পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२. .- "* -* ---------۳۳ می= শক্তি ছিল বলিয়া আমাদের ভাষা ক্রমশঃ বৈচিত্র্য লাভ করিতেছে এবং সাহিত্যভাণ্ডার পরিপূর্ণ হইতেছে। अङ्गङ छौवख छांछिब्र णक्रण ७छे cय खेहांब दिकांन স্বকীয় ইতিহাসগত বিশেষত্ব এবং চারিত্র-স্বাতন্ত্র্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশের অভ্যন্তরে প্রত্যেক জাতির স্বতন্ত্র স্বভাব এবং নৈসর্গিক চরিত্রষ্ট পরিপূর্ণত লাভ করে। এ জন্য প্রকৃতিগত ভাষার অস্তিত্ব এবং ক্রমিক বিকাশষ্ট জাতীয় জীবনের অভিব্যক্তির পরিচয়। যে স্থলে স্বতন্ত্র ভাষার অস্তিত্ব নাই সেট স্থলে স্বতন্ত্র জাতীয় জীবনেরও অস্তিত্ব নাষ্ট বুঝিতে হইবে । এষ্ট জল্পষ্ট আধুনিক জগতের সর্বত্র শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে প্রকৃতিগত স্বাভাবিক ভাষার স্থান অতি উচ্চ । সকল দেশেই জাতীয় শিক্ষার ব্যবস্থায় জাতীয় সভ্যতার বিবিধ অঙ্গের সহিত সুপরিচিত কষ্টবার " সুযোগ আছে এবং উচ্চতম শিক্ষার আয়োজনেও জাতীয় ভাষার ব্যবহারের বিধান আছে । জাতীয় ভাষা ও সাহিত্যক্ট প্রকৃত জাতীয় শিক্ষার মূল উপাদান । সুতরাং র্যাঙ্গর এ দেশের নুতন পারিপার্থিকের অল্পরূপ নূতন শিক্ষাপদ্ধতির প্রবর্তন করিতে চাহেন এবং সমগ্র সমাজকে স্বাভাবিক রূপে আধুনিক জগতের সকল প্রকার সমস্তার মীমাংসাব উপযোগিতা প্রদান করিতে প্রয়াসী কৃষ্টয়াছেন তাঙ্গাদিগকে এক দিকে যেমন বিজ্ঞান, শিল্প, ব্যবসায় প্রভৃতির প্রতিষ্ঠা করিয়া আধুনিক উপায়ে জাতীয় অভাৰ মোচনেব শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করিতে হৃষ্টবে, তেমনি অপর দিকে নিম্নশ্রেণীর এবং নৈশবিদ্যালয়ের শিক্ষা হষ্টতে আরম্ভ করিয়া সৰ্ব্বোচ্চ বিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্যের শিক্ষা পর্য্যন্ত সকল স্তরেই জাতীয় ভাষার ব্যবহারের আয়োজন করিতে কষ্টবে । যত দিন পর্য্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়সমূহের সকল পর্যায়ে মাতৃভাষা প্রচলিত না হয় ততদিন পর্য্যন্ত শিক্ষাপদ্ধতি প্রকৃত প্রস্তাবে জাতীয় ও স্বাভাবিক কষ্টয় উঠিবে না। জাতীয় বিদ্যালয়ের উন্নতি জাতীয় সাহিত্য বিকাশের উপর নির্ভর করিতেছে। কেবল মাৱ গৃহপ্রতিষ্ঠা বা নূতন পরিষদ গঠন করিলেই জাতীয় শিক্ষা দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করিবে না। র্যাহার ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছেন প্ৰৰাণী—মাখ, ১৩১৭ SAASAASAASAASAA AAASA SAAAASAAAA { >०ञ डॉन, २ग्न थंख्s AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS র্তাঙ্গারাই যথার্থভাবে জাতীয় শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করিতেছেন। যে সকল সাহিত্যসেবী ও শিক্ষাপ্রচারক আমাদের সাহিত্যকে নানা উপায়ে পরিপুষ্ট করির তুলিতেছেন তাহারই প্রকৃত পক্ষে ভবিষ্যৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রদূত । আমাদের সাচিত্য এখনও অতি নগণ্য শৈশবাবস্থায় রহিয়াছে। অতাল্পকালের মধ্যেই আমাদের ভাষা বিচিত্র ভাব প্রকাশক ছটা উঠিয়াছে বটে কিন্তু এখনও আমাদের সাহিত্য উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সৰ্ব্বোচ্চ শ্রেণীতে ব্যবহারোপযোগী চক্টতে পারে নাই । এই জন্ত আমাদের মাতৃভাষা গবর্ণমেণ্টের শিক্ষাপদ্ধতির ব্যবস্থায় দ্বিতীয় ভাষার মর্য্যাদা প্রাপ্ত হইয়াছে মাত্র, প্রধান ভাষার গৌরবের অধিকারী হয় নাই ; এবং এই জন্যই জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সঙ্কল্প ও চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া কেবল মাত্র আকাঙ্ক্ষাতেই পৰ্য্যবসিত রহিয়াছে । কাব্য, উপন্যাস ও কথাসাহিত্য পরিত্যাগ করিলে সাহিত্যপদবাচ্য রচনা অতি অল্পই আমাদের ভাণ্ডারে পড়িয়া থাকে । ইতিবৃত্তের অনুসন্ধান আরম্ভ হইয়াছে মাত্র। তুলনামূলক ঐতিহাসিক আলোচনা প্রণালী কাহাকে বলে আমাদের জাতীয়সাহিত্যে তাঙ্কার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না । সমালোচনা-বিজ্ঞানের স্বত্রপাতই হয় নাই বলিলে অতু্যক্তি হয় না । সম্প্রতি মাসিক সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে । এবং বিদেশীর সাহিত্য হইতে কাব্যাদির অনুবাদ মাঝে মাঝে দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা দার্শনিক জাতি বলিয়া । অহঙ্কার করিয়া থাকি কিন্তু উচ্চ অঙ্গের দর্শন চর্চা আমাদের সাহিত্যে অতি সামান্ত স্থানই অধিকার করিয়াছে। যে সকল দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে জাতীয় ভাষা ও সাহিত্য মুখ্য স্থান অধিকার করে তাহাদের সচিত তুলনা করিলে আমাদের সাহিত্যের দারিদ্র্য ও অপ্রাচুর্য্য স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে । কিন্তু চারিদিকে আশার লক্ষণ দেখা যাইতেছে । ’ লোক শিক্ষা, স্ত্রী শিক্ষা প্রভৃতির দ্বারা শিক্ষার গণ্ডিবিস্তারের প্রতি কৰ্ম্মীদিগের দৃষ্টি পড়িয়াছে। সাহিত্য চর্চায়, ইতিহাসের তথ্য সঙ্কলনে, পুরাকাহিনী সংগ্রহে, ধনী নির্ধন, বিদ্বান মূখ, সকলেই জাগ্ৰহাম্বিত চইতেছেন। পাঠক