পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 X.o SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS এটা মন্দের ভাল বটে, কিন্তু আমি চাই ভালর ভাল । প্রতিভাধ কথা ছাড়িয়া দিন, কারণ তাহাতে বিদ্যার দরকণর হয় না । কিন্তু তাহ ভিন্ন সঙ্গিত্যের সমস্ত বিভাগেই সৰ্ব্বোচ্চ জ্ঞানের দরকার । যাহার শিক্ষা সম্পূর্ণ হইল না সে-ই বাঙ্গলালেখক হইবার উপযুক্ত, মাতৃভাষার অপমানজনক এই মত আমি কিছুতেই স্বীকার করিব না । না, পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ উপহার, সবচেয়ে কঠিন সাধনার ফল, শীতকালের নীলপদ্ম, আtiনয়া মাতৃভাষার পদতলে দিলে তবে তাহাকে প্রকৃত ভক্তি দেখান হয় ৷ ” যুবকবৃন্দ । আপনাদের নিকট আমার সামুনয় নিবেদন, কেহ যেন মনে না করেন যে বাঙ্গল ভিন্ন অন্য সব সাহিত্যের জ্ঞান অবহেলার জিনিষ, অথবা শুধু বঙ্গভাষার চর্চা দ্বারাই বঙ্গসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সেবা করা যায় । মনে রাখিবেন, যাহা সৰ্ব্বোচ্চ সত্য বা প্রাকৃতিক তত্ত্ব তাহা সনাতন, তাহা বিশ্বজনীন ; তাঙ্গ বাঙ্গলাতেই থাকুক আর অন্ত ভাষাতেই থাকুক আমরা সমান আদর করিয়া লইব । এই জন্তু আমাদের প্রাচীন কবিগণ সংস্কৃত সাহিত্য মন্থন করিয়া সুধা আনিয়া এবং মাইকেল হইতে রবীন্দ্রনাথ পর্য্যন্ত নব্য কবিগণ বিদেশীয় সাহিত্য-ভাণ্ডার লুটিয়া রত্নবাজি বাছিয়া বঙ্গমাতার অঙ্গের আভরণ দিয়াছেন । প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তি, বঙ্গভাষার প্রত্যেক প্রকৃত সেবক সেই পথ অবলম্বন করুন—শুধু কাব্যে নহে, বিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্পকলা প্রভৃতি জ্ঞানের প্রত্যেক বিভাগেই সৰ্ব্বোচ্চ জ্ঞান সৰ্ব্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করাই আদর্শ বলিয়া গণ্য করিবেন। এই সন্মিলন আমাদের লেখকদিগকে, আমাদের পাঠকদিগকে, আমাদের সকলকেই বঙ্গসাহিত্যের ভিতর দিয়া সেই উচ্চ আদর্শে লইয়া যাউক, ইহাই আমার প্রার্থনা । যেন আমাদের প্রাদেশিকত্ব, আমাদের জাতিগত ভেদবুদ্ধি, ধৰ্ম্মগত বিদ্বেষ, আমাদের সংকীর্ণত ঘুচিয় যায়, যেন আমরা সকলে অতি বিশুদ্ধ, অতি মহান, অতি শান্ত সৰ্ব্বোচ্চ সাহিত্যজগতে প্রবেশ করিতে পারি,—ষে জগতে দুঃখ নাই, জরা নাই, দৈন্ত নাই, ভেদবুদ্ধি নাই ; আছে শুধু বিশ্বব্যাপী মহান শান্তি, মহা সংযম, মহ আননা, মহা শক্তি, বিপুল স্বাধীনতা । তাই কবির ভাষায় আমরা প্রার্থনা করি— AAA AASAASAASAASA SAASAASAASAAASeS eeeee eeeSMMAAASAAAA { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড “মোরে, ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে – তে।ণর বিশ্বের সভাতে, আজি এ মঙ্গল প্রভাতে ! উদয়গিরি হতে উচ্চে কহ মোরে— তিমির লয় হল দীপ্তি-সাগরে, স্বার্থ হতে জাগ, দৈন্ত হতে জাগ, সব জড়ত হতে জাগ রে, সতেজ উন্নত শোভাতে !” ঐযদুনাথ সরকার । ভারতের কয়ল। ভূতত্ত্ববিদগণ ভূপৃষ্ঠের শিলাস্কৃত্তিক পরীক্ষা করিয়া পৃথিবীর অনেক অংশেই কয়লা খ উদ্ভিদদেহজাত অপর কিছুর একটা স্তর আবিষ্কার করিয়াছেন। ভূতলে এই স্তরের গভীরতা অবশু সকল স্থানে সমান দেখা যায় না। ভূগর্ভের তাপে স্তরটা উচু নীচু হইয়া দাড়াইয়াছে। ছোটনাগপুরের ঝেরিয়া অঞ্চলে দুষ্ট তিন গত মাটি খুড়িলেই কয়লা বাহির হইয় পড়ে। আবার রাণীগঞ্জের স্থানে স্থানে শত শত ফুট নীচে না নামিলে কয়লার সন্ধান পাওয়া যায় না। ইহা দেখিয়া ঝেরিয়ার কয়লা অপেক্ষ রাণীগঞ্জের কয়লা প্রাচীন বলিয়া সিদ্ধান্ত করা চলে না। খুব সম্ভবতঃ একই সময়ে উভয় স্থানের কয়লা উৎপন্ন হইয়াছিল। তারপর পৃথিবীর ভিতরকায় তাপের উৎপাতে ঝেরিয়ার কয়লা উপরে উঠিয়াছে এবং রাণীগঞ্জের কয়ল নীচে নামিয়াছে, এই স্থির করাই যুক্তিসঙ্গত। অতি প্রাচীনকালে পৃথিবী এখনকার মত ঠাও ছিল না । সেই জন্ত তখন মাটি পাথর এখনকার মত কোন নিদিষ্ট আকার গ্রহণ করিয়া থাকিত না। ভূগর্ভের তাপে ভূমিকম্প ইত্যাদি উৎপাতও খুব ঘন ঘন হইত। কাজেষ্ট স্তরগুলিও চঞ্চল হইয়া এলোমেলো হইয় পড়িত । যাহা হউক সৰ্ব্বত্রই একটা কয়লার স্তরের সন্ধান পাইয়া ভূতত্ত্ববিদগণ পৃথিবীর কৈশোর জীবনের এক অংশকে অঙ্গার-যুগ নামে আখ্যাত করিয়াছেন । এই