পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や8 مهمی ،«» به ۰۰۰۰» «هه ۳۰. «ه»۲۰ میمونه প্রজাপতির পরিহাস ( গল্প ) পিতার মৃত্যুর পরদিন বারান্দায় বসে লেইনী ভাবছিল, "এত দিনে অকুল সংসারে ভাসলেম ।’ শৈশবে যখন মাতা মারা গেলেন, ভাই ভগ্নীগুলি যখন মারা গেল—একে একে স্নেহের সব বন্ধনগুলি যখন টুটে গেল, তখন তা’র খঞ্জ বৃদ্ধ পিতাকেই সে অঁাকড়ে ধরলে । তারপর পিতা যখন শুধু বংশমর্য্যাদাটুকু রেখে লেইনীকে একবারে নিঃসম্বল অবস্থায় ফেলে অমর-ধামে চলে গেলেন—যখন লেষ্টনীর শেষ বাধনটুকু টুটে গেল তখন সে বুঝতে পারলে ভগবান তা’কে এক বিষম পরীক্ষার ভিতর ফেলেছেন । তারপর আরো যখন দেখতে পেলে যে এই আঠার বছর বয়স পর্য্যন্ত সে লেখাপড়ার কিছুষ্ট শিখতে পারে নি, তখন সে বেশ বুঝতে পারলে যে সারাটি জীবন ধরে তা’কে দৈন্তের সঙ্গে লড়াই করতে হবে । একটি মাস কোন প্রকারে চলে গেল। আরতে খাওয়া যোটে না । কিছু সাহায্যের জন্তে বা সামান্ত একটি চাকরীর জন্তে সে অনেকের দ্বারে ঘুরতে লাগল। লোকে যাদের বড় মানুষ বলে তাদের অনেকের দ্বারে গিয়ে উপস্থিত হল । কর্ণতৃপ্তিকর অনেক সাহায্য মিলল বটে কিন্তু যাতে পেটভরে এমন সাহায্য কোথাও পেলে না । একদিন সে শুনতে পেলে যে গির্জার পুরোহিতরা বড় দয়ালু ; তাদের কাছে গেলে পর কিছু মিলতে পারে। , পর দিন ভোরেই সে এক গির্জায় গিয়ে উঠল । সেখানে সে শুনলে যে সেই গির্জায় পাখাটানার একটি পদ খালি আছে এবং সে যদি চায় তা হলে তা’কে সে পদে নিযুক্ত করা যেতে পারে । সে অনেক চিন্তা করলে कि করবে। লেখা পড়া এমন জানে না যে একটা কিছু করে থাবে ; ওদিকে সে আবার ভদ্রবংশের সস্তান, এ কাজইবা কি করে নেয় । যা হোক জঠরানল তার সে সমস্তার মীমাংসা করে দিলে । লেইনী অগত্য সে চাকরীই গ্রহণ করলে । দিনের পর দিন যেতে লাগল। দেখতে দেখতে তার প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ A SASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASAAم.,.ه***..،•"۱م..ه۰۰۰, .۰-۰ - «همه محم. - ۰ مسیه”*s.SAASAASAASAASAASAASAASAASAA [ >०म छाण, २ब्र थ७ এখানে একটি বছর চলে গেল । আড়ম্বরহীন নীরব জীবন তার একঘেয়ে হয়ে উঠল। কি করা যায়, আরতে ভাল লাগে না। এ দরিদ্রতার ভিতর ড়ে আর থাকা যায় না, অর্থ উপার্জনেরও তো কোনো উপায় নেই। মন কেবল তার চিন্তাক্লিষ্ট হতে লাগল । এরই মধ্যে একদিন তার জীবনের গতির পরিবর্তন হয়ে গেল। সে দিন রবিবার। সন্ধ্যা বেলা সে দেখলে যে ১৬১৭ বছর বয়স্ক একটি স্বনারী যুবতী উপাসনার জন্তে সেষ্ট গির্জায় এসেছে। পূৰ্ব্বে সে কখনো তাকে দেখেনি। তাকে দেথামাত্রই তার হৃদি-তন্ত্রীগুলি যেন ঝঙ্কার দিয়ে উঠল। তার শরীর দিয়ে যেন এক বৈদ্যুতিক প্রবাহ ছুটে গেল । অমুসন্ধান করে লেইনী জানতে পেলে যে তার নাম মিস স্মাষ্টল, এক মহাধনবানের কষ্ঠ । তারপর প্রতি রবিবারই মিস্ স্মাইল গির্জায় আস্ত। আর লেইনী তা’রই কাছ দিয়ে বারান্দায় বসে পাখাটানত আর তা’কে দেখে দেখে একবারে বিহবল হয়ে যেত। কি মুন্দর চোখ দুটি ! কি সুন্দর চিবুকখানি ! চুলগুলিও কি সুন্দর । আঙ্গ মুখখানি কি বিমল ! স্বরটিই বা কি মিষ্টি । আর কোনটাই বা সে ভাবে ? মিস স্মাইল যেন তার কাছে সৌন্দর্য্যের পূর্ণতা নিয়ে উপস্থিত হত। রবিবার আসলেই তা’র হৃদয়খানা নেচে উঠত। সকাল সকাল করে গির্জায় যেত। কখন স্মাইল আসবে ! তাকে দেখতে কত মুখ ! কত আনন্দ ! এই ভাবে কয়েকটি মাস চলে গেল। দেখতে দেখতে একরাশ নব পল্লব ও ফুল নিয়ে বসন্তকাল এসে উপস্থিত হলো । গির্জার বাগানখানি ফুলে ফুলে ভরপুর হয়ে উঠল। স্বভাবতঃই মনটা সে সবের ভিতর কিছু রোমাটিক হয়ে ওঠে। লেইনী বসে বসে কত কি আকাশ পাতাল চিন্তা করে । সে চিন্তার বিরাম নেই,—আদি নেই—অস্ত নেই। বেচারী জীবনটা নিয়ে বড় কষ্টেই পড়েছে। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে স্মাইলের রূপে তা’র শুষ্ক জীবনটা বেশ একটু সরস হয়ে উঠেছিল। স্মাইলকে দেখে মনে একটা বেশ শাস্তি পেত। স্মাইলের বিষয় চিন্তা করতে বেশ একটা আরাম অনুভব করত, বেচারী ভাবৃত, যা হোক