পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 eb همه جا میتوجهیهای جیمی - হইতেই আসিতে পারে। উর্দুতে সবে দুই এক বৎসর হইল কয়েকজন লেখক এই নবীন তন্ত্ৰ শিপাইতেছেন, তাহাও গদ্যে। বাঙ্গালী মুসলমানগণ বাঙ্গালী ভাষা ছাড়িলে এই বৰ্দ্ধনশীল নবতেজে তেজীয়ান বাঙ্গাল সাহিত্যের সম্পর্কও হারাষ্টবেন–পিছু পড়িয়া থাকিবেন। অথচ জগৎও সভ্যসমাজ অবিরাম গতিতে অগ্রসর হইবে, র্তাহাদের জন্ত থামিয়া থাকিবে না, দেরী করিবে না । মুসলমান ভ্রাতাগণ আমাদের ঘরের মধ্যে অৰ্দ্ধেকেরও অধিক ; তাহার क्लटश शैनङब ७थान्नैौनउज्ञ झड़ेब्रा बाहेरङ८छ्न छेछ cनषिब्र কোন স্বদেশহিতৈষী নিশ্চেষ্ট থাকিতে পারেন? অতএব বাঙ্গালী মুসলমানদিগকে আহবান করিতেছি, র্তাহার ইতিহাস হইতে শিক্ষালাভ করুন, প্রকৃতির বিরুদ্ধে বৃথা সংগ্রাম ছাড়িয়া দিন, ইচ্ছা করিয়া জীবনেব প্রতিদ্বম্বিতায় পিছু পড়িয়া থাকিবেন না। জগতের উন্নতির প্রবাক বহিয়া যাইতেছে, তাহার মধ্যে ভাস্কন ; বঙ্গসাহিত্যের সাহায্যে জ্ঞান বিস্তার করিয়া নব্যভাব গ্রহণ করিয়া, উন্নতিশীল জাতির মধ্যে গণ্য হউন। এই গৌড়ে হুসেন শাহের সভায় কত বাঙ্গালী কবি পালিত হইয়াছিলেন ; একদিন এই গৌড় নগরী কি হিন্দু, কি মুসলমান সব বাঙ্গালীর সভ্যতার কেন্দ্র, মিলনের ক্ষেত্র ছিল । কিন্তু এ যুগে সাহিত্য প্রজাতন্ত্র, রাজার কাজ সন্মিলনকে করিতে হয় । তাই আজ এই প্রজাতন্ত্রের ফোরাম্ বা সভাপ্রাঙ্গনে দাড়াইয়া বাঙ্গালী মুসলমান ভ্রাতাদের জন্য আমি নবযুগের *আজান” পাঠ করিতেছি—“উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্‌ নিবোধত—আমাদের সঙ্গে আম্বন, বঙ্গসাহিত্যকে নিজের জিনিৰ করির তুলুন, স্রোতে যোগ দিন, সঙ্কীর্ণতা নির্জীবতা আবিলতা আপন হইতে দূর হইবে—আপনার আবার সমবেত জাতীয় জীবনের অংশী হইয়া উন্নতির সৰ্ব্বোচ্চ সোপানে, কীৰ্ত্তির হিমাদ্রিশিখরে আরোহণ করিতে পারিবেন!” এখন সম্প্রদায় বিশেষকে ছাড়িয়া সমগ্র সাহিত্যিকমণ্ডলীর নিকট একটি নিবেদন করিব। এই সব সভা সন্মিলন শুধু সমালোচনার কার্য্য পথপ্রদর্শনের কার্য্য করিতে পারে, স্বজনের কার্য্য নহে। যাহা একান্ত মৌলিক, বাহা সৰ্ব্বোচ্চ শ্রেণীর সাহিত্য তাহা শুধু প্রতিভা হইতে প্রবাসী—মাৰ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, 《) अग्निष्ठ *ांरब्र, cफट्टै हद्देरठ नटश् । श्रांङ्ग ७थडिछांब्र अश्व কোন শিক্ষকের, কোন সমালোচকের বলগা মানে না। fকন্তু যাহা চেষ্টার সাধ্য এমন অনেক কাজ আমাদের বাকী আছে। সন্মিলন তাহাই করিবেন। বাঙ্গালা সাহিত্য একটি বর্ধিষ্ণু চঞ্চল দুরন্ত বালক ; দিন দিন বাড়িয়া উঠিতেছে ; যাঙ্গ পায় তাই মুখে দেয় কিম্বা নিজের অধিকারে আনিবার চেষ্টা করে । এই শিশুকে বিচার শিক্ষা দেওয়া, সংযম শিক্ষা দেওয়া, পথ দেখান আমাদের পরিষদের কর্তব্য। জ্ঞানের ক্ষেত্র বড় বৃহৎ—পৃথিবীতে কোন জিনিষ এত বড় নয় বা এত ক্ষুদ্র নয় যে তাহা অনুসন্ধান ও চর্চার বাহিরে পড়ে। নবযুগের ভাব ও জ্ঞান দিম দিন অধিক বিচিত্র হইতেছে। সুতরাং প্রত্যেক লেখককে নিজের বিশেষ বিষয় বাছিয়া লইতে হইবে ; সাৰ্ব্বভেীমের দিন আর নাই । এই সব লেখককে উপদেশ দেওয়া পথ দেখাইয়া দেওয়া, তাতাদের ব্যক্তিগত কার্য্যের পর্য্যবেক্ষণ করা সম্মিলনে মিলিত পণ্ডিতমণ্ডলীর কৰ্ত্তব্য। তবেই পরিশ্রম সফল হইবে, সময় ও চেষ্টা বৃথা নষ্ট হুইবে না। পরিষদ ও সন্মিলনের কার্য্যই এই ষে জ্ঞানের ক্ষেত্র বিভাগ করিয়া প্রত্যেক অংশের জন্ত উপযুক্ত লেখক নির্দেশ করা, র্তাহাদিগকে খাটাইয়া লওয়া, এবং ব্যক্তিগত চেষ্টার সমবায় করিয়া বিপুল ব্যাপার সম্পূর্ণ করা। দ্বিতীয়তঃ, এটি উত্তরবঙ্গের সাহিত্য-সন্মিলন, সুতরাং এই প্রদেশের বিশেষ তত্ত্ব উদ্ধার না করিতে পারিলে ইহার নাম সার্থক হইবে না । স্থানীয় লোকের দ্বারাই স্থানীয় ইতিহাস ভাষা ধৰ্ম্ম প্রথা লোকতৰ প্রাচীন কীৰ্ত্তি, প্রভৃতির স্বাক্ষভাবে অনুসন্ধান সম্ভব ও সহজসাধ্য। এরূপ কার্য্যে উপযুক্ত স্থানীয় লেখক নিযুক্ত করিতে এবং তাহাদিগকে উৎসাহ দিতে প্রাদেশিক সাহিত্য-সন্মিলনই ভালরূপে পারেন । উত্তরবঙ্গে খুঁজিবার ভাবিবার লিখিবার অনেক জিনিষ আছে। ইতিহাসের পাঠকেরা জানেন ষে উত্তরবঙ্গের মধ্য দিয়া দুইটি পুরাতন পথ আছে, যাছা ধরিয়া শতাব্দীর পর শতাব্দী জনস্রোত সভ্যতার স্রোত প্রবাহিত হইয়াছে। একটি গঙ্গা । প্রথমে এই নদীর সাহায্যে আর্য্য সভ্যতা ধৰ্ম্ম ভাষা বঙ্গে প্রবেশ করে, এই পথ বহিয়াই যুগে যুগে