পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] পাওয়া যায়। জীবজগতের অনুন্নত অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকা ও স্থিতিশীলতা নিবন্ধন আলস্ত মানবে বিদ্যমান থাকিলেও মানবেই কেবল উচ্চতর বিকাশ সন্দর্শন করিয়া আমরা অনেক সময়েষ্ট থম্ভ বোধ করিয়াছি । একতা সত্ত্বেও যেমন জীবমণ্ডলের মধ্যে মানব কতকগুলি গুণের পরিচর্য্যায় পরিতৃপ্ত বলিয়া শ্রেষ্ঠ, সেইরূপ মানবমণ্ডলের মধ্যেও আবার কতকগুলি জীবমণ্ডলের গোত্রভুক্ত না হইয়াও গোত্রভুক্ত হইয়। জীবনধারণ করিতেছে, আর কতকগুলি নিজ শক্তিবলে নিজকে ভাগবতী কৃপার অধীন করিয়া মানবসমাজে উচ্চ আদর্শ স্থাপনে ব্যস্ত। এই শ্রেণীর মানুষকে তিনটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায়ে বিভক্ত করা যাইতে পারে। প্রথম শ্রেণী সিদ্ধ পুরুষ, দ্বিতীয় শ্রেণী সাধক, আর তৃতীয় শ্রেণী লোকসেবা-পরায়ণ বিষয়ী বীর । প্রাচীন কালের ইতিহাস ও জীবনী-সংবাদ পর্য্যালোচনা প্রথম শ্রেণীর অনেকগুলি মহাপুরুষের বিষয় অবগত হওয়া যায়। দেবধি নারদ ও রাজর্ষি জনক এই সিদ্ধপুরুষগণের মধ্যে অতি উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। অপেক্ষাকৃত আধুনিক প্রাচীনকালে বুদ্ধদেব সাধনবলে সেই উচ্চপদের অধিকারী হইয়াছিলেন । খৃষ্টীয় জগতের অসামান্ত আদর্শপুরুষ যিশু খৃষ্ট সাধনের অবস্থা অতিক্রম করিয়া সিদ্ধিলাভ করিতেছেন, এমন সময় আততায়ীর হস্তে র্তাহার মর্ত্যজীবন পরিসমাপ্ত হইয়াছিল। র্তাচার চরিত্র ও জীবন লোকশিক্ষার উপযোগী উপাদানে পরিপূর্ণ হইলেও তিনি সাধনার অবস্থা পূর্ণরূপে অতিক্রম করিবার পূৰ্ব্বেষ্ট নিহত হইয়াছিলেন । সমগ্র সভ্যজগৎব্যাপী তাহার সমাদর ও সন্মানের সর্বপ্রধান কারণ তাঙ্কার প্রতি অমানুষিক অত্যাচারপূর্ণ মৃত্যুর ব্যবস্থা। লোকশিক্ষার ক্ষেত্রে তাঙ্গর পরবর্তী মহাপুরুষ হজরৎ মচহ্মদও ঐ যিশুর শ্রেণীভুক্ত। আমি এখানে ইহার একটিমাত্র কারণের উল্লেখ করিতেছি । এই দুই ভগবদভক্ত মহাপুরুষ সাধনের অবস্থা পূর্ণরূপে অতিক্রম করিয়া সিদ্ধপুরুষে পরিণত হইলে নিৰ্য্যাতনগ্রস্ত হইয়া আততায়ীর অত্যাচার পরিহার মানসে ইহাদিগকে নানাস্থানী ইষ্টতে হইত না। সিদ্ধপুরুষের ব্ৰহ্মশক্তির সন্মুখে, সংসারের সকল শক্তিই পয়ায় স্বীকার করিতে বাধ্য। অজেয় ব্ৰহ্মশক্তি যখন করিলে ভক্ত ও ভক্তি MAMeMAMAMMA MAMSASAeSAASAASAASAASAA AAAS AAAAAeAAASASASS 8రిసి ۰۰۰" «پی» همه " هدیه میه- : ۰ - ۰ - ماه یی «جمه ۰۰۰ & পূর্ণরূপে মানবকে আক্রমণ ও অধিকার করে, তখন সে মানবসস্তান ব্রহ্মশিক্ততে পরিণত হইয়া ধ্রুব প্ৰহলাদের দ্যায় সকল শক্তিকে জয় করে । সংসারের দানবশক্তি সে অজেয়ুশক্তির নিকট নিত্য পরাজিত । যিগু ও মহম্মদের নানাস্থানে পলায়ন এই দিব্যসত্যের বিরোধী । র্তাহাদিগকে সাধকের উচ্চ অবস্থার মহাপুরুষ বলিয়া মনে হয় । আপ্ত-বাক্য-সম্পন্ন ভারতীয় ঋষিকুলের অনেকেই সাধনার অবস্থায় ষ্টকলোক ত্যাগ কবিয়াছেন। মহাপ্ৰভু শ্রীচৈতন্তদেবও সাধকের অবস্থায় দেহপাত করিয়াছিলেন। নিজেকে তিনি ভক্ত বলিয়া পরিচয় দিতেই প্রীতিলাভ করিতেন । বিশ্বাস বলে বলীয়ান নানক, কবীর ও ভক্ত রামপ্রসাদ সেন ভক্তিপথের পথিক ছিলেন। গীতার টীকাকার মহানুভব রামাম্বুজও-সেই ভক্তিপথের যাত্ৰী । এখন এই সকল বিষয়ের আলোচনাতে আমাদের লঘুচিত্ত আত্মার কিঞ্চিৎ কল্যাণ সাধন হইলেও হইতে পারে কিন্তু এই উচ্চ বিষয়বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের মহত্তাবের আলোচনাতে ব্যক্তিবিশেষের হৃদয়ে জালারও সঞ্চার হয়। ইহাই দারুণ পরিতাপের বিষয় । আজ কাল “স্বামী” “আনন্দ” “প্রভুপাদ” “শাস্ত্রী” ও “বিদ্যাসাগর”-এর ছড়াছড়ি । এমন দিনে মহাপুরুষদিগের গুণাবলীর আলোচনা ও চন্দ্বারা আত্মার আনন্দবৰ্দ্ধন এক কঠিন ব্যাপার হইয়াছে। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে হিতবাদী পত্রিকায় পাঠ করিয়াছিলাম, ঢাকার বুড়ীগঙ্গায় “সাগরের” তরঙ্গতুফান উঠিয়াছিল। আজ কাল আমরা সংস্কৃত কলেজের বাহিরেও অনেক “শাস্ত্রী” দেখিতে পাট। আজ কাল কণ্ঠ ভর তুলসীর মালা থাকিলেষ্ট তাহাকে “প্রভুপাদ” অভিধানে সমাদর করিতে কুষ্ঠাবোধ করি না । যাহার আনন্দের লেশমাত্র নাই তিনিও “আনন্দ”। এক বিবেকানন্দকে “স্বামীবলিলে বা “আনন্দ” বলিলে সহ হয় কারণ স্বামীত্বের ও আনন্দের আভাস অনুসন্ধান করিলে তাহার জীবনলীলায় তাছার পরিচয় পাওয়া যায় কিন্তু তাই বলিয়া এই মহামৰ্য্যাদার পরিচায়ক অবাধে মানুষ আপন আপন নামে সংযুক্ত করিয়া নিজ নিজ আত্মার অকল্যাণ ও ঐসকল পদবীর মূল্য হ্রাস করিতে বিন্দুমাত্র ইতস্তত করেন না