्रांब्र ছোট বাবু—” “ঠিক বলেছ। ওটা আমার মনে আসে নি। আমার ভারতে খটখটি-ভাত ون سوالري বুদ্ধিগুদ্ধি লোপ পেয়েছে। তুমি যা বলছ তাই করব । আজ রাত্রেই রওনা হব । এখন, কত টাকা তোমার চাই বল দেখি ?” গদাই বলিল—“সঙ্গীন মোকদ্দমা—বড়লোক আসামী । পুলিশ একেবারে পেয়ে বসবে । শো পাচেক দিয়ে যান ।” সেক্ট কক্ষে দেওয়ালে গাথা লোহার সিন্ধুক ছিল । বাবু উঠিয়া, চাবি খুলিয়া একতাড়া নোট বাচির করিয়া আনিলেন । একশো থানি দশটাকার নোট গণিয়া গদাধরকে দিয়া ললিলেন—“এই হাজার টাকা স্নাথ । যা দরকার হয় থরচ করবে। আমাকে এ যাত্রা বাঁচাও । তুমি আমার চাকর নও—তুমি আমার সহোদর ভাই।” গদাই বলিল—“আমি হুজুরের দাসামুদাস। হজুরের নিমক খেয়েছি। প্রাণ থাকতে নিমকহারামী করব না।” —বলিয়া সে বাবুর পা দুখানি জড়ান্টয়া ধরিল। তথন সুর্য্য অস্ত যাইতেছিল। বাবু গদাষ্টকে উঠাইয়া বলিলেন—“আমি যেখানে থাকব, সেখান থেকে তোমায় চিঠি লিখব। আর যদি টাকা কড়ি দরকার হয়, আমায় লিখে—আমি তার বন্দোবস্ত করব। যদি এ যাত্রা রক্ষা পাই —তোমার উপকার ভুলব না । এর পুরস্কার তুমি পাৰে।” গদাই বলিল—“হুজুরের স্তে হই আমার পুরস্কার। অন্ত পুরস্কার তুচ্ছঙ্গান করি।” বাবু তখন গদাইকে বিদায় দিয়া যাত্রার আয়োজন করিতে লাগিলেন । ক্রমশঃ শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। ভারতের খটখটি-তাত যখন জগতের নরগণ ঘোর অন্ধকারের ঘুমঘোরে নিদ্রিত ছিল, বন্ত জন্তুর গাত্ৰচৰ্ম্ম যখন তাহাদের গাত্রাবরণের কাৰ্য্য করিত, পশুমাংস ভিন্ন যখন আর তাহাদের উদর পূর্ণ করিবার কোনপ্রকার স্বব্যবস্থা ছিল না, তখন ভারতক্ষেত্রের জনগণ সভ্যতালোক বিস্তার করিয়া ধীরে ধীরে রাজ্যবিস্তার করিতেছিলেন। যখন তাহারা দেখিলেন গাত্রাবরণ পণ্ডচৰ্ম্মম্বারা সংসাধিত হয় না এবং পঞ্চমাংস