পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مم------ع همه - مساسی، ۳۰۰-... تمامیه - - ع দ্ভাব সকলের রেখাচিত্র ه ۰ -عمر - ۰.۰۰۰-------" - " " ۰۰- •دهه ۰۰۰۰۰۰ م.-۰عی تهیه - تهیه পারে। স্বতরাং বঙ্কিমচরিত্রের মহ অঙ্কনও অসম্ভব । তাহার পর কেশবচন্দ্র সেন । ইহার অভিব্যক্ত ধৰ্ম্মতত্ত্বের আলোচনা ও সেই স্থত্রে গ্রথিত সুবিস্তৃত জীবনচরিত ইংরাজী ও বাঙ্গালা ভাষায় লিপিবদ্ধ হইয়াছে। ঐ ছুইখানি পুস্তকই বাঙ্গালাদেশের দুই অসামান্ত পুরুষপ্রধানের রচিত । ইংরাজীখানি কেশবের বাল্যমুহৃদ ও দীর্ঘজীবনব্যাপী সহচর অধুনা স্বৰ্গীয় প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয় কর্তৃক ও অপরখানি অধুনা রোগশয্যায় শায়িত নববিধানভক্ত ও বিশ্বাসী ভক্তিভাজন গৌরগোবিন্দ রায় উপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক রচিত । ইংরাজী গ্রন্থে কেবশচন্দ্রের বাল্য ও যৌবনের সাধারণ সংবাদ কিছু কিছু পাওয়া যায়, কিন্তু মোটের উপর ঐ গ্রন্থ ও ভক্তিভাজন উপাধ্যায় মহাশয়ের বহু বৃহৎ গ্রন্থে কেশবচন্দ্রের নিত্যজীবন যাপনের অসামান্ত চরিত্রচিত্র জানিতে পারা যায় না । কেশবচন্দ্রের দেবভাব পরিস্ফুটনে ও তজ্জাত বিষয় সকলের আলোচনাতেই ঐ বৃহৎ গ্রন্থ দ্বয় পর্যবসিত হইয়াছে । যে সকল উপকরণের সমাবেশে মানবদেবতার উচ্চ চরিত্রের ক্রমবিকাশ প্রকাশ পায়, ও যাহা পাঠে, এষ্ট রক্তমাংসময় সাধারণ মানুষের অগ্রগমনে সহায়তা করে, উক্ত দুষ্ট গ্রন্থে গ্রন্থকর্তারা এরূপ উপকরণ সকল আলোচনার বিষয়ীভূত করেন নাই। মানুষ মানুষই, সেই মানুষে ভাগবতী কৃপা কিরূপে বিকাশ প্রাপ্ত হয়, এবং নরের নরাংশ কেমন করিয়া দেবাংশে পরিস্ফুট হয়, তাহার উপকরণ কেশব-চরিত্রে ক্রটি দুৰ্ব্বলতা সত্ত্বেও কেমন করিয়া স্থান পাইয়া ক্রমে বিকাশ প্রাপ্ত হৃষ্টয়াছিল, এ তত্ত্বের আলোচনা কেহই করেন নাই। এখন যদি কোন মহানুভব ব্যক্তি রেখা চিত্রে অঙ্কিত করিয়া দেখাইতে চাহেন যে কেশবচন্দ্র নিত্য জীবনে এমনটি ছিলেন, আর সেগুলি ঠিক খাটি সত্য কথা হইলেও তাহা মিথ্যা ও ভ্রমপ্রমাদ পূর্ণ বলিয় প্রচারিত হইবে, এবং সেরূপ ব্যক্তিকে দল বা সম্প্রদায় বিশেষ একবারে মানব সমাজের অধম পদবীতে স্থাপন করিয়া হৃদয়ে শান্তি লাভ করিবে । সামান্ত একটি ঘটনার উল্লেখ করিতেছি —সম্ভবতঃ ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের মাঘ মাসে তদানীন্তন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের কর্তৃপক্ষীরগণের কয়েকজন একত্র মিলিত হইয়া উৎসবাস্তে ۰۰۲ مه- صبححصاحی محصمیمی - سم.....م.م. - سهم. AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASمسیه - محماییهای معاعیهای هم حمی"۳۰۰۳ ব্রাহ্মসমাজের আচাৰ্য্য ও র্তাহাদের পূর্ব পরিচালক ভক্তিভাজন স্বৰ্গীয় কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন। ব্ৰহ্মপূজার অবসানে হৃদয়ের সদ্ভাব পরিচালিত হইয়া শ্রদ্ধা ও প্রতির প্রফুল্প কুসুমপাত্র লইয়া মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের “ব্ৰহ্মানন্দ” দর্শনে র্তাহার ভবন “কমল-কুটীরে” উপস্থিত হইবামাত্র, গৃহস্বামী ইহাদিগকে সাদরে গ্রহণ করিলেন । র্তাহার আনন্দে উচ্ছ,সিত হৃদয়ের আবেগ তাহার চিরপ্রফুল্ল মুখমণ্ডলে প্রীতির তরঙ্গ-তুফান তুলিয়াছে। তিনি সকলকেই স্নেহভরে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইতে না বসাইতে র্তাহার মণ্ডলীভুক্ত প্রধানগণের এক জন তথায় উপস্থিত হইয়া তীব্র শ্লেষব্যঞ্জক স্বরে সম্ভাষণ করিয়া বলিলেন “কি বিরোধী মহাশয়গণ ! নমস্কার, এখানে কি মনে করিয়া ?” ব্যথিতহৃদয় ব্রহ্মানন্দ বলিলেন—“ইহঁারা উৎসবাস্তে অনুগ্রহ করিয়া আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন কোন প্রকার রূঢ় বাক্য এ সময়ের উপযোগী নহে।” তদুত্তরে একান্ত অনুগত ভক্ত শিষ্য মহাশয় গুরুর ইঙ্গিত অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করিয়া বিরোধী মহাশয়গণের সঙ্গে বাকৃবিতণ্ডা আরম্ভ করিলেন। বিরোধী মহাশয়গণ এতাদৃশ ব্যবহারবৈষম্যে স্তম্ভিত ইষ্টয়া ও অবিচলিত ভাবে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। কিন্তু ভগবদ্ভক্তিপরায়ণ সাধু কেশবচন্দ্র সেন মসুশয় পুনরায় কাতর বাক্যে বলিলেন,— “এটা আমার আশ্রম ; আশ্ৰমধৰ্ম্ম ও সামাজিক রীতি অনুসারে ইছারা আমার সম্মান ও পূজার পাত্র, তুমি এক্ষণে স্থানান্তরে গেলেই ভাল হয় ।” কিন্তু এ সেবক শুনিবার পাত্র ছিলেন না । শেষে রীতিবিরুদ্ধ ব্যবহার আরম্ভ করিলেন । তখন কেশবচন্দ্র সাশ্রনয়নে অভ্যাগত বন্ধুদের বলিলেন, “আমি আপনাদিগকে এক্ষণে বাধ্য হইয়া বিদায় দিতেছি । আমার গৃহে আমার সম্মুখে ইহাদের কাণ্ডজ্ঞান থাকিবে না । ইহা অপেক্ষ পরিতাপের বিষয় আর কি কষ্টতে পারে ? আমাকে আপনার ক্ষমা করিবেন।” এই ক্ষুদ্র ঘটনাটির মধ্যে ব্ৰহ্মানন্দের যে মহম্ভাব প্রকাশ পাইতেছে, সেরূপ কত শত মহন্ত্রীব, পাশ্বচর, সহচর, শিষ্য, ভক্ত ও ভক্তগণের অনুগ্রহে চিরলুক্কায়িত রহিল ? মানুষ মুক্তজগতে মানবের মুক্তির সংবাদ প্রচার করিবার ভার