পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) S AASAASAASAA AAAS S ASAAAAASA SSASAS SSASAS SS SAAAASAASAASAA ঋষি টলষ্টয় ( সঙ্কলিত ) ভিক্তর হাগো মৃত্যুকালে বলিয়াছিলেন–ধরণীর কোল শূন্ত করিয়া বিদায় লইবার সময় আমার আসিয়াছে। একথা আমরা সকলেই কখনো না কখনো স্বীকার করি। সকল বংশপরম্পরারই পৃথিবীতে স্থান হওয়া চাই ; প্রাচীনকালের শ্রেষ্ঠতম মহর্ষিগণও যদি ধরণীর কোল ভরিয়া থাকিয়া আমাদের পক্ষে স্থানাভাব করিতেন, তাহাও কিন্তু আমাদের পক্ষে বিশেষ সাত্বনার কারণ হইত शक्षेि छठछेग्न । তথাপি মচৎ চরিত্রের জীবন্ত আদর্শ যে প্রভাব বিস্তার করে, মরণাতীত যশ তাহার সমতুল্য হইতে পারে না । না । যখন ঋষি টলষ্টয়ের মতন লোক লোকাস্তরে যাত্রা করেন, তখন ইহলোক শূন্ত ও অভাবগ্রস্ত গুইয়া পড়ে। তাহারা রবিচন্দ্রকিরণঝলকিত ইহলোক হইতে, ভক্তবন্ধুর হৃষ্ঠ অলিঙ্গনের অতীত হইয়া কোন মহালোকে যাত্রা ঋষি টলষ্ট ASAMSAeAS AMSAeMSAeAeSAAAAAA AAAAA 88 సి AASAASAASAAeASMSAS A SAS SSAS SSAS د ده سه ماه "میم. به "عه . * *. করেন, তাহা আমরা ভালো বুঝি না ; তান্তাদের অমর আত্মা অম্লান যশের পারিজাতমালা ধারণ করিয়৷ অমরলোকে হয়ত অভিজিৎ নক্ষত্রের মতো ভাস্বররূপে বিরাজ করেন। কিন্তু সেখানে তাঙ্গার স্থির, অচল । আমরা তখন বুঝিতে পারি না প্রতিদিবসের জীবনযাত্রার সাফল্য ও হতাশা, পুরস্কার ও প্রতিঘাত, বিরহ ও মিলন, আনন্দ ও ক্রন্দন, তাহাদিগকে কেমন করিয়া উদ্বেজিত করে আর কোন পথে কি কারণে পরিচালিত করে । এইসকল লোকত্তর মহৎ চরিত্রের দুঃখে বিপদে আমরা আর ব্যাকুল হই না ; তাহাদের সেখানকার সকল ঐশ্বৰ্য্যপ্রভাব র্তাহার নিজকৃত উপার্জন বলিয়া মনে করিতে পারি না । ঋষি টলষ্টয় তাঙ্গার যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী ও ভাবুক ছিলেন—একথা তাহার শত্রুরাও স্বীকার করিতেছে। এমন লোকেরও বিরুদ্ধ পক্ষের অভাব নাই এই জন্ত যে তাঙ্গর জীবন অত্যুন্নত আদর্শে পরিচালিত বলিয়। তাছা মহা রহস্যময়, দ্বন্দ্ববহুল, সাধারণ বুদ্ধির ধারণাতীত। র্তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্র রুসিয়াতে একদল লোক যেমন র্তাহাকে মানবরূপে দেবতা, সাক্ষাৎ ভগবানের অবতার মনে করিয়া শ্রদ্ধা ভক্তি পূজা করিত, অপর পক্ষে আর একদল তাহাকে সয়তানের অবতার মনে করিয়া ঘৃণা ও ভয় করিত। বাস্তবিক ও তিনি অদ্যায় ও অত্যচারের যম ছিলেন । র্তাহার বিরাট ব্যক্তিত্বের প্রভাবে সকল অদ্যায়কারী অত্যাচারীর হৃৎকম্প হইত। সকল স্বার্থপর রাজশক্তি, সঙ্কীর্ণ ধৰ্ম্মযাজক-সম্প্রদায়, অনুদার আইন আদালত, অত্যাচারী পুলিস ও রাজস্বকৰ্ম্মচারী, সুদখোর ও জমিদার তাহাকে সাক্ষাৎ যম মনে করিত। ইহাদের অত্যাচার ও সঙ্কীর্ণত ধ্বংস করিবার জন্ত তিনি যেন মহদ্ভয়ং বজ্ৰমুগুতং ছিলেন। তাছার নাম লিয়ো টলষ্টয়— বাস্তবিকই তিনি পুরুষসিংহ । সকল গণ্ডি, সকল স্বার্থ, সকল সঙ্কীর্ণতার বিরুদ্ধে নিরস্তর যুদ্ধ ঘোষণাই ঋষি টলষ্টয়ের সমগ্র জীবন। যাঙ্গ মানবাত্মার শাশ্বত নিয়মের প্রতিকুল তাহার কাছে তাহ নিয়ম নামের উপযুক্ত ছিল না, তা সে যতই কেন দলিল দস্তাবেজ, শাস্তি শাসন, বেদী মন্ত্র, গ্রন্থ সংস্কার প্রভৃতির দ্বারা সমর্থিত হউক না । যে আইনে কর অনাদায়ের জন্য রায়তদিগকে বোন্ধত