পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२ নিদ্রাভঙ্গে দেখি ছোট ছোট হিন্দুস্থানী বালিকারা আমার স্বরে উকিঝুকি মারিতেছে, তাহাদের ইচ্ছা আমি একবার তাঙ্গদের ডাকি ? অমুকুলের ছোট ভাই – সেটি একটু তোতলা—বলিল—সব ভাঃ—ভাঃ—ভাগত কাছে ? - ই—ষ্ট-ধার আও ” অমরনাথ যতক্ষণে এক্ট কয়ট কথা উচ্চারণ করিতেছিল, আমি সেই সমযে একটা বালিকাকে ইঙ্গিত করিয়া ডাকিলাম—তাতার চুটিয়া পলাইল। এইরূপ বার কতক লুকোচুরি খেলার পর একে একে বালিকার দলটা ধূলিমলিন পদ লইয়া আমার ফরাসে আসিয়া অধিষ্ঠান করিল। এমন সময় দরজার নিকট একটী বালিকা আসিয়া বলিল – “গরম জল দেওয়া হয়েছে ।” আমি অমরকে জিজ্ঞাসা করিলাম—“এটা তোমার কোন বোন ?” অমর বলিল—“ও—ও—ওযে—পি-পি প্রিয় !” আমি মনে মনে বলিলাম—“এই প্রিয় ! এত স্বন্দর । এর জন্যে চিরকুমার ব্ৰত অচিরে ভাঙলে দোষ কি ?” রবিবার। অমুকুলের আপিস নাই। ভোজনের সময় অমুকুল জিজ্ঞাসা করিল—“কিহে কেমন বোধ করচ ?” আমি কছিলাম—“বড় ভাল ঠেকৃচেন!” অনুকূল আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল—“সেকি ষ্ঠে !” আমি বলিলাম—“ষ্ট ! আর কিছু দিন থাকৃলেই হয়েচে আর কি —একটা আস্ত পেটুক হয়ে দাড়াব!” অনুকুল বলিল—“তাই ভাল –এটোয়ার জল হাওয়া ভাল নয় বলচে ভেবে আশ্চযিা হয়ে গিছলাম।” আমি ললাট কুঞ্চিত করিয়া বলিলাম—“এটোয়ার জল হাওয়ায় বুঝি ভেবেচ পেটুক হয়ে পড়বার ভয় করচি ?” অনুকূল জিজ্ঞাসা করিল—“তবে কি জন্তে ?” আমি চক্ষু বিস্ফাৱিত করিয়া বলিলাম—“তোমার গৃহিণীর দ্রৌপদীত্বে ।” অমুকুল হাসিয়া বলিল—“ওহে ! স্ত্রীর সম্বন্ধে ও উপমাট আধুনিক স্বামীর পক্ষে একটু আশঙ্কাজনক।” সেই সময় অমুকুলের মাত আসিয়া আমাদের ভোজনের নিকট বসিলেন । তিনি প্রিয়র বিবাহের কথা প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ [ ००ग छान्न, २ख्न क्षेe পাড়িলেন—বলিলেন—“বাবা ! পিয়র একটি সম্বন্ধ দেখে, তোমার তো ঢের বন্ধুবান্ধব আছে !” প্রিয়র বিবাঙ্গ —আমার উপর সম্বন্ধ ঠিক করিয়া দিবার ভার! বুকের ভিতর রক্ত তোলপাড় করিতে লাগিল। আমি ঘাড় হেঁট করিয়া আহারেক্ট অধিকতর মনোনিবেশ করিলাম । প্রিয়র মাতা বলিতে লাগিলেন -“তুমি ত বাবা আমার অবস্থা জান!” আমি সঙ্গমুভূতির একটা ছোটখাটো নিশ্বাস ত্যাগ করি যা তাঙ্গার উক্তি সমর্থন করিলাম । কিছুক্ষণ আমরা তিন জনেই নীরব । রন্ধনশালা হইতে প্রিয় মাতাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল--“ম ! মাছের চপ আর দুখান নিয়ে যাই ?” আমার নির্লজ্জ কর্ণমূল দুটা হঠাৎ রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল। প্রিয়র মাত কষ্ঠাকে বলিলেন—“হঁ্য, নিয়ে আসবে বৈ কি।” আর আমাকে বলিলেন—“কি বাবা ব্যান্ননে ঝাল হয়েচে ?” আমি বুঝিলাম আমার কর্ণের প্রতি বিধবার দৃষ্টি পড়িয়াছে, আমি বাধা হইয়া বলিলাম “একটু।” প্রিয়র মাতা সেইখান হষ্টতে বধূকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন— “ও বৌমা ! একটু ঝাল কম দি ও বাছা ! সুধীর ঝাল থেতে পারে না ।” বেয়াদব অনুকুলট উঠিল—“কেন আগে ত সুধীর খুব ঝাল খেত!” প্রিয়র মাতা আমার পক্ষ লক্টয়া বলিলেন—“চিরকাল কি আর এক অভ্যেস থাকে ?” আমি বলিলাম “ঠিক বলেচেন—মানুষের কি একভাব চিরকাল থাকে ?” এমন সময় প্রিয় একখানা রেকর্ণবী করিয়া গরম গরম চপ লষ্টয়া উপস্থিত—একটু জড়সড় ভাব । ছড়ানে চুলের মাঝে, পাতার আড়ালে ফুলের মত, মুখখানি ! সহসা অনুকূলের মাত বলিলেন– “হঁ্য বাবা মুধী। --তুমি কি বিয়েটিয়ে করবে না ?- এখন ত যাহকৃ দু’পয়সা বেশ রোজগার কচ্চ ?” কি জানি কেন সেই সময় প্রিয়র হাত হইতে একখানা চপ মাটিতে পড়িয়া গেল! দেখিয়া প্রিয়র মাত কহিলেন— “আস্তে আস্তে দাও মা !—তাড়াতাড়ি করে ন!” অপরাহ্লে প্রিয়র বিবাহ লইয়া অমুকুলের সহিত কৰা অমনি বলিয়া