পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা | SAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS AAASASAAAAASAAAA SAASAASAASAASAASSAAAAAAS S এবং বহুবিধ রীতিনীতির পরিচয় পাষ্টয়া আমাদের দেশবাসীরা স্বতঃই পরস্পরের মধ্যে তুলনা-সাধন তারতম্য অন্বেষণ ও সামঞ্জস্য বিধানে চেষ্টিত হষ্টতে থাকিবে । ইহার ফলে তুলনামূলক আলোচনা আরব্ধ তষ্টর প্রকৃত সমালোচনা-বিজ্ঞানের সৃষ্টি করিবে । ধৰ্ম্ম, সমাজ, সাহিত্য, ইতিহাস প্রভৃতি মানবীয় বিষয়গুলি ক্রমশঃ তুলনাসিদ্ধ বিজ্ঞানের আকার ধারণ করিবে । যুক্তি, তর্ক, রাগ দ্বেষ ও অন্ধবিশ্বাস বর্জন, নূতন পন্থা আবিষ্কার প্রভৃতির ফলে এক প্রকৃত বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক যুগের আরম্ভ হইবে। সাহিত্য নূতন গতিতে নূতন পথে ধাবিত হইতে থাকিবে । এতদ্ব্যতীত, বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপিত হইলে এবং পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন জাতির সহিত কৰ্ম্মক্ষেত্রে মিশ্রিত হইলে আমরা অজ্ঞাতসারেই ভাব প্রকাশের বিবিধপ্রণালী অবলম্বন করিতে আরম্ভ করিব । ইহাতে শব্দসম্পদ বৃদ্ধি পাইয়া ভাষার সৌষ্ঠবসাধন করিবে। নানা শ্রেণীর নানা বিষয়ক শব্দ আসিয়া ভাষার অভাব মোচন করিবে । ভাষা নূতন রূপ ধারণ কবিয়া বিজ্ঞান, দর্শন প্রভৃতি গৃঢ়তম বিষয়গুলি অবাধে বহন করিতে পরিবে। ইহার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সাহিত্যের উৎকৃষ্ট ভাবগুলির সারাংশ সঙ্কলন এবং বিশিষ্ট গ্রন্থনিচয়ের অনুবাদ প্রকাশ করিয়া স্বদেশবাসীদিগকে উপহার প্রদানের আকাঙ্ক্ষা জন্মিবে । ইহার ফলে সাহিত্যের কলেবর বৰ্দ্ধিত ও সুশ্ৰী হইতে থাকিবে । নানা দেশে নানা যুগে মহাপুরুষের অভিনব জগতের বার্তা লইয়া পৃথিবীতে যেরূপ নুতন অভাব স্বষ্টি করিয়া গিয়াছেন আমাদের দেশে বর্তমান যুগে সাহিত্যক্ষেত্রে সেইরূপ আকাজক্ষা জাগরিত করিবার সময় আসিয়াছে। জীবনকে পরিপুষ্ট ও বৈচিত্র্যময় এবং সাহিত্যকে বিপুল বিস্তৃত করিয়া তুলিবার বাসনা সৃষ্টির প্রয়োজন হষ্টয়াছে। উচ্চশিক্ষা, নিম্নশিক্ষ, শিল্পশিক্ষা, স্ত্রীশিক্ষা প্রভৃতি সৰ্ব্বত্র মহৎ অভাব উপলব্ধি করিয়া একমাত্র শিক্ষার জন্তই সমাজে এখন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র আন্দোলনের সময় উপস্থিত হইয়াছে। এজন্য সাহিত্যপুষ্টি, শিক্ষাবিস্তার এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠার জন্ত প্রচারক ও বৃত্তিভূক্‌ নিযুক্ত করিবার প্রয়োজন হইয়াছে। বিজ্ঞানচর্চ, ইতিহাসালোচনা, শিল্পৰিস্তার সাতিলেী - پم - ۰ -- مدح حاعی-اچ--------- 8ፃፅ AASAASAASAASASAS SSAS SSAS প্রভৃতি কৰ্ম্মক্ষেত্রে উপযুক্ত ৰিচক্ষণ অধ্যাপক ও ধুরন্ধরের সাহায্য গ্রহণ করিয়া কতিপয় বিদ্যানুরাগী, কৰ্ম্মোপাসক ছাত্রদিগের দ্বারা বিশ্লেষণ, সমালোচন, এক্সপেরিমেন্ট, অনুবাদ প্রভৃতি কাৰ্য্য সমাধা করিবার জন্য ভূমিসম্পত্তিদানের দ্বারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র য়্যাকাডেমী বা আলোচনা সমিতির প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কইয়াছে। বাঙ্গাল দেশের জন্য যে সাহিত্য পরিষৎ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে তাহাকে এই অভাবানুরূপ কার্য্যের উপযোগী করিবার জন্ত কৰ্ম্মক্ষেত্র বিস্তৃত করিতে হইবে। এইজষ্ঠ সাহিত্যক্ষেত্রে সম্পূর্ণ শক্তি ও সম্পূর্ণ সময় প্রদান করিতে পারেন এরূপ সাহিত্যসেবী বিদ্বান ব্যক্তিকে উপযুক্ত মাসিক অর্থসাহায্য করিয়া তাহার সাহিত্যসাধনা সহজ ও নিরুদ্বেগ করিয়া দিতে কষ্টবে। যদি বাঙ্গালা সাহিত্য সৌভাগ্যক্রমে সৰ্ব্ববিদ্যাবিশারদ শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, দার্শনিক শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, বৈজ্ঞানিক শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী এবং এই সন্মিলনের সভাপতি অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যদ্রনাথ সবকার মহাশয়গণের সমগ্ৰ চিন্তা ও কৰ্ম্মশক্তি আকৃষ্ট করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হয় এবং ইতাদের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে কতিপয় উচ্চশিক্ষিত, সাহিত্যানুরাগী যুবক নিশ্চিন্ত হইয়া সমবেতভাবে সাহিত্যক্ষেত্রে কৰ্ম্ম করিতে অগ্রসর হয়েন তাহা হইলে দশ বৎসরের মধ্যেই বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য গ্রন্থগুলি আমাদের জাতীয় সাহিত্যে স্থান পাইতে পারে ; প্লেটো, হাৰ্ব্বার্ট স্পেন্সার, গীজো, হেগেল প্রভৃতি ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের গবেষণা আমাদের স্বকীয় ভাষার ভিতর দিয়াই লাভ করিতে পারি ; এবং অল্পকালের মধ্যেই বাঙ্গালাদেশের শিক্ষাপদ্ধতি প্রকৃত প্রস্তাবে স্বাধীন ও জাতীয় হইয়া উঠিতে পারে। আমাদের সমাজে এখন ভাবুকতার অভাব হইয়াছে।— যে ভাবুকতায় লোকে বর্তমান ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিত্যাগ করিয়া ভবিষ্যতের মহতী সিদ্ধি উপলব্ধি করিতে পারে, সামান্ত আরম্ভের মধ্যে অস্তর্নিহিত সমগ্ৰতা হৃদয়ঙ্গম করিয়া ইহাতেই সম্পূর্ণ জীবন উৎসর্গ করিয়া সার্থকতা লাভ করিতে পারে ; যে ভাবুকতায় উৎপ্রাণিত হইয়া বিস্তাবান ব্যক্তি সমাজে কীৰ্ত্তি বা প্রতিষ্ঠা লাভের অপেক্ষা না করিয়া বিস্তাদান ও শিক্ষা বিস্তারেই আনন্দ উপভোগ করিতে পারেন, স্বয়ং