পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬২ প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ >०अ छाण, २ä थe SAASAASAASAASAASAASAASAA AAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA=م. - سدههه محموده"به همههعه ممیمه هم مسیر مهمی برای همه همسایهها. কথিত কয় যে ইহার নিৰ্ম্মাণের সময় ৭ম হইতে ৯ম শতাব্দীর মধ্যে । আর কিছুদূর দক্ষিণে “নবমুনি” গুহা নামক আর একটা গুহা দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাতে দুষ্টট কক্ষ এবং একটী সাধারণ রকমের বারান্দা আছে। অন্তর্ভাগে ইছার স্তম্ভের মস্তকের স্বশোভিত অংশে একখানি উৎকীর্ণ লিপি দৃষ্ট হয় । এষ্ট উৎকীর্ণ লিপিখানিকে ম্যালী সাহেব ও চক্রবর্তী মহাশয় ১০ম শতাব্দীর বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। শ্ৰীমৎ উদ্যোত কেশরী দেবের প্রখ্যাত শাসনকালের অষ্টাদশ বর্ষের শুভচন্দ্র নামক কোন জৈন সন্ন্যাসীর বিষয় ইহাতে কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । এষ্ট গুগর পূৰ্ব্ব দিকের কক্ষটতে দশ জন তীর্থঙ্কব ও নিম্নদেশে তাহাদিগের সাঙ্গোপাঙ্গের উৎকীর্ণ মূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। দক্ষিণ দিকের অধঃদেশে চারভুঞ্জি ও ত্রিশূল গুচাতেও এবহুপ্রকার মূৰ্ত্তি সকল দৃষ্ট হইল। আরও কিছু দক্ষিণে কতিপয় ভগ্ন গুহা দেখিতে দেখিলে আমব “ললাটেন্দু গুচার নিকট উপস্থিত হইলাম। এই গুচার নাম ঐ নামীয় কোন রাজার নাম হটতে হইয়াছে। ইহাতেও কতকগুলি জৈন সিদ্ধ পুরুষের খোদিত মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। ইহার অদূরেই “আকাশগঙ্গা” নামে একটা কুণ্ড অবস্থিত। প্রত্যাবর্তন করিয়া আবার আমরা “বারভুজি” গুহার নিকট আসিলাম এবং তথা হইতে ক্রমশঃ অধিরোহণ করিয়া ইহার উত্তর পশ্চিমস্থ “অনন্ত” গুস্তার সমীপবৰ্ত্তী হইলাম। ইঙ্গ একটা সুবিস্তৃত কক্ষ । কক্ষটা দীৰ্ঘে ২৪ ফুট এবং উচ্চতায় ৬ ফুট। ছাদটী খিলানবিশিষ্ট । ইহার পশ্চাতের ভিত্তিগাত্রে পবিত্র সাঙ্কেতিক চিহ্ন সকল ব্যতীত একটি জীর্ণ মুক্তিও দেখা গেল। সম্ভবতঃ ইহা পরেশনাথ দেবের । সম্মুখের ভিত্তিতেও বহুসংখ্যক মুক্তি খোদিত রচিয়াছে কিন্তু মূৰ্ত্তিগুলির পরম্পরের সম্বন্ধ স্পষ্টরূপে নির্ণয় করিবার উপায় নাই । “বারভুঞ্জি” গুছার পশ্চিমে এবং গুহার ঠিক দক্ষিণে,-— থওগিরির শিরোভাগে অবস্থিত জৈন মন্দির দেখিতে আমরা আরও উদ্ধে অধিরোহণ করিলাম। মন্দিরট বিখ্যাত উৎকল আদর্শে নিৰ্ম্মিত । চহার দেবালয়স্থ উচ্চ প্রাচীরের ভিতরে পাঁচ জন জৈন মহাপুরুষের মূৰ্ত্তি স্থাপিত। ইহার পশ্চাৎভাগে ইছাপেক্ষা দেখিতে প্রাচীন একট জীর্ণ মন্দির রহিয়াছে। এখন ইহা একটী মঞ্চ বিশেষ। উপরি এ স্থান হইতে ভাগে কতকগুলি ব্ৰতপালনার্থ দত্ত স্ত,প বিক্ষিপ্তভাবে পড়িয়া আছে । এক্ষণে ভুবনেশ্বর ও তাহার চতুষ্পার্শ্বস্থ মন্দিরসমূহের বিষয় আলোচনা করা যাউক । এই সুবৃহৎ মন্দিরট উৎকলীয় পদ্ধতিত্তে নিৰ্ম্মিত এবং আকারে ও বিরাটতায় অবিকল আৰ্য্যশিল্প আদর্শের শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্তস্বরূপ। উড়িষ্যা প্রদেশে, ফাগুসনের কথা বলতে গেলে “এই আদর্শ সম্পূর্ণ মৌলিক, অপর কোন প্রণালীর সহিত মিশ্রণে উৎপন্ন নছে ; দৃঢ় এক শ্রেণীর ভারতীয় স্থাপত্য শিল্পের অন্তভুক্ত ” উৎকলীয় স্থাপত্য মূলতঃ দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্য হইতে বিভিন্ন । উড়িষ্যার দেউলেখ নক্সাগুলি বক্র খিলানবিশিষ্ট এবং তাঙ্কাতে স্তরবিশিষ্ট বা সোপানবিশিষ্ট গঠনপ্রণালীর চিহ্ন মাএ নাই । গম্বুজ বা তদ্রুপ কোনো পদার্থ ইষ্ঠাতে দেখিতে পাওয়া যায় না । উড়িষার প্রত্যেক মন্দিরে দুইটী হস্ম্য বৰ্ত্তমান ; একটার সম্মুখে আর একট অবস্থিত। ইহাদের মধ্যে যেটি উচ্চতর তাঙ্গর উপরিভাগে দুর্গবৎ একট চুড়া আছে এবং অভ্যস্তরে প্রধান প্রধান দেব দেবীর মূৰ্ত্তি সকল স্থাপিত। সন্মুখস্থ—যেটা অপেক্ষাকৃত কম উচ্চ তাহ একটা জগমোহন । ইহার ছাদটী অনেকটা পিরামিডের আকৃতির অকুরূপ ; এই উভয় হৰ্ম্ম্যেই স্তম্ভ একেবারেই ব্যবহৃত হয় নাই । সময়ে সময়ে ( যেমন ভুবনেশ্বরে ) দেখিতে পাওয়া যায় যে একটা প্রাচীর মন্দিরের চারিদিক্‌ ঘেরিয়া আছে, কিন্তু ইহা এই শ্রেণীর স্থাপত্যের অঙ্গীভূত নহে । ভুবনেশ্বরের প্রাচীরের অন্তৰ্ব্বস্তী অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। সেগুলি বৃহৎ মন্দিরের অধিকারভুক্ত। বৃহৎ মন্দিরটি যেন সৰ্ব্বোপরি মস্তক উত্তোলন করিয়া আছে। ফাগুসনের মতে, “সমস্ত শিল্পকলার উপরে যেন একটা মিলনের উদ্দেশু পরিস্ফুট । দাক্ষিণাত্যে সচরাচর ইহা বিরল।” ভুবনেশ্বর-মন্দিরে এই সমস্ত বিশেষত্ব এরূপভাবে প্রত্যক্ষীভূত হয় যে ইহাকে উড়িষ্যার সমগ্র স্থাপত্য শিল্পকলার আদর্শরূপে নিৰ্ব্বিবাদে গণ্য করা যাইতে পারে । ভুবনেশ্বরে আরও উল্লেখযোগ্য অনেকগুলি মন্দির দর্শন করা যায়। দক্ষিণাত্যবাসীদিগের নিকট বিন্দুসরোবরও বিশেষরূপে চিত্তাকর্ষক । সরোবরট ১৩• • ফুট দীর্ঘ,