পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA چاه دادههای আগুনের শিখা ক্রমশ স্পষ্টতর হচ্ছিল। চতুর্দিকস্থ অন্ধকারের মাঝ দিয়ে এই যে বহু উৰ্দ্ধে একটা আলোকের সন্ধানে ছুটে চলেছি, বিশ্বসংসারেও ত ঠিক এইরূপ। সংসারের অন্ধকারের মাঝ থেকে মহাপুরুষের আলোকের সন্ধান পেয়ে থাকেন, সে আলোকের সন্ধানে কত বাধা বিঘ্ন উপেক্ষ করে ছুটে যান । আজ এই অন্ধকার রাত্রে পাহাড় তাহার মাথায় মশাল জেলে আমাদিগকে ডাকৃছে, ‘ছুটে আলোকের কাছে এস, অন্ধকারে পড়ে থেকনী । অন্ধকারে পথ ভুলোনা, আমাকে লক্ষ্য করে ছুটে এস !’ আকাশে তারাগুলো একে একে মিলিয়ে যেতে লাগল । কোথা থেকে আলোকের একটা ঈষৎ আভা যেন উকি ঝুঁকি দিচ্ছিল। দিবাগমের যে বিশেষ দেরী নাই তা বুঝতে পারলাম। এখন পাহাড়ে উদ্ভিদজীবনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। ক্রমে পাহাড়ের মাটি বড় শিথিল হয়ে আসাতে পা ফেলা কষ্টকর হয়ে উঠল। পাহাড়ের গায়ে বড়, ছোট, মাঝারি নানা রকম কিভূতকিমাকার পাথর চারিধারে এলোমেলো ছড়ান। পাহাড়ের রঙ ছাইয়ের মত। একটা বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এসে হঠাৎ গন্ধকের গন্ধ পেলাম। সকলেই বুঝতে পারলেন থাত আর বেশী দূর নয়। কুলির বললে আব একটা পাহাড় উঠলেই থালাশ । সমস্ত রাত্ৰি পৰ্ব্বতারোহণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, পা ত আর চলেন । মিঃ গ—আগে আগে ছুটলেন, আমি যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে র্তার পশ্চাতে চললাম । কিছু দূর গিয়ে মিঃ গ—একটা পাথরের উপর বসে পড়েছেন দেখলাম। সেই দিকে চললাম, গন্ধকের গন্ধে নিশ্বাস ফেলা কষ্টকর হয়ে উঠেছিল, তবুও ক্ৰক্ষেপ ছিলনা। হঁাপাতে স্থাপাতে যখন মিঃ গ-র কাছে পৌছিলাম, তখন অন্ধকার ও অালোকের সন্ধিক্ষণ। রাত্রির অন্ধকার তখন লজ্জিতভাবে নবাগত আলোকের নিকট হতে সরে যাবার চেষ্টা করছে। আমি ত নিৰ্ব্বাক! কথা কি কইব, সন্মুখে যা দেখলাম তা ষে কখনও স্বপ্নেও অনুভব করিনি ! ছেলেবেলায় ভূগোলে যখন আগ্নেয়গিরির কথা পড়েছিলাম, তখন ত এমন দৃশু কিছু ভাবিনি। থাতের বিপুলত্ব আমাকে অভিভূত করে ফেললে। একটা বিশাল চৌবাচ্ছা, গভীরতা জীবন্ত অাগ্নেয়গিরি : AASAASAASA SAASAASAASAASAAASAAA S 8 ఫిలి • ع. -------. ماہ۔ عیہ، = **عہ. ہم**** প্রায় ১০০০ ফুট, ব্যাস ১৩০০ ফুট । তলায় প্রস্তরাকার প্রকাও প্রকাও গন্ধকের খণ্ড ছড়ান। পুকুর গুকিয়ে গেলে তলার মাটি ফেটে যেরূপ আকার ধারণ করে অনেকটা সেইরূপ । আর সেই ফাটার মাঝ হতে রক্তাগ্নি তার লোলজিহবা বাহির করে অবিরাম ধূম উগিরণ কচ্ছে । সমুদ্রগর্জনের মত গভীর গর্জনে পাহাড় কঁাপিয়ে গন্ধকের ধূম আমাদের শ্বাসরোধ করবার উপক্রম করুল । আমরা জলে রুমাল ভিজিয়ে নাক ও মুখ বন্ধ করলাম। মেঘের উপর এই পাহাড়ের মাথায় যখন দাড়িয়ে, তখন ধীরে ধীরে উষার প্রকাশ হচ্ছিল। এমন ভয়াবহ সুন্দর দৃশু ত জীবনে কখন দেখিনি ! যেন একটা দাবানলের মত, একটা আগুনের দীর্ঘিকার মত। নরকাগ্নির কথা পড়েছিলাম, এ যেন তাহারই মত । ১৭৮৩ সালে এই স্থান কি প্রলয়মূৰ্ত্তি ধারণ করেছিল ! আগুনের লোলজিহব তখন বৰ্দ্ধিত হয়ে বুঝিবা আকাশম্পর্শী হয়েছিল ! ধাতুনিঃস্রব এই খাত হতে বহির্গত হয়েছিল ; ভীষণবেগে নিম্নগামী হয়ে একটা বন ও ছুইখানা গ্রাম ংস করে দিয়েছিল । এই দহমান নদীর ঢেউগুল আকারে সাগরোশ্মির চেয়ে হয় ত কম ছিল না ; কোনটা দোতালার সমাম, কোনটা তার চেয়েও বড়। শতাধিক বৎসর পরে আজও কয়েক ক্রোশ ব্যাপ্ত করে এই ‘কঠিন নদী পর্যটককে বিস্ময়ে অভিভূত করে । ঢেউগুলা ঠিক তেমনই আছে : নানা আকারের—কোনটা ঘোড়ার মত, কোনটা সিংহের মুখের মত ; কেবল এখন প্রস্তরবৎ কঠিন হয়ে গেছে । আজ সম্মুখে এই যে অগ্নি-পুষ্করিণী দেখছি, এ যে আবার কোনো ভবিষ্যত দিনে আকাশের দিকে জিহবা বিস্তার করে প্রলয়তাগুবে নেচে উঠবেন তা কে বলতে পারে ! একটা শিরশিরে শীতবাতাস গায়ে কাটা দিচ্ছিল। চারিদিকে চেয়ে দেখি অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত। আমরা মেঘের বহু উৰ্দ্ধে। নিয়ে সাদা কালো মেঘগুলা নিতান্ত কৰ্ম্মহীনের মত ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! ,যেদিকে চাই সেদিকেই পাহাড় ; তারপর আবার পাহাড়। কিছুক্ষণ দেখতে দেখতে মনে হল চারিদিকে বিশাল সমুদ্র। পাচাড়ের সবুজ মাথাগুলো উৰ্ম্মিমালার মত থরে থরে সাজান, আর মাঝে মাঝে পৰ্ব্বত