পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ASAAAAS AAAAASAAAAS AAASASAAAeSeSAASASAAAAASA SAAAAS AAAAAS ভাগ্যচক্রে তৃতীয় পরিচ্ছেদ আরো সপ্তাহ দুই কাটিয়া গেল ; কিন্তু ফ্র্যাঙ্ককে স্থান ত্যাগ করাইবার কোনো চেষ্টা বার্টির দেখা গেল না। হয় ত একটা কথা বলিলেই কাৰ্য্যসিদ্ধি হইত, কিন্তু সেই একটা মাত্র কথা বলিতে বাটির কিছুতেই প্রবৃত্তি হইল না । কোথাকার জল কোথায় গিয়া দাড়ায় তাহাই দেখিবার জন্ত সে অলসভাবে প্রতীক্ষা করিয়া রহিল। একটা রহস্তময় গল্পের কোথায় রহস্ত-সমাধান হয় তাঙ্গ শুনিবার জন্ত শ্রোতা যেমন আগ্রহের সহিত অপেক্ষা করে তেমনি করিয়া সে অপেক্ষা করিতে লাগিল । ফ্র্যাঙ্ক বাড়ির বাহির হইতেন না—সমুদ্রের ধারে কে আসে, কে যায়, তাহার কোনো খোজই রাথিতেন না । কাজেই, দুই সপ্তাহ কাটিয়া গেল তবুও বার্টি যাহাকে ভয় করিতেছে তাতার নামগন্ধও তিনি পাইলেন নাকোনো সন্দেহ পৰ্য্যন্ত তাহার মনে উঠে নাই ! সমুদ্রের বাতাসে তাহার বুকের নিশ্বাস কতবার ফ্র্যাঙ্কের বুকের উপরে আসিয়া লাগিয়াছে তবুও তাহার হৃদয়ে ইভার সঙ্গঅমুভব জাগিয়া উঠে নাই ; বালির উপর তাহার পায়ের চিহ্ন ফ্র্যাঙ্ক কতবার দেখিয়াছেন তবুও তাহা চিনিতে পারেন নাই, কতবার তাহার গায়ের বসন তাহার চোখের সমুখে খেলিয়া গিয়াছে র্তাঙ্কার নজরে পড়ে নাই ! সে দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন—বৃষ্টির ভয়ে কেহ বাড়ির বাহির হয় নাই । সমুদ্রকুল নির্জন দেখিয়া ফ্র্যাঙ্ক বাহির হইয়া পড়িলেন। চারিদিকে কেহ কোথাও নাই—সমুখে অনন্ত সমুদ্র । তাহার বুকের উপর দিয়া দীর্ঘশ্বাসের মতো একটা করুণ বাতাস বঙ্কিয়া আসিতেছে, আকাশের উপর হইতে মেঘের কালো ছায়া নামিয়া আসিয়াছে ! ফ্র্যাঙ্ক চলিতে লাগিলেন–র্তাহার কানে আসিয়া কাল্লার শব্দে সমুদ্রের বাতাস লাগিতে লাগিল । দূর হইতে র্তাহার দিকে আসিতেছে ওড়ন। উড়াইয় ও কে ! হা ভগবান ! এ যে সেষ্ট ! ভাগ্যচক্র SAeMSAASAASAASAASAASAASAASAASAAMMMAAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS 880. s****.****** AAAAAA AAAASAAAAS AAASASASS SA SASAASAAASه ه**"عی - ফ্র্যাঙ্কের বোধ হইল তাহার বুকের উপর যেন জগজ্জ্বল পাথর চাপিয়া বসিয়াছে ! একটা বেদন ও আনন্দ একসঙ্গে তাহার শরীরের মধ্যে থেলিয়া বেড়াইতে লাগিল । তিনি স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া পড়িলেন,—তাহার কম্পিত কণ্ঠ হইতে অস্ফুটস্বরে বাতির হইয়া পড়িল—“ইভ । ইভা ” ক্রমেষ্ট ব্যবধান কমিয়া আসিল । ইভা তাহার কাছে আসিয়া দাড়াইলেন ;—তাহার মুণে কোনো উত্তেজনার চিহ্ন নাই ; কারণ এ তাহার প্রথম সাক্ষাৎ নয়—আজ সকালে আর একবার তিনি ফ্র্যাঙ্ককে দেখিয়াছেন, প্রথম দেখার যে উত্তেজন তাহ তখন কাটিয়া গেছে ! ফ্র্যাঙ্ক দাড়াইয়া ভাবিতে লাগিলেন—কি করেন ? কি বলিয়া ইভাকে সম্ভাষণ করেন ? অপরিচিতের মতো চলিয়া যাইবেন ? না সমস্ত মনোমালিন্ত দূর করিয়া দিয়া আবার প্রেমের সহিত আহবান করিবেম ? ফ্র্যাঙ্ক বিস্মিত হইয়া গেলেন। এ কি ! তাহার সম্মুখে আসিতে ইভার এতটুকু সঙ্কোচ নাই ! কেমন নিৰ্ব্বিকার ভাবে, কেমন শান্ত চিত্তে র্তাচার কাছে আসিয়া তিনি দাড়াইয়াছেন ! ফ্র্যাঙ্ক দেখিতে লাগিলেন—নয়ন ভরিয়া ইভাকে দেখিতে লাগিলেন ;–সেই লতার মতো ক্ষীণ তনু-শ্ৰী, পুষ্পের মতো কোমল অঙ্গ, ঈরার মতো উজ্জল চক্ষু ! ইভা কোমল কণ্ঠে ডাকিলেন—“ফ্র্যাঙ্ক ।” ফ্র্যাঙ্কের সমস্ত হৃদয়টা ঝড়ের মতো আকুল হইয়৷ উঠিল—তন্ত্রার মতো একটা আবেশ তাহাকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল ; তিনি উত্তর করিতে পারিলেন না—চক্ষু দুটি জলে ভরিয়া আসিয়া তাহাকে আর কিছুই দেখিতে দিল না । - ইভা মলিনভাবে একটু হাসিলেন ;–আবার ডাকিলেন —"ফ্র্যাঙ্ক !” ফ্র্যাঙ্কের চমক ভাঙিল-কিন্তু এবারও মুখ দিয়া কোনো কথা বাহির হইল না, তিনি ইভার দিকে শুধু হাতখানি বাড়াইয়া দিলেন—ইভা"আবেগের সহিত সেই হাতখানি আঁকড়াইয়া ধরিলেন। তারপর অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন—“ফ্র্যাঙ্ক ! তোমার সঙ্গে দেখা কয়ে ভালো